Labels: , ,

নাস্তিকদের লিখা পড়ে তার উত্তর দেয়া সম্পর্কে

তাদের লিখা যদি যুক্তি পুর্ন হয় তবে কেন পড়বেন না যদি নাই জানেন কোন বিষয়ে তাদের সহমত নেই তবে সবাই একমত হবো কি করে। তবে বাজে বা ইচ্ছাকৃত ভাবে ইসলামকে হেয় করলে বা সমাজে বিশৃংক্ষলা সৃস্টি করলে সেটা এরিয়ে যাওয়াই উত্তম ,

উত্তর দেয়ার চেস্টা করা যাবে যদি আপনি সেবিষয়ে জানেন অনেক বিষয়ে আমিও ভাল জানিনা তবে যতটুকু জানি সেই থেকে উত্তর দেয়ার চেস্টা করি নিজের কাছেও ক্লিয়ার হওয়ার জন্য।

এবার কিছু কোরআনের আয়াত:

২)সুরা বাকারা আয়াত: ৭: আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।

৪১) সূরা হা-মীম সেজদাহ , আয়াত নং ৫৩ : এখন আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করাব পৃথিবীর দিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কোরআন সত্য। আপনার পালনকর্তা সর্ববিষয়ে সাক্ষ্যদাতা, এটা কি যথেষ্ট নয়? Quran Fussilat 41:53


২৭) সূরা নমল আয়াত ৬৩ : বলুন তো কে তোমাদেরকে জলে ও স্থলে অন্ধকারে পথ দেখান এবং যিনি তাঁর অনুগ্রহের পূর্বে সুসংবাদবাহী বাতাস প্রেরণ করেন? অতএব, আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে।

২৭) সূরা নমল আয়াত: ৬৪: বলুন তো কে প্রথমবার সৃষ্টি করেন, অতঃপর তাকে পুনরায় সৃষ্টি করবেন এবং কে তোমাদেরকে আকাশ ও মর্তø থেকে রিযিক দান করেন। সুতরাং আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? বলুন, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর।

২৭) সূরা নমল আয়াত ৮১: আপনি অন্ধদেরকে তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে ফিরিয়ে সৎপথে আনতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। অতএব, তারাই আজ্ঞাবহ।

১৬) সুরা নাহল আয়াত ১২৫ :"আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে। "

২৯) সুরা আল আনকাবুত আয়াত নং ৪৬: "তোমরা কিতাবধারীদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করবে না, কিন্তু উত্তম পন্থায়; তবে তাদের সাথে নয়, যারা তাদের মধ্যে বে-ইনসাফ। এবং বল, আমাদের প্রতি ও তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য একই এবং আমরা তাঁরই আজ্ঞাবহ। "

৩৩) সুরা আল আহযাব আয়াত ৪৮ : আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের উৎপীড়ন উপেক্ষা করুন ও আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ কার্যনিবার্হীরূপে যথেষ্ট।

৪)সুরা আন নিসা আয়াত ১৪০ " আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।"

পৃথিবীতে সবাই মুসলমান হবে না আর সবাই অবিশ্বাসীও হবে না সবার সহ অবস্থানের মাধ্যমে পৃথিবীকে সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা এবং সবার সুন্দর জীবনের নিরাপত্তা বিধানই হোক সবার মুল লক্ষ্য - মানুষের কল্যানের জন্যইতো এত বিধান , নিয়ম নীতি, আলোচনা ও সমালোচনা তাই না। সবার কল্যান কামনা

লিখেছেন-  ফয়সাল হাসান

No comments:

Post a Comment