শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

মুহাম্মদ (সাঃ)-আল্লাহর রাসূল

মুহাম্মদ (সাঃ)-সকল মানুষের জন্য উদাহরন, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, ও আল্লাহর রাসুল

আল কোরআন - মহান আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব

এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,

আমাদেরকে সরল পথ দেখাও

আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

আল্লাহ নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু

সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

Labels: , , ,

সুরা দুখান -শবে বরাত না শবে কদর সম্পকে নির্দেশ করে ও কিছু প্রশ্ন

শব্দ গত বিশ্লেশন: শবে বরাত শব্দ দু’টি যেরূপ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এর কোথাও নেই তদ্রূপ নামায, রোযা, খোদা, ফেরেশতা ইত্যাদি শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এর কোথাও নেই। এখন শবে বরাত বিরোধী লোকেরা কি নামায, রোযা ইত্যাদি শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এ না থাকার কারনে ছেড়ে দিবে?

অবশ্যই শবেবরাতে নামাজ পরুন, দান করুন, আত্বীয় প্রতিবেশিদের সাথে দেখা করুন কোন সমস্যা নেই,এর সামাজিক ও পারিবারিক উপকারিতা কম নয় কিন্তু এই রাতেই আবার দেখাযায় মাজারে মহা ভীড়, লোকজান গরিব দের না দিয়ে নিজেরা বড় বড় রুটি হালুয়া অপচয়ে ব্যস্ত ,যদিও এখন আতশ বাজী বোম ফোটানো নেই।

আল্লাহর কাছে কিছু বিশেষ মর্যাদাপুর্ন দিন/রাত আছে তাই বলে বাকি দিনের খবর আমরা বেমালুম ভুলে যাই। শবে বরাতে এত নামাজ কেন পড়ি যাতে পুরা বছর ভালা যায় তাই একদিনে সব পুরন করে নিব বাকি দিন আমারে মসজিদের আশে পাশেও দেখবেন না এইরকম করাটা কতটুকু ঠিক তা সবার কাছে প্রশ্ন?

নামাজ=সালাত, রোজা=সাওম, খোদা= আল্লাহ/রব্ব , ফেরেস্তা=মালাইকা এই সব কোরআনে যে আছে সবার নিশ্চই জানা আছে। তাই আর কিছু বলার নেই।

এখন দেখি শবে বরাত আছে কি না ? সেটা আপনারা খুজে দেখতে পারেন কোরআনে নেই, শাবে কদর যে আছে আর সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আছে মানে পুরা একটি সুরাই আছে। অনেকে শবে বরাত সম্পকে বলতে গিয়ে সুরা দুখানের প্রথম ৫ টি আয়াত রেফার করেন

এখন আসি সুরা দুখান ৪৪ আয়াত ১-৫ বিষয়ে ,আসুন আগে আয়াত গুলো অর্থ দেখি

অর্থঃ শপথ প্রকাশ্য কিতাবের! নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন নাযিল করেছি। নিশ্চয়ই আমিই সতর্ককারী। আমারই নির্দেশক্রমে উক্ত রাত্রিতে প্রতিটি প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো ফায়সালা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।” (সূরা দু‘খান, আয়াত শরীফ ২-৫)বিশেষ করে ৩ নং আয়াতটা إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ

03আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।


এবার দেখি সুরা কদর ৯৭


إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
01আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।


وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ

02শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?

لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ

03শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

এই দুটি সুরার আয়াতে একটি মিল কি জানেন দুটোয় বলাআছে ইন্না আনযালনাহু ফিই লাইলাতুল (কদর/মুবারাকা) আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে/বরকতময় রাতে

অনেকে বলেন দেখুন এখানে Click This Link :মহান আল্লাহ পাক তিনি যে সুরা দু’খান-এ বলেছেন, “ আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি ” এর ব্যাখ্যামুলক অর্থ হল “ আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিলের ফায়সালা করেছি “। আর সুরা ক্বদর-এ ” আমি ক্বদরের রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি ” এর ব্যাখ্যামুলক অর্থ হল ” আমি ক্বদরের রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি “।

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি শবে বরাতে কুরআন শরীফ নাযিলের সিদ্ধান্ত নেন এবং শবে ক্বদরে তা নাযিল করেন।

এখন আপনারাই বলেন একই শব্দের [ইন্না আনযালনাহু]দুটি অর্থ কিভাবে ব্যখ্যা করবেন? একটি হলো নাযিল করেছি আর একটি নাযিলের ফয়সালা করেছি, তবে নাযিলের ফয়সালা অর্থটা সুরা কদরে কেন হবেনা? এটা কি সুস্পস্ট ভুল ব্যখ্যা নয়?

আর সুরা দুখানের অর্থগুলো যদি একটু খেয়াল করেন আল্লাহ বলেছেন

শপথ প্রকাশ্য কিতাবের!= আল কোরআনের শপথ

নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন নাযিল করেছি। = যেই রাতে কোরআন নাযিল হয়েছে সেটা নিশ্চই বরকতময় রাত্রি

নিশ্চয়ই আমিই সতর্ককারী।= কারন আল্লাহ কোরআনের মাধ্যমে মানুষকে সকর্ত করেন

আমারই নির্দেশক্রমে উক্ত রাত্রিতে প্রতিটি প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো ফায়সালা হয়।= আল্লাহর নির্দেশেই প্রতিটি প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো মানুষের জন্য যা কল্যন কর বা অকল্যান কর তা তিনি কোরআনে ফয়সালা করে দিয়েছেন,

আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী= আল্লাহ কোরআন প্রেরন করেছেন। প্রেরনের চিন্তা করেন নি বা নাযিলের ফায়সালা করেন নি, তিনি নাযিল করেছেন শবে কদরে।


তো সুরা দুখান নিশ্চই কোরআন নাযিলের রাতকেই নির্দেশ করছে নাযিলের ফয়সালা কে নয়। কারন সুরা দুখানের ঐ আয়াত সমুহে কোরআনের মহাত্ব নিয়ে বর্ননা রয়েছে আর তাই কোরআন নাযিলের রাত্রির কথা প্রাসংগিক ভাবে এসেছে। আর অনেকে যে আয়াত কে শবে বরাতের দিকে নির্দেশ করেছে বলছেন তাদের বলব সুরা দুখানের ৩নং আয়াতের আশে পাশে আয়াত দেখুন কোরআন সম্পকে বলা আছে ।


আর অনেকে বলেছেন লাইলাতুম মুবারাকাহ দ্বারা শবে বরাত বা ভাগ্য রজনীকে বুঝানো হয়েছে।

তো আল্লাহ কি ভুলে গেছেন শবে বরাত কে কোরআনে উল্লেখ করতে? শবে বরাত যদি আল্লাহ আমাদের জন্য এত গুরুত্বপুর্ন মনে করতেন তবে তিনি নিশ্চই বলতেন একটি আয়াত হলেও শবে বরাত শব্দ উল্লেখ করতেন তিনি বলতেন এই সেই মহিমান্মিত রাত শবে বরাত যাতে তোমাদের ভাগ্য লিখা হয়, বা তোমরা শবে বরাতের রাতে বরকতের তালাশ কর, বা কোন একটি সুরা শবে বরাতের নামে কারন অনেকেই বলেন লাইলাতুম মুবারাকাহ শবে বরাত বা ভাগ্য রজনীকে বুঝানো হয়েছে।

তবে কি আল্লাহ আমাদেরকে তার ভাগ্য রজনী সম্পকে জানাতে ভুলে গেছেন, তিনি যদি সুরা কদর নাযিল করতে পারেন এর মর্যাদার জন্য তবে শবে বরাতের জন্য কেন নয়?

শবে বরাত যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ হত তাহলে এই রাতের নাম "লাইলাতুল বারাত" শব্দটি কুরআন তো দূরের কথা, কোন দূর্বল হাদীসেও পাওয়া যায় না কেন? যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ রাত হত তাহলে রাসূলুল্লাহ(সা) কি সাহাবীদের জানাতেন না এবং রাতভর ইবাদত করতে উদ্বুদ্ধ করতেন না? যদি করতেন তাহলে এর স্বপক্ষে শক্তিশালী হাদীস নেই কেন? সাহাবীরা এ রাত পালন করতেন এরকম দলীল নেই কেন? আর আমার জানামতে মানুষের ভাগ্য তার জন্মের পূর্বেই নির্ধারিত হয়ে থাকে, প্রতি বছর বছর হালনাগাদ হয় না। ইবাদত করতে দোষ নেই এ রাতে তবে এ রাতকে উদ্দেশ্য করে ইবাদত করে একে একটা আচারে পরিণত করাটা বিদআত হওয়াটাই স্বাভাবিক।

যেটাতে আমি গুরুত্বপুর্ন ভাবছি আমাদের মিডিয়ার উচিত এই বিষয়টা স্পস্ট করে প্রচার করা। যেন আমরা আমাদের মধ্যে শবে কদরের রাতটি হয়ে ওঠে সর্বাপেক্ষা মহিমান্নিত ও গুরুত্বপূর্ণ। আর শবে বরাতের কথা যেহেতু নেই তাই যে ইচ্ছা পালন করুক তবে যেন ভুল ধারনায় নয় যেন এই রাত্রিতে সব কিছু নির্ধারিত তাই যদি কিছু পাওয়ার ইচ্ছা থাকে শবে কদরে বেশি নামাজ রোজা মোনাজাত করুন।

ইসলামী শরীয়তে হাজার হাজার বিসয় আছে যেগুলো সরাসরি কুরআন শরীফে নেই। তাহলে আপনি সে সব বিষয়েও কি বলবেন আল্লাহ ভুলে গেছে?   
    
হ্য নাই হাজার হাজার বিষয় , এখন দুটি দিক দেখতে হবে এক শবে বরাত কি কোরআনে আছে অথবা হজরত মুহাম্মদ (সঃ) বা সাহাবিরা পালন করেছিলেন,

কারন বিদায় হজ্জের শেষ কথা কি ছিল নিশ্চই জানেন , আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন কে পরিপুর্ন করলাম।আল কোরআনের শেষ নাযিল কৃত আয়াত

আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।সুরা আল মায়েদাহ আয়াত ৩।
“This day I have perfected your religion for you, completed My Favour upon you, and have chosen for you Islam as your religion.” [5:3]

আমি কাউকে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকতে বলিনি, বলেছি যাতে আপনারা এটা মনে না করেন যে শবে বরাত কোরআন দ্বারা প্রতিস্ঠিত। অনেকে আবার এর আমাকে জন্য মুরতাদ বলতেও থেমে থাকবেন না সেটা তাদের ব্যপার।


অনেকে আমাকে শাবে বরাত সম্পকে জিগ্গেস করছেন তাদের জন্য শবে বরাত সম্পকে বই: যাতে এর উৎপত্তির কারন , বিকাশ ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর রেফারেন্স সহ আশাকরি কাজে লাগবে

শিরোনাম: শবে বরাত ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
ভাষা: বাংলা
লেখক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
http://www.islamhouse.com/p/43454


লিখেছেন-  ফয়সাল হাসান

মিলাদ , শবে বরাত ও মিলাদউন নবী
হাফেজ মুহাম্মদ আইয়ুব
Milad Shobe Borat O Miladun Nabee Keno Bid'at Hafiz Muhammad Ayyub
Click This Link  

0 comments
Labels: ,

ডিসিশন... কোনটি নিবেন??

আপনি যদি টাকা চান আমরা আপনার জন্য এত টাকা যোগার করব যাতে আপনি আমাদের মত ধনি হতে পারেন।


আপনি যদি লিডারশিপ/ক্ষমতা চান তবে আমরা আপনাকে আমাদের লীডার/নেতা বানাব এবং আপনার অনুমতি ব্যতিত কোন কিছু ডিসাইড করবোনা।



আর আপনি যদি রাজত্ব চান তবে আমরা আপনাকে আমাদের রাজা/প্রধান মন্ত্রী বানাব।



আপনি যদি বউ চান আমরা আপনার জন্য সবচেয়ে সু্ন্দরী মেয়ে খুজে আনবো ।



আপনি কি উত্তর দিবেন যদি এ সব কিছু আপনাকে অফার করা হয়???


যখন মহানবী মোহাম্মদ (সঃ) ইসলাম প্রচার শুরু করেন সেই সময়ে আরবের কোরআইশরা মহানবী মোহাম্মদ (সঃ) কে উপরোক্ত অফার গুলো দেয়।

আপনি কি জানেন তিনি কি উ্ত্তর দিয়ে ছিলেন? তোমরা যদি আমার এক হাতে চন্দ্র ও অন্য হাতে সূর্য এনে দাও তবুও আমি সত্য প্রচারে বিমুখ হবো না।

মহানবী মোহাম্মদ (সঃ) এর সবই প্রত্যাখান করেন।


তিনি চাইলেই প্রথম দিকে কোন রিস্ক ও ডিফিকালটি ছারাই এগুলো পেতে পারতেন তবু কেন তিনি মানুষ কে আল্লাহর পথে ডাকতে থাকেন এই অফার গুলো ছেরে??

কেন তিনি নিজের লোকদের দ্বারা অত্যাচরিত হতে থাকলেন ? কেন তিনি নিজের প্রিয় মক্কা নগরী ছেরে মদিনায় হিজরত করলেন?? যখন তিনি মক্কাতেই রাজার মত থাকতে পারতেন তাদের অফার গুলো মেনে।

তার মানে এই নয় কি ইসলাম সত্য ধর্ম। কোন লোভ লালসার বা মোহাম্মদ (সঃ) নিজের বানানো বা নিজের লাভের জন্য প্রচারিত ধর্ম নয়??

মোহাম্মদ (সঃ) কে জানুন তারপর ডিসিশন নিন...কোনটি নিবেন??

পোস্ট আইডিয়া সুত্র:

লিখেছেন-  ফয়সাল হাসান

0 comments