শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

মুহাম্মদ (সাঃ)-আল্লাহর রাসূল

মুহাম্মদ (সাঃ)-সকল মানুষের জন্য উদাহরন, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, ও আল্লাহর রাসুল

আল কোরআন - মহান আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব

এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,

আমাদেরকে সরল পথ দেখাও

আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

আল্লাহ নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু

সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

Labels: , , ,

আমরা শুইনা কোরআন না বুঝা মুসলমান বনাম এক ধর্ষিত কিশোরী



খুবই দুঃখ ও মর্মাহত হই একটি খবর ফেসবুকে পড়ে তা হলো জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করে কথিত বিয়ের নামে আটকে রেখে ৫৫ দিন ধরে ধর্ষণ করে এক জানোয়ারের বাচ্চা। আর এই সংবাদ প্রচার হওয়ার পরপরই ব্লগ এবং ফেইসবুকে প্রগতিশীলদের শেয়ার দেখলাম আর দেখছি এর মাঝে ইসলামকে হেয় করার অপচেস্টা।

আবার অনেকে দেখছি এই ব্যপারে সহমত প্রকাশ করছে , জানা নেই তারা কেমন মুসলিম, ওরা পরিমল হতে পারলে আপনিও পরিমল হবেন এইটা ইসলাম নয়।

ইসলাম কখনোই ধর্ষনকে সমর্থন করে না, একজন ধর্ষক কখনও ধার্মিক হতে পারে না। কে কাকে ধর্ষন করল সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ধর্ষকের কঠোর শাস্তি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলামে নারীর অধিকার বিষয়ে আমার পুর্বের এই পোস্ট দেখতে পারেন: নারী ও ইসলাম- আসুন দেখি সত্যের চোখে Click This Link

এবার আসি সেই জোর করে ধর্ম গ্রহনের ব্যপারে। ইসলামে ধর্মের ব্যপারে জোরজবরদস্তি নেই -এর প্রমান ইসলামের মুল বানী আল্লাহ প্রদত্ত গ্রন্থ নিজেই খুলে দেখুন :

আল-কোরআন-সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ
(০২:২৫৬) অর্থ- দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে সুপথ প্রকাশ্যভাবে কুপথ থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যে ‘তাগুৎ' কে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, নিশ্চয় সে এমন সুদৃঢ় হাতল ধারণ করে নিয়েছে যা ভাঙবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।

সূরা ইউনুস (মক্কায় অবতীর্ণ)
(১০:৯৯) অর্থ- আর তোমার প্রতিপালক যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীতে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান আনত সমবেতভাবে। তবে কি তুমি ঈমান আনার জন্য মানুষের উপর জবরদস্তি করবে?

(১০:১০০) অর্থ- আর কারও পক্ষে ঈমান আনা সম্ভব নয়, যতক্ষণ না আল্লাহর হুকুম হয়। পক্ষান্তরে যারা বুদ্ধি প্রয়োগ করে না (অনুধাবনের চেষ্টা করে না), তাদের তিনি কলুষ-লিপ্ত করেন।

সূরা আল-ফুরকান (মক্কায় অবতীর্ণ)
(২৫:৫৬) অর্থ- আমি আপনাকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপেই প্রেরণ করেছি।

(২৫:৫৭) অর্থ- বলুন, আমি তোমাদের কাছে এর কোন বিনিময় চাই না, সুতরাং যে ইচ্ছা করে, সে তার পালনকর্তার পথ অবলম্বন করুক

সূরা ক্বাফ (মক্কায় অবতীর্ণ)
(৫০:৪৫) অর্থ- তারা যা বলে, তা আমি সম্যক অবগত আছি। আপনি তাদের উপর জোরজবরদস্তিকারী নন। অতএব, যে আমার শাস্তিকে ভয় করে, তাকে কোরআনের মাধ্যমে উপদেশ দান করুন।

(০৯:০৬) অর্থ- আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়, অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেবে। এটি এজন্যে যে তারা অজ্ঞ লোক।

তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে, দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ব্যতীত তাদের কি প্রতিদান হ’তে পারে? ক্বিয়ামত দিবসে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে উদাসীন নন’ (বাক্বারাহ ২/৮৫)।

এখান থেকেই পরিস্কার যে ইসলাম ধর্ম জোর করে গ্রহন করার জন্য নয় বুঝে পালন করার জন্য। ধর্ম গ্রহন করা না করার ব্যাপারে কোন জোর জবরদস্তি নাই। সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর প্রত্যেকে পুর্ণ স্বাধীন ভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে তা গ্রহন করবে কি করবে না।

অমুসলিমদের মুসলিম বানানোর ব্যাপারে জোর জবরদস্তি করা যাবে না। তবে ইসলামের সু-মহান বানী পৌছে দিতে হবে। তার ধর্ম তাকে স্বাধীনভাবে পালন করতে দিতে হবে। ইসলামী রাস্ট্রের অধিবাসী হলে তাকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুসলিমদের চাইতে বেশী সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে

ইসলাম সবসময়ে সবার, স্পেশালী নারীর অধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি উৎসাহ, সমর্থন ও সবাইকে তাদের ধর্ম পালনে বাধা না দিতে বলা হয়েছে। এখন যারা ধর্ষনের মত ঘৃন্য কাজ করছে তারা ইসলামের চরম শত্রু।

নামে মুসলিম হলে বা ইসলামের নামে খারপ কাজ করলে সেটা ইসলামের দায় নয়, সেই কাজ যে করেছে সে মুমিন বা মুসলমান নয়, মুসলমানের পরিচয় হলো সেই যার কথা ও কাজে হবে কোরআনের আলোকে। তাই আসুন কোরআন নিজে বুঝে পড়ুন অন্যকে বুঝে পড়তে উৎসাহিত করুন।

যারা ইসলামের নামে মানুষের অধিকার কেড়ে নেয় মানুষকে কস্ট দেয়, খারাপ কাজ করে ইসলামের নামে তাদের জন্য সুস্পস্ট ভাবে বলা আছে : "তারা কি দেখেনি যে, আমি তাদের পুর্বে কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি, যাদেরকে আমি পৃথিবীতে এমন প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলাম, যা তোমাদেরকে দেইনি। আমি আকাশকে তাদের উপর অনবরত বৃষ্টি বর্ষণ করতে দিয়েছি এবং তাদের তলদেশে নদী সৃষ্টি করে দিয়েছি, অতঃপর আমি তাদেরকে তাদের পাপের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছি এবং তাদের পরে অন্য সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছি।"সূরা আল আন-আম সুরা নং ৬ আয়াত নং ৬।

এবার যারা এরকম ঘৃন্য কাজ করেছে :
১। নারীর সম্মানের অপমান এবং
২। কোরআনের বিধানের সুস্পস্ট লংঘন


তাদেরকে ব্যভিচারী ও ইসলামে ধর্ম অবমাননাকারী হিসেবে সবার সামনে ফাসিতে ঝুলিয়ে বা পাথর মেরে বা শরীরের চামড়া ছিলে লবন দেয়া হবেনা কেন?

ধর্ষণের শাস্তি প্রকাশ্যে ছবির মতো দেয়া হোক। বেশী না , দুই তিনটা এইভাবে শাস্তি পাইলে এমনিতেই কমে যাবে

0 comments