Labels: , ,

মুহাম্মদ (সঃ) নবী হয়ে কেন যুদ্ধ করেছিলেন? একজন নবী কী যুদ্ধ করতে পারে?

ত্যানা প্যাচানোওয়ালা নাস্তিকদের জবাবে....
মুহাম্মদ (সঃ) নবী হয়ে কেন যুদ্ধ করেছিলেন? একজন নবী কী যুদ্ধ করতে পারে?"
এরপর শুরু হয়ে গেল গালাগালি। কোন কথা শুনাশুনিতে নাই। অবশ্য কোন কথা শুনতেও রাজি নয়। ওদের একটাই কথা, "তোদের নবী একজন খুনি। আমরা কোন খুনিকে ফলো করি না। ঘেউ ঘেউ ঘেউ।"
বলতে ইচ্ছা হয়, না করলে না করবি, আমার কিসের ঠ্যাকা?

এমন ভাব যেন আমি গিয়ে ওদের হাতে পায়ে ধরছি, "প্লিজ আমার নবীকে 'গ্রেট' বল! প্লিজ! নাহলে পা ছাড়ছি না।"
যে লোকটাকে আল্লাহ সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছেন, কোন ফকিরনি তাঁকে নিয়ে কী বলল না বলল তাতে কিই বা আসে যায়?

তবে ওদের কথা শুনে কিছু মানুষের মনে এমন প্রশ্ন উঠে, "আসলেইতো, একজন নবী কী করে যুদ্ধের হুকুম দিলেন? আল্লাহ কী করে যুদ্ধের হুকুম দিলেন? তাহলে ইসলাম দেখছি আসলেই জঙ্গি ধর্ম!"
প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে একটা কথা বলে নেই, যদি আমাদের নবী যুদ্ধ না করতেন, তাহলে ওরা এখন কী বলতো জানেন?

"কিসের নবী তোদের? কিসের ধর্ম? মানুষ এসে চড় থাপ্পর মেরে যায়, তোরাও লাথি উষ্টা খেয়ে যাস, তারপরেও কিছু বলতে পারিস না। 'ধৈর্য্য ধর' 'ধৈর্য্য ধর' আওয়াজ তুলিস! আরে তোরা হচ্ছিস নপুংশকের জাত! নিজের অধিকার আদায় করতে জানিস না।"

সিনেমা হলের একটা চেয়ারের কভারে একটা ছোট ছিদ্র করে আসুন। একমাসের মধ্যেই দেখবেন সেই কভারের খাল বাকল সব ছিলা হয়ে গেছে। মানুষ সেই ছোট ছিদ্রটা দেখার সাথে সাথেই মনের অজান্তে ইচ্ছা মতন খাবলা খুবলি করে এই হাল করেছে।

বনের বাঘকে সবাই ভয় পায়। অথচ বাঘের চেয়ে শারীরিকভাবে অনেক বড় গরু দিয়ে মানুষ হালচাষ করে।
তেমনি কোন মানুষকে অত্যাচারিত হতে দেখুন। দেখবেন চিকন থেকে চিকনতম মেরুদন্ডের মানুষও সেই দুর্বলের উপর অত্যাচার করা শুরু করে দিয়েছে। "এক গালে চড় দিলে আরেক গাল পেতে দাও" থিওরি বাস্তব জীবনে একদমই অকেজো। গান্ধীজির চ্যালারা যদি মনে করে থাকেন তাঁর এই মতবাদের কারনেই ভারত ছেড়ে ব্রিটিশরা পালিয়েছিল তাহলে সবাই মুর্খের রাজ্যে বাস করছেন। গান্ধীজির পাশাপাশি বিপ্লবীদের অবদানও যথেষ্ট ছিল। সেই সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইংল্যান্ডের ভরাডুবিও ছিল আরেকটা কারন।

ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে কোন কোন পরিস্থিতিতে চড় খেলে চুপচাপ গাল ফিরিয়ে সরে যেতে হবে, আবার কোন পরিস্থিতিতে কেউ চড় দিলে একদম হাত ভেঙ্গে দিতে হবে।

যারা দাবি করে, নবীজি যুদ্ধবাজ ছিলেন, তারা অত্যন্ত যত্নসহকারে তাঁর মক্কার জীবনটা এড়িয়ে যায়। প্রথমে নিজের পরিবারের লোকজনেরাই (আবু লাহাব, চাচা) তাঁর শত্রু হলেন। তারপর নিজ শহরের লোকেরাও একই কাজ করলো। প্রথমে তাঁকে মারধর না করলেও তাঁর নামাজ পড়া অবস্থায় তাঁর উপর পশুর গলা নাড়িভুড়ি ফেলা হলো। তাঁর ফলোয়ারদের অমানুষিক অত্যাচার করা হলো। বিলালকে (রাঃ) মরুভূমির গরম বালুতে শুইয়ে রেখে তাঁর উপর গরম পাথর রাখা হত। তাও এমনই গরম পাথর যার উপর মাংস ফেলে রাখলে কিছুক্ষনের মধ্যেই সেটা রান্না হয়ে যেত।
খাব্বারের(রাঃ) পিঠের উপর তাঁর মালকিন লোহা গলানোর কয়লা ঢেলে দিয়ে তাঁর চিৎকার শুনে হাততালি বাজাত।
সুমাইয়া ইয়াসিরকেতো (রাঃ) তাঁদের ছেলের সামনেই নৃসংশভাবে হত্যা করা হলো। বর্ণনা দিব? সুমাইয়ার(রাঃ) যোনি পথ দিয়ে বর্শা ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে খুচিয়ে তাঁকে হত্যা করে শরীর দুই ভাগ করা হলো। এবং ইয়াসিরকে(রাঃ) দুই পাশ দিয়ে ঘোড়া দিয়ে টানিয়ে মাঝবরাবর ছিড়ে ফেলা হলো।
কেন? কারন তাঁরা শুধু বিশ্বাস করেছিলেন আল্লাহ এক, এবং অদ্বিতীয়।

তারপরেও কিছুতে কিছু হচ্ছিল না বলে তাঁদের সমাজচ্যুত করা হলো। তিনটা বছর মুসলিমদের সাথে কেউ কথা বলেনি, কোন লেনদেন করেনি। না খেয়ে মুসলিম শিশুরা মরেছে, বৃদ্ধরা মরেছে, নারীরা মরেছে - কেউ এগিয়ে আসেনি ওদের সাহায্যে। পশুর চামড়া আর গাছের লতাপাতা চিবিয়ে খেয়ে বাঁচতে হয়েছে। মুতইম ইবনে আদী যদি সেসময়ে মাঝে মাঝে তাঁদের খাবার না পাঠাতো, তাহলে খবরই ছিল। একটা প্রতিবাদ করেননি আমাদের নবী(সঃ)।
তারপরেও তারা শান্ত হয়নি। এইবার নবীজিকেই (সঃ) মেরে ফেলতে চাইলো। রাতের আঁধারে তাঁর বাড়িতে এসে হামলা করলো। তিনি মদিনায় "হিজরতে" গিয়ে প্রাণে রক্ষা পেলেন। সাহাবীরা প্রতিরাতে স্বপ্ন দেখেন একদিন জন্মভূমিতে ফিরে যাবেন। নিজের বাড়িঘরের দেয়ালে চুমু খাবেন, নিজের মাতৃভূমির মাটিতে সিজদাহ দিবেন। বুক ভরিয়ে ফেলবেন মক্কা নগরীর বাতাসে। তাঁদের লেখা কবিতায় তখন এইসব হাহাকার প্রকাশ পায়।

এইদিকে মক্কাবাসী কুরাইশরা কী করলো? তাঁদের ফেলে যাওয়া চৌদ্দ পুরুষের সহায় সম্পত্তি সব লুটে নিল। লুটের টাকা সিরিয়ায় পাঠিয়ে আরও প্রফিট বানালো।
যদি নবীজি(সঃ) এর পরও চুপ থাকতে বলতেন, তাহলেও সাহাবীরা চুপ থাকতেন। কিন্তু ব্যপারটা কতখানি প্র্যাকটিকাল হতো?
বাস্তব উদাহরণ দিলেই বুঝবেন।

পাকিস্তান আমাদের উপর একটানা শোষণ করে গেছে। আমরা মাঝে মাঝে চুপ থেকেছি, মাঝে মাঝে প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু যেদিন আমাদের ঘরে ঘরে ঢুকে ওরা গুলি করে মারতে লাগলো, আমাদের মা বোনদের উঠিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো, তখন কী আমাদের ধৈর্য্য ধরে বসে থাকলে চলতো? "এক গালে চড় খেলে আরেক গাল পেতে দাও" ফিলোসফি কাজে আসতো? They didn't mind killing Bengalis.

নবিজিই(সঃ) উদাহরণ সেট করে গেছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় "মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই" হাদিসটা ভয়েড হয়ে যায় কুরআনের একটি আয়াত দিয়ে "যখন দুইজন মমিনের মধ্যে লড়াই বাঁধবে তখন তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে দুইজনের মধ্যে মিমাংসা করে দাও। আর যদি সেই দুইজনের মধ্যে একজন জালিম হয়ে থাকে, তবে দুর্বলের পক্ষ্য নিয়ে জুলুমকারীর বিরুদ্ধে লড়, ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না সে পরাজিত হয়।" আল্লাহর স্পষ্ট নির্দেশ।
ছাত্ররা কলম ছেড়ে অস্ত্র তুলে নিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর একটা রিক্সাওয়ালার কাঁধে কাঁধ রেখে শত্রুর মোকাবিলা করলো। দেশ স্বাধীন হলো।

যদি নবিজি(সঃ) উদাহরণ সেট করে না যেতেন? ট্রাস্ট মি, আজকে পৃথিবীতে মুসলমান সংখ্যা এত বেশি হতো না। তার বহু আগেই অত্যাচারিত হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। আর বাকিরা ভয়েই দূরে সরে যেত।
ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের নবী(সঃ) সেদিনকার রাজাকার বনু কুরায়দাকে যেমন মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন, তেমনি মক্কা বিজয়ের পর চিরশত্রু কুরাইশদের হাতের মুঠোয় পেয়েও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি কী একটা যুদ্ধ জয়ের শেষেও ভিকট্রি পার্টি করেছিলেন? বাংলায় বললে বিজয়োৎসব? রং ছুড়াছুড়ি, খুশিতে এর ওর মুখে জোর করে মিষ্টি খাইয়ে দেয়া? খুঁজতে থাকেন। একটাও যদি উদাহরণ পান, প্লিজ দেখান।
ত্যানাবাজরাই কেবল বনু কুরায়দা, কাব বিন আশরাফ আর বিভিন্ন যুদ্ধ নিয়ে ত্যানা প্যাচায়।
এখন এটাও ঠিক ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবং একদল মুর্খ জঙ্গিদের জন্য গোটা ইসলামকেই দোষ দিচ্ছে।

কিন্তু ক্রিমিনোলজি নিয়ে বিন্দুমাত্র পড়াশোনাও যদি কেউ করে থাকে, তারই বুঝবার কথা যে প্রতিটা অপরাধীর নিজস্ব কিছু ফিলোসফি থাকে। হিটলার জাতীয়তাবাদের নামে লাখ লাখ ইহুদি মেরে সাফ করে দিয়েছিল। স্তালিন কমিউনিজমের নামে লাখ লাখ স্বজাতির হত্যা করেছিল। দেশপ্রেমের নামে অ্যামেরিকা যে কয়টা দেশ উজার করে দিয়েছে কে হিসেব করবে? আমাদের দেশেও বিএনপি আওয়ামীলীগের নামে প্রতিদিন হত্যার ঘটনা ঘটছে।
"তুই ওকে মারলি কেন?"
"ও আওয়ামীলীগ করে। ভারতের দালাল।"
"তুইই বা ওকে মারলি কেন?"
"ও বিএনপি করে। যুদ্ধাপরাধী।"
"ও পাকিস্তানি ওকে পায়ের নিচে পিষে মারা দরকার।"
এই কথাতো আমরা প্রায় প্রতিদিনই শুনি। আবার একই বক্তব্য হয়তো কোন এক পাকিস্তানিরও আমাদের বাঙালিদের প্রতি।
আস্তিক নাস্তিকদেরও একই ঘটনা। শুধু শব্দের হেরফের হয়।
"ও নাস্তিক। ওর ফাঁসি চাই।"
"ও ছাগু! ও শুধু কোপাতেই জানে। ওরও ফাঁসি চাই।"

কাজেই, নিতান্তই আহাম্মক না হলে কেউ অপরাধীর অপরাধকে ধর্মের ভিত্তিতে ফিল্টার করেনা।
ক্যানাডা এয়ারফোর্সের হাইলি ডেকোরেটেড অফিসার কর্নেল রাসেল উইলিয়ামস নিজের বেসের প্রতিবেশী মেয়েদের আন্ডার গার্মেন্টস চুরি করতো। সে কিন্তু ধর্ষণ করতো না। সুন্দরী মেয়েদের আন্ডার গার্মেন্টসের গন্ধ নিতে তার ভাল লাগতো। পারভার্ট এই লোকটার এই অপরাধ ধীরে ধীরে বাড়তে বাড়তে দুইটা খুনে গিয়ে শেষ হলো। মেয়েগুলো তাকে চুরির সময়ে দেখে ফেলেছিল বলে। তাহলে কী এখন সব দোষ ভিক্টোরিয়া'স সিক্রেট জাতীয় কোম্পানিগুলোর?
একজন সন্ত্রাসী, সে যেই হোক, সে একজন সন্ত্রাসী। এবং দেশের প্রচলিত আইনেই তার বিচার হওয়া উচিৎ। এবং সে যদি মুসলিম হয়, তাহলে আমার দাবি তার বিচার সর্বোচ্চ ও কঠোরতর হওয়া উচিৎ। এখানেও আমি ইসলামেরই দৃষ্টান্ত দেব।

উমার (রাঃ) আমির-উল-মু'মিনীন নির্বাচিত হয়ে প্রথমেই নিজের ছেলেদের ডেকে পাঠালেন। তারপর গম্ভীর স্বরে বললেন, "তোমাদের বাবা ইসলামের খলিফা নির্বাচিত হয়েছে। সবাই জানে ন্যায়ের পক্ষ্যে উমার কতখানি কঠোর। কেউ অপরাধ করলে আমি অবশ্যই তাকে শাস্তি দেব। এবং অপরাধী যদি তোমরা হয়ে থাক, তাহলে সেই শাস্তির পরিমাণ হবে দ্বিগুন। প্রথমত অপরাধের জন্য, দ্বিতিয়্ত, খলিফার ছেলে হয়েও অপরাধ করার জন্য। তোমাদের শাস্তি এত প্রচন্ড হবে যে তোমরা যেন আফসোস করে ভাব, কেন তোমাদের বাবা খলিফা নির্বাচিত হলেন!"
তিনি তাঁর কথা রেখেছিলেন। নিজের ছেলেকেই মদ্যপানের শাস্তি দিতে গিয়ে পুত্রহারা হয়েছিলেন। একজন পিতা জানেন তাঁর কাঁধে সন্তানের মৃতদেহ কতখানি ভারী।

একেকটা খুনি জঙ্গিকে বেত্রাঘাত করতে করতে ফাঁসিতে ঝুলানোর আগে যেন তাদের আফসোস হয়, কেন তারা খুন করতে গেল। এবং তারচেয়েও বেশি আফসোস হয়, একজন মুসলিম হবার পরেও সে কেন খুন করতে গেল।
শেষ করি সাম্প্রতিক একটি ঘটনা দিয়ে। বঙ্গদেশের একটা ষোল বছরের হারামজাদা মাতাল অবস্থায় গাড়ি দিয়ে একটি যাত্রীবাহী রিক্সা পিষে ফেলেছে। বাপ চাচা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশের সহায়তায় হারামিটা পালিয়েও যেতে পেরেছে। দেশের সরকার হয়তো এই ছেলেটার কিছুই হতে দিবেনা। গরিব রিক্সাওয়ালা মরলে মরুক, রিক্সা চরনেওয়ালা যাত্রী মরলে মরুক....এইচবিএম ইকবালের ভাতিজা বলে কথা। চাচায় মিছিল করে পিস্তল নিয়ে, ভাতিজা যদি দুই একটা মানুষ গাড়িচাপা না দিল তাহলে চলবে?

উমার(রাঃ) কী করেছিলেন শুধু একটা ঘটনা বলি।
মিশর থেকে এক ব্যক্তি এসে খলিফাকে বিচার দিলেন মিশরের গভর্নরের পুত্র তাঁর উপর অত্যাচার করেছে। উমার সাথে সাথে মিশরের গভর্নর আমর ইবনে আস(রাঃ)সহ তাঁর পুত্রকে সমন পাঠালেন। খলিফার সমন পেয়ে আমর(রাঃ) নিজের পুত্রকে বারবার জিজ্ঞেস করলেন, "তুমি কোন অপরাধ করনিতো? নাহলে খলিফা কেন খবর পাঠালেন?"
আমরের পুত্র বারবার পিতাকে আশ্বস্ত করলেন তিনি কিছুই করেননি।

খলিফার দরবারে মিশরীয় ব্যক্তি প্রমাণ করে দিলেন ঘটনা। খলিফা নিজের লাঠি ধরিয়ে দিয়ে বললেন, "একে ততক্ষণ পর্যন্ত পিটাও যতক্ষণ না তোমার মন শান্ত হয়।"
গভর্নরের সামনেই এক সাধারণ জনতা তাঁর পুত্রকে লাঠি দিয়ে পেটালেন।
একটা সময়ে বেচারা ক্লান্ত হয়ে লাঠি ফেরত দিতে দিতে বললেন, "ধন্যবাদ হে আমিরউল মু'মিনীন। আমি আমার বিচার পেয়ে গেছি।"

উমার(রাঃ) বললেন, "বিচার এখনও শেষ হয়নি। এই নাও লাঠি, এখন তুমি গভর্নরকে মারো। তাঁর ছেলে তাঁর বাপের পজিশনের জোরেই এই কুকর্ম ঘটিয়েছে। কাজেই সে বুঝে নিক, তাঁর বাপের পজিশন তাঁর বাপকেও অপরাধ করার লাইসেন্স দেয় না।"

নজরুলের মতন আমারও আফসোস করে বলতে ইচ্ছা করে
"শুধু অঙ্গুলি হেলনে শাসন করিতে এ জগতের
দিয়াছিলে ফেলি মুহম্মদের চরণে যে-শমশের
ফিরদৌস ছাড়ি নেমে এস তুমি সেই শমশের ধরি
আর একবার লোহিত-সাগরে লালে-লাল হয়ে মরি!" 

পোস্টটি  লিখেছেন : মঞ্জুর চৌধুরী 

No comments:

Post a Comment