Labels: , , , ,

দোয়া-- সব কিছু চাওয়ার মাধ্যম

তারপর তিনি বলেন, "দা'ওয়াতাদ্‌দা'য়ী", এমন জোরাল শব্দ! তিনি বলেন "আমি", আচ্ছা প্রসঙ্গক্রমে বলি, "আমি" কখন ব্যবহার করা হয়? কখন বলেছিলাম? "আমি", "আমরা" আর "তিনি"। কখন "আমি" ব্যবহৃত হয়? খুব বেশি ভালবাসায়, অথবা খুব বেশি ক্রোধে? এখানে কোনটি? খুব বেশিই ভালাবাসায়! আমি সাড়া দেই, আমি নিজে সাড়া দেই, অবিলম্বে সাড়া দেই। কিন্তু কাকে তিনি সাড়া দেন? আপনি হয়তো ভাবতে পারেন আল্লাহ তাকেই সাড়া দেন যে প্রচুর দু'আ করে। বছরে ধরুন আমি একবারই দু'আ করি। যখন আপনার পরীক্ষা থাকে তখনঃ"ইয়া আল্লাহ! আমার পরীক্ষা আছে। আমীন।" অথবা লাল বাতি অতিক্রম করায় আপনি যখন পাঁচ হাজার রিয়ালের টিকেট পেতে যাচ্ছেন, তখন আপনার অবস্থা এরূপঃ "ইয়া আল্লাহ! আমার আর ক্যামেরায় দেখানো লাইসেন্সের মধ্যে একজন ফেরেশতা পাঠিয়ে দিন, আমি যেন এসএমএসটি না পাই, আর যাই পাই এসএমএসটি ছাড়া"। তখন আপনার আল্লাহকে স্মরণ হয়।

'দু'আ' শব্দটি ব্যবহার করা হয় যখন কেউ প্রচুর পরিমাণে দু'আ করে। কিন্তু কেউ যদি একবার দু'আ করে, মাত্র একবার, তখন সেটিকে বলা হয় 'দা'ওয়াতুন'। দা'ওয়াহ-এর শেষে আছে "তা মারবুতা", এই তা মারবুতা যেটি মাসতার মাররায় ব্যবহৃত হয় সেটি সেইসব অ্যারাবিক শব্দগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেগুলো একবার করে হয়। যেমনঃ 'দারব' মানে আঘাত করা কিন্তু 'দারবাতুন' মানে একবার আঘাত করা। আবার 'আকাল' মানে খাদ্য কিন্তু 'আকলাতুন' মানে একবারের খাবার। এই তামার মুতা তাকে 'একবার' করে দেয়। আল্লাহ বলেন, "দা'ওয়াতাদ্‌দা'য়ী", আমি একটি ডাকেও সাড়া দেই। সেই মানুষটি মাত্র কয়বার দু'আ করেছে? একবার। আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করেন না, কোথায় ছিলে তুমি সারা বছর? কখনো কোন নামাযে আসোনি অথচ পুরো জীবনে কিনা একবার মাত্র দু'আ করলে আমার কাছে? ভুলে যাব তোমাকে। তুমি কিনা একবারই আমাকে স্মরণ করলে! ধরেন আপনি একজন চাকুরীজীবী। 


গোটা বছরে আপনি মাত্র একবার কাজে উপস্থিত হলেন। আপনার চাকরিটা থাকবে না! বস বলবেন, "আপনি কে?" "আমি এখানে কাজ করি"। "কখন?" "আমি গত বছর এই চাকরি পেয়েছি"। "এখানে কি করছেন?" "অ্যা, আমি জানি না কিন্তু এখন তো অন্তত এসেছি। আমরা কি আবার সব শুরু করতে পারি?" আপনার বস কি বলবেন, "অবশ্যই, এক্ষুনি স্যার! প্লিজ! আপনাকে একটি প্রোমোশন দেই না কেন!" না। তিনি আপনাকে সেই অফার দিবেন না। আল্লাহ আপনাকে দিচ্ছেন। 'দা'ওয়াহ' শব্দে, তিনি বলছেন, আমি তার আহ্বানেও সাড়া দিব যে কখনো দু'আ করেনি, মাত্র একবারই দু'আ করেছে। তাদেরও বলা উচিত, ইয়া আল্লাহ। তিনি জবাব দিবেন। নিজেকে বলবেন না, 'আহ! আমার তো দাড়িও নেই, কেবল গোঁফ রয়েছে, আল্লাহ আমার দু'আ কবুল করবেন না'।

আল্লাহ করবেন। অথবা রামাদানে মুভি দেখতে পারব না, তাই আগে থেকেই তিনটির মত মুভি দেখে ফেলেছি। এখন আমি দু'আ করব? আল্লাহ তারপরও সাড়া দিবেন আপনার ডাকে। এটা শুনে আবার কেউ মুভি দেখতে যাবেন না। কখনও মনে করবেন না যে আল্লাহ আপনার দু'আয় সাড়া দিবেন না। যে কিনা একটিও দু'আ করে, আল্লাহ তার ডাকেও সাড়া দেন। এবার আপনি বলতে পারেন, আচ্ছা, লোকটি একটি দু'আই করেছে কিন্তু হতে পারে যে সে একজন খুব ভাল মানুষ। হতে পারে সে একজন সালেহ, একজন মু'মিন, হতে পারে তার অনেক তাক্বওয়া আছে কিংবা তার ইলম বেশি। এও হতে পারে যে সে তওবা করেছে। 'উজিবুদ্‌ দা'ওয়াত্‌তায়িবি', আমি তার আহ্বানে সাড়া দেই যে তওবা করে। আল্লাহ তা বলেননি। তিনি বলেছেন, আমি সেই মানুষটিকে সাড়া দেই, 'দা'ওয়া', তার একটি দু'আতেই সাড়া দেই, 'আদ-দা'আ', যে ডেকেছে। এই মানুষটির উদাহারণ কীরূপ? সে কি করেছে? সে ডেকেছে। অন্যকথায়, আল্লাহ কি তার কাছ থেকে অন্য কোন গুণ আশা করেছেন? তিনি কি বলেছেন, দা'ওয়াতুল মুসল্লি? দা'ওয়াতুল মুত্তাক্বি? দা'ওয়াতুল মু'মিন? না! তিনি বলেননি যে আপনার তাক্ব্ওয়া থাকতে হবে, আপনার ইমান থাকতে হবে, বলেননি আপনার ইলম থাকতে হবে। এই দু'আয় বলেননি। কেন? 


কারণ, আল্লাহ এখানে সেইসব মানুষের সাথে কথা বলছেন যারা আল্লাহ-এর থেকে বহু দূরে চলে গেছে। এবং তিনি প্রথমেই তাদের বলছেন যে, দেখো আমি কাছেই, তুমি দূরে, আমি তোমার নিকটেই। এরপর তিনি তাদের বলেন, দেখো আমি জানি এই একটি দু'আ ছাড়া তোমাদের কাছে এই মুহুর্তে আর কিছুই নেই। ঠিক আছে। দাও, আমাকে এই একটি দু'আই দাও। যদিও তুমি একজন দা'আ, শুধুই একজন আহ্বানকারী। তোমার জন্য আমার কাছে আর কোন বিবরণ নেই। আমি তোমাকে এখনো পর্যন্ত একজন সালেহ ডাকতে পারি না, মুসলিম ডাকতে পারি না, মু'মিন ডাকতে পারি না। আমি তোমাকে কিছুই ডাকতে পারি না। আমি শুধু তোমাকে ডাকছি একজন দা'আ, একজন আহ্বানকারী। সেটি কোন যোগ্যতাই নয়। শুধু তাই। তাই যথেষ্ট।শুধু আমাকে ডাকো। সুবানাল্লাহ!

আল্লাহ এর পক্ষ থেকে কত বড় একটি আমন্ত্রণ! আর এগোনোর আগে বলে রাখি, আমি বলেছিলাম, কখনো একজন বসের ৫০০ জন কর্মচারী থাকে। সে কি তাদের সকলের নাম জানে? না। বিশেষ করে সেই কর্মচারীকে যে তাকে পুরো জীবনে মাত্র কয়টি ই-মেইল পাঠিয়েছে? একটি ই-মেইল। কিভাবে সে তাকে মনে রাখবে? কর্মচারীটি যদি তাকে টেক্সট মেসেজ পাঠায়, তার তো ওর নাম সেইভ করা নেই। সে জানবে না নাম্বারটি কোথা থেকে এসেছে। আল্লাহ বলেননি, 'উজিবুদ্‌ দা'ওয়াতাদ্‌ দা'য়িন' তিনি বলেছেন, 'উজিবুদ্‌ দা'ওয়াতা আদ দা'য়ি'। এই শব্দটির মধ্যে থাকা আলিফ লাম, তাকে মা'রিফা বানিয়ে দেয়। অর্থাৎ,যথাযথ এবং নির্দিষ্ট করে দেয়। অন্যভাবে বলা যায়, যে কেউ আল্লাহকে ডাকে, আল্লাহ বলেননা যে কোন একজন শুধুই ডেকেছে। তিনি বলেন সেইজন আমাকে ডেকেছে, সেই নির্দিষ্ট মানুষটি। আপনি আল্লাহ এর কাছে নির্দিষ্ট। তিনি আপনাকে বিশেষভাবে, ব্যক্তিগতভাবে চিনেন। 


কোন ডাক্তার আপনার নাম মনে রাখতে পারবে না যদি তাকে দিনে ১০০টি রোগী দেখতে হয়। সে আপনার নাম জানবে না। সে এভাবে বলে চেষ্টা করবে, "মুহাম্মাদ, কেমন আছ? চলে এস।" হাহাহা। সবাই মুহাম্মাদ, অন্তত সম্ভাবনা তো রয়েছে। সে আপনাকে নামে চিনতে পারবে না, আপনি জানেন। আমি মানুষের সাথে মিশি, ওয়াল্লাহি, আমি তাদের সাথে মিশি। তখন আমি বোল্টামোরে ছিলাম। একজন বয়স্ক ব্যক্তি আমার কাছে এলেন। বললেন, "বেটা কেমন আছ? আমার মনে পড়ে,তুমি যখন খুব ছোট ছিলে, তখন মসজিদের ভিতর ছোটাছুটি করতে।" আমি তখন মনে মনে ভাবছি, হায় আমি তো টেক্সাস থেকে। কিন্তু মুখে বললাম, "জ্বী, আমারও মনে আছে।" আমি কথা চালিয়ে গেলাম। হাহাহা। তার আসলে মনে নাই। মানুষ মনে রাখে না। আল্লাহ আয্‌ওয়াজ্জাল নির্দিষ্টরূপে পর্যন্ত চিনেন।

 আপনি হয়তো বলবেন, কোম্পানির সি.ই.ও কিভাবে আমার নাম জানবে। আমি তো শুধুই একজন নিরাপত্তাকর্মী। তার অবস্থান কত উঁচুতে আর আমি কত নিচু পর্যায়ে। কিভাবে সে আমার নাম জানবে? কিভাবে একজন প্রেসিডেন্ট তার দেশের একজন অধিবাসীকে চিনবে? কিভাবে সেটি সম্ভব! আপনারা সবাই যদি আমার কাছে এসে নিজেদের নাম বলেন, আমার কি মনে থাকবে? আমি জানি না। আমি জানি না। এখানে কারো কাছে যদি আমার ফোন নাম্বার থাকে,(প্লিজ আমার ফোন নাম্বার নিবেন না), কিন্তু যদি থেকে থাকে আর আপনি যদি আমাকে একটি এস.এম.এস পাঠান। আমার কাছে তো আপনার নাম্বারটি সেইভ করা নেই। আমি কি জানবো কে এটি পাঠিয়েছে? আমি জানব না কে পাঠিয়েছে। আমার কাছে শুধু একটি নামার রয়েছে। কোন নাম নেই। আমার কাছে কিছুই নেই। যখন আপনি আল্লাহকে ডাকেন, আল্লাহ বিশেষভাবে জানেন যে এক্স্যাক্টলি আপনি কে। এবং তিনি তৎক্ষণাৎ আপনাকে সাড়া দিতে চান। তিনি আপনার সাথে তখনই নতুন সম্পর্ক শুরু করতে চান। গতকাল যা হয়েছে, তা হয়ে গেছে। আজ থেকে শুরু করুন। আপনি আজই মুসলিম হয়ে উঠুন।

আজ থেকেই আল্লাহকে ডাকতে থাকুন। 'উজিবুদ দা'ওয়াতাদ্‌দা'য়ি।' এবার, যে প্রশ্নটি আপনাদের আগে করেছিলাম, যে প্রবলেমটি আপনাদের দিয়েছিলাম, সেটা ছিল যে ধরুন আপনি একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সাথে দেখা করতে চান। সেটি কার শিডিউলে হয়? আপনার না গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির? গুরুত্বপূর্ণ মানুষটির শিডিউলে। শিক্ষা মন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চাইলে আপনি তার মন্ত্রণালয়ে হেঁটে গিয়ে তাকে বলবেন না যে "এহ, চলুন, আপনার সাথে আমার এক মিনিট কথা আছে।" আমি ডিসিতে গিয়ে বলব না যে ওবামার সাথে আমার পিজা স্লাইস খাওয়া প্রয়োজন। আপনি এমনি এমনি প্রেসিডেন্টের কাছে যেতে পারবেন না। আমিও পারব না। আপনি যদি একজন কর্মচারী হন যেমন কেউ যদি আগে মাইক্রোসফটে কাজ করত যখন বিল গেইটস সেখানে ছিলেন। আপনি বলবেন না, "হেই বিল, আমার সাথে পিজা খাবে?" আপনি সেটা করবেন না। আপনার জন্য তার সময় নেই। আল্লাহকে ডাকার ভাল সময় কোনটি? মানুষ বলে কোন সময়টি আল্লাহ এর কাছে দু'আ করার জন্যে উত্তম। মানুষ তাই বলে। আর অবশ্যই আমরা রামাদান নিয়ে কথা বলছি। সে যাই হোক, তিনি কি বলেন এই ব্যপারে। তিনি বলেন, 'উজিবুদ দা'ওয়াতাদ্‌দা'য়ি ইযা' যে কোন সময়ে। যে কোন সময়, দা'আনি, যখনই সে ডেকেছে। যখনই তুমি আমাকে ডাকবে, তখনই আমি তোমাকে সাড়া দিব। সকালে ডাকো, আমি সাড়া দিব। অপরাহ্নে ডাকো, আমি সাড়া দিব। ঘুমোতে যাবার আগে ডাকো, আমি সাড়া দিব।

সুবানাল্লাহ! এটি সম্পূর্ণ আয়াত নয়। এটি আয়াতের প্রথম অংশ। আমি তোমাকে সাড়া দিব যখনই তুমি আমাকে ডাকবে। এটি আল্লাহ এর আহ্বান। এটা কিভাবে হয় যে আমরা এই আহ্বানকে উপেক্ষা করে যাই? কিভাবে একজন মানুষ আল্লাহের বাণী শুনেও দু'আ না করে থাকতে পারে? আমি বুঝতে পারি না। তারপর তিনি বলেন, এতক্ষণে আমি তোমাকে আহ্বান করলাম। আমার আহ্বান হল, আমি তোমার কাছেই আছি, আমি যেকোন সময় তোমার ডাক শুনতে প্রস্তুত, যদিও তুমি একবার দু'আ কর, তারপরও আমি তোমার কথা শুনব। দু'আ ছাড়া তোমার আর কোন ইসলামিক গুণ না থাকলেও আমি তা শুনব। তবে তোমার কি করা উচিৎ? আল্লাহ আপনার জন্যে এতসব করছেন। আপনি তাঁর জন্যে কি করবেন? তিনি বলেন 'ফাল ইয়াসতাজিবুলি'। অন্যান্য শব্দের ছিল আজাবা আর ইসতিজা, মনে আছে? ইসতিজাবা মানেও হল উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা। কেউ আমাকে বলল, "ভাই, আপনার সাথে লাঞ্চ করতে চাই।" আমি বলব, "আমি সময় বের করার চেষ্টা করব। আমি জানি না আমি এইটা পারব কিনা। তবে আমি চেষ্টা করব।" চেষ্টা করা মানে, হয়ত আপনি সফল হবেন, অথবা হয়তো বিফলতা লাভ করবেন।

আল্লাহ বলেন 'ফাল ইয়াসতাজিবুলি', তাদের অন্তত আমাকে সাড়া দেয়া উচিত। তোমরা আমার কাছে কিছু জিনিষ চাইছ, আল্লাহ বলেন। তোমরা আমার কাছে ভাল চাকরি চাইছ, স্বাস্থ্য কামনা করছ, তোমাদের সন্তানদের নিরাপদে রাখতে বলছ, তোমাদের বাবা মায়ের জন্যে আমার কাছে চাইছ, একটি বাড়ি চাইছ। তোমরা আমার কাছে সবকিছু চাইছ, আমিও তোমাদের কাছে কিছু আশা করছি। আমি তোমাদের কাছে কি চাইছি? 'ফাল ইয়াসতাজিবুলি', তাদের উচিত আমার ডাকে সাড়া দেয়া। তাদের উচিত আমাকে সাড়া দেয়া। এখন ব্যপারটি হল, ফাতিহায়, সুরাতুল ফাতিহায়, আমরা আল্লাহ এর কাছ কি চাই? কেউ জানেন? আমরা চাই পথপ্রদর্শন। কিন্তু আল্লাহ আমাদের কাছে কি চান? ইবাদাহ। 'ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতা'য়িন'। 'নাসতা'য়িন' মানে আমরা সাহায্য চাই। কিন্তু আল্লাহের কাছে কিছু চাইবার আগে, আমরা আল্লাহকে বলি যে আমরা তাঁর জন্যে কি করব। আমরা তাঁর জন্যে কি করব? 'ইয়্যাকা না'বুদু'। তিনি আমাদের জন্যে কি করবেন? 'ইস্‌তি'আনা ' তিনি আমাদের সাহায্য করবেন। তাহলে আপনি আল্লাহের জন্যে কি করবেন সেটি প্রথমে আসা উচিত। আর দ্বিতীয়ত আসবে আপনি নিজের জন্যে যা চান।


 কিন্তু রামাদানের এই সকল আয়াতে, তিনি বলেন, আমি তোমাকে সাড়া দিব যখনই তুমি আমাকে ডাকবে। এরপর তিনি বলেন , তোমার উচিত আমাকে সাড়া দেয়া। তিনি বলেননি, আমাকে সাড়া দিলে পরে আমি তোমাকে সাড়া দিব। সুবাহানাল্লাহ! এমন কি তিনি নিজেকে দ্বিতীয় পজিশনে রেখেছেন! এবং এই আয়াতে প্রথমে রেখেছেন আপনাকে আর আমাকে। তিনি নিজেকে দ্বিতীয় পজিশনে রেখেছেন। 'ফাল ইয়াসতাজিবুলি ওয়া ইউ'মিনুবি' তাদের উচিত আমার প্রতি সাড়া দেয়া, খাঁটি ঈমান আনা। আমাকে প্রকৃতরুপে বিশ্বাস করা তাদের উচিত।'লা'আল্লাহুম ইয়াসহুদুন'(?) যাতে তারা সরল পথে পরিচালিত হতে পারে। যাতে তারা ভাল মানুষ হতে পারে। তারা যেন নিজেদের বদলে নিতে পারে। সুবাহানাল্লাহ! রামাদানের এই কিছু আয়াত রূপান্তরে ভূমিকা রাখে, একেবারে বদলে দেয় এই মাস সম্পর্কে আপনি যেভাবে ভাবতেন। আমরা যদি এই কয়েকটি আয়াতই শুধু অনুধাবন করি, এদের প্রতিফলন ঘটাই, তবে কোর'আনের সাথে, দু'আর সাথে, আল্লাহ-এর সাথে, আপনার যে সম্পর্ক তৈরী হবে, তা রামাদান পরবর্তীকালীন সময়ের জন্যেও সম্পন্ন হয়ে যাবে। এই সকল জিনিষ আপনাকে অন্তরে গেঁথে নিতে হবে।


ইউটিউব লিংকঃ http://youtu.be/zhuXilGRG5M

No comments:

Post a Comment