শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

মুহাম্মদ (সাঃ)-আল্লাহর রাসূল

মুহাম্মদ (সাঃ)-সকল মানুষের জন্য উদাহরন, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, ও আল্লাহর রাসুল

আল কোরআন - মহান আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব

এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,

আমাদেরকে সরল পথ দেখাও

আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

আল্লাহ নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু

সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

Showing posts with label লাইলাতুল কদর. Show all posts
Showing posts with label লাইলাতুল কদর. Show all posts
Labels: ,

লাইলাতুল কদর মহিমান্বিত শ্রেষ্ঠ রাত, ঐশ্বর্যময় রাত, কোরআনের রাত কেন? জানেন কি?

শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ রাত কেন? জানেন কি?


‘লাইলাতুল কদর’ আরবি শব্দ। এর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুন’ অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা। । এ রাত্রিকে লাইলাতুল কদর হিসেবে নামকরণ করার কারণ হলো, এ রজনীর মাধ্যমে উম্মতে মুহাম্মদীর সম্মান বৃদ্ধি করা হয়েছে বা এ রাতে মানবজাতির তাকদির পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই এই রজনী অত্যন্ত পুণ্যময় ও মহাসম্মানিত। আল্লাহ তাআলা যে মহিমাময় রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন, যে একটি মাত্র রজনীর ইবাদত-বন্দেগিতে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, [কারন একদিনের বোধোদয়/জ্ঞান হাজার মাস অজ্ঞ বা নিরক্ষর থাকা হতে উত্তম]
The Night of Majesty is better than a thousand months. [A day of enlightenment is better than a life-time of ignorance]

কদরের রাত কে কেন কোরআন বোঝার ও পড়ার রাত বলাহয় তার কারন সুরা কদর এর সাথে পুর্বের সুরার সম্পক যেমন:
১। সুরা আলাক শুরু হয়েছিল কিভাবে আল্লাহ কোরআন নাযিল শুরু করেন ,আর এই সুরা কদর কখন কোরআন নাযিল হয় সেটা নিয়ে আলোচনা করে।

২। সুরা আলাক শুরু হয় " اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন
আর সুরা কদর শুরু হয়েছে "إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে। "

আরো দেখুন সুরা কদরের ২ নং আয়াতে বলা হয়েছে
وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
অথ যা বুঝাচ্ছে যে: আপনি জানতেন না কদরের রাত কি। আপনি শুধুমাত্র জানতে পেরেছেন কারন আল্লাহ আপনাকে এ বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন / বলেছেন।

৩। সুরা আলাকের শেষ আয়াত ১৯ নং :"كَلَّا لَا تُطِعْهُ وَاسْجُدْ وَاقْتَرِبْ
কখনই নয়, আপনি তার আনুগত্য করবেন না। আপনি সেজদা করুন ও আমার নৈকট্য অর্জন করুন।[ সেজদাহ্ ]"

সুরা কদরে বলা হয়েছে- সারাবছরের মধ্যে সবচেয়ে ভাল সময় হলো আল্লাহর কাছাকাছি যাবার - কদরের রাতে (যা রমজানের শেষ দশ রাত্রিতে)

আর কাছাকাছি যাবার মাধ্যম হল সেজদাহ্ তাই দেখুন সুরা আলাক শেষ হয়েছে সেজদাহ্ দিয়ে।

৪। সুরা আলাকে বলা হয়েছে ইকরা-পড়ুন(কোরআন)
আর সুরা কদরে বলা হয়েছে কোরআন নিয়ে মানে কোরআন পড়তে বলা হয়েছে।

এবার দেখি কদরের রাত কোনটি হতে পারে?
আমরা মোটামুটি শিওর যে এটা রোজার/রমজানের শেষ দশ রাতের মধ্যে যে কোন বেজোর একরাত (২১,২৩,২৫,২৭ অথবা ২৯ তম রাতে হতে পারে)

সুরা কদরের আয়াত সংখ্যা ৫ টি ঠিক যেমন রমজানের শেষের বেজোর রাতও ৫ টি।

ইবনে আব্বাসের একটি মতামত রয়েছে যে লাইলাতুল কদর ২৩তম রাত্রিতে (উনার ইজতিহাদ বা রিসার্চের উপর নির্ভর করে উনি বলেছিলেন)
পরবর্তীতে উনি মতামত দেন লাইলাতুল কদর ২৭তম রাত্রিতে।

সবচেয়ে বেশি আলোচিত মতামত বেশির ভাগ আলেম/বিদ্বানেরা ২৭ তম রাত্রিকেই লাইলাতুল কদর বলে মতামত দিয়েছেন।

এটা খুবই কৈতুহলপুর্ন/আকর্ষনীয় যে কিভাবে ইবনে আব্বাস হজরত উমর ইবনে খাত্তাব (রঃ)কে ব্যখ্যা করেন কেন তিনি ২৭তম রাত্রিকে কদরের রাত বলে মতামত দেন তিনি বলেন: লাইলাতুল কদর ৯টি অক্ষর নিয়ে গঠিত [লাম, ইয়া, লাম, তা,আলিফ, লাম, কাফ, দাল, রা=৯টি অক্ষর]

এবং তিনি আরো বলেন লাইলাতুল কদর সুরা কদরে তিন বার উল্লেখ করা হয়ছে তাই ৯ x৩ =২৭ তাই তিনি মতামত দেন যে লাইলাতুল কদর ২৭শে রমজান।

এই পদ্ধতিকে দলিল বা প্রমান হিসেবে নেয়া হয়নি তবে এটা খুবই ইন্টারেস্টিং যে কিভাবে তিনি তার মতামত দেয়ার পিছনে যুক্তি দাড় করিয়ে ছিলেন।

তিনি আরো বলেন এই সুরা কদরে ৩০ টি শব্দ আছে (ঠিক যেমন ৩০টি রোজা) কিন্তু ২৭ মত শব্দ হলো هِيَ হিয়া [যার অর্থ এটি] আয়াত নং ৫ এ।

তিনি তারপর বলেন হিয়াবা যার অর্থ এটি দ্বারা বোঝায় যে- এই শব্দটা ৩০টি শব্দের মধ্যে ২৭ তম, ঠিক যেমনি ২৭ তম রাত কদরের রাত ৩০টি রমজানের রাতের মধ্য হতে।

তাই দেখুন সাহাবারা কোরআনকে নিয়ে কত রকম ভাবে ও কত গভীরে চিন্তা করতেন।

সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হলো এটা শেষের যে কোন বেজোর রাতে আর আমরা ঠিক জানিনা কোন রাতটা আর আলেমরা মতামত দেন যে আপনি শেষের ১১ টি রাতকে গুরুত্ব সহকারে নিন কারন ভিন্ন মতামত ও কনফিউসনের জন্য যাতে আপনি শবে কদর মিস না করেন। তাই শেষের ১১ টি রাতকে গুরুত্ব সহকারে নিলে আপনি একদিন না একদিন কদরের রাত পাচ্ছেনই।


লাইলাতুল কদরের অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে অন্যত্র ইরশাদ করেছেন, ‘হা-মীম! শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) এক মুবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।’ (সূরা আদ-দুখান, আয়াত: ১-৪) কদরের রাতে অজস্র ধারায় আল্লাহর খাস রহমত বর্ষিত হয়।

আমরা যাতে আমাদের এনার্জি জমা রাখি প্রথম ২০ রোজায় কারন অনেক মুসলিম দেখবেন প্রথম দিকে খুব উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যেদিয়ে রোজা রাখে সকল নামাজ পড়ে এমনি ২০ রাকাত তারাবি নামাজও কিন্তু শেষ দশ দিন মানুষ কমতে থাকে যখন কি শেষ ১০ দিনেই আছে সেই মহিমান্বিত ঐশ্বর্যময় শবে কদর।

আমরা যেন নামাজ পড়ি শুধু মাত্র আল্লাহকে স্বরনের উদ্দেশ্যে কারন আল্লাহ বলেন (২০) সূরা ত্বোয়া-হা ( মক্কায় অবতীর্ণ ), আয়াত ১৪:
إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي
আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর।

তাই সবার কাছে অনুরোধ এই রমজান মাসে শুধু নয় যখনই পারবেন কোরআন পড়ার চেস্টা করবেন শুধু মাত্র বোকার মত তিলাওয়াত নয় অর্থ সহ জেনে বুঝে পড়ার চেস্টা করবেন কারন একদিনের বোধোদয়/ জ্ঞান হাজার মাস অজ্ঞ বা নিরক্ষর থাকা হতে উত্তম।

আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমিন
অনুবাদ করে লিখেছেন-  ফয়সাল হাসান

In Depth Analysis & Tafseer of Surah 97 al-Qadr by Nouman Ali Khan


0 comments
Labels: , , ,

সুরা দুখান -শবে বরাত না শবে কদর সম্পকে নির্দেশ করে ও কিছু প্রশ্ন

শব্দ গত বিশ্লেশন: শবে বরাত শব্দ দু’টি যেরূপ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এর কোথাও নেই তদ্রূপ নামায, রোযা, খোদা, ফেরেশতা ইত্যাদি শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এর কোথাও নেই। এখন শবে বরাত বিরোধী লোকেরা কি নামায, রোযা ইত্যাদি শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এ না থাকার কারনে ছেড়ে দিবে?

অবশ্যই শবেবরাতে নামাজ পরুন, দান করুন, আত্বীয় প্রতিবেশিদের সাথে দেখা করুন কোন সমস্যা নেই,এর সামাজিক ও পারিবারিক উপকারিতা কম নয় কিন্তু এই রাতেই আবার দেখাযায় মাজারে মহা ভীড়, লোকজান গরিব দের না দিয়ে নিজেরা বড় বড় রুটি হালুয়া অপচয়ে ব্যস্ত ,যদিও এখন আতশ বাজী বোম ফোটানো নেই।

আল্লাহর কাছে কিছু বিশেষ মর্যাদাপুর্ন দিন/রাত আছে তাই বলে বাকি দিনের খবর আমরা বেমালুম ভুলে যাই। শবে বরাতে এত নামাজ কেন পড়ি যাতে পুরা বছর ভালা যায় তাই একদিনে সব পুরন করে নিব বাকি দিন আমারে মসজিদের আশে পাশেও দেখবেন না এইরকম করাটা কতটুকু ঠিক তা সবার কাছে প্রশ্ন?

নামাজ=সালাত, রোজা=সাওম, খোদা= আল্লাহ/রব্ব , ফেরেস্তা=মালাইকা এই সব কোরআনে যে আছে সবার নিশ্চই জানা আছে। তাই আর কিছু বলার নেই।

এখন দেখি শবে বরাত আছে কি না ? সেটা আপনারা খুজে দেখতে পারেন কোরআনে নেই, শাবে কদর যে আছে আর সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আছে মানে পুরা একটি সুরাই আছে। অনেকে শবে বরাত সম্পকে বলতে গিয়ে সুরা দুখানের প্রথম ৫ টি আয়াত রেফার করেন

এখন আসি সুরা দুখান ৪৪ আয়াত ১-৫ বিষয়ে ,আসুন আগে আয়াত গুলো অর্থ দেখি

অর্থঃ শপথ প্রকাশ্য কিতাবের! নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন নাযিল করেছি। নিশ্চয়ই আমিই সতর্ককারী। আমারই নির্দেশক্রমে উক্ত রাত্রিতে প্রতিটি প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো ফায়সালা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।” (সূরা দু‘খান, আয়াত শরীফ ২-৫)বিশেষ করে ৩ নং আয়াতটা إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ

03আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।


এবার দেখি সুরা কদর ৯৭


إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
01আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।


وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ

02শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?

لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ

03শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

এই দুটি সুরার আয়াতে একটি মিল কি জানেন দুটোয় বলাআছে ইন্না আনযালনাহু ফিই লাইলাতুল (কদর/মুবারাকা) আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে/বরকতময় রাতে

অনেকে বলেন দেখুন এখানে Click This Link :মহান আল্লাহ পাক তিনি যে সুরা দু’খান-এ বলেছেন, “ আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি ” এর ব্যাখ্যামুলক অর্থ হল “ আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিলের ফায়সালা করেছি “। আর সুরা ক্বদর-এ ” আমি ক্বদরের রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি ” এর ব্যাখ্যামুলক অর্থ হল ” আমি ক্বদরের রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি “।

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি শবে বরাতে কুরআন শরীফ নাযিলের সিদ্ধান্ত নেন এবং শবে ক্বদরে তা নাযিল করেন।

এখন আপনারাই বলেন একই শব্দের [ইন্না আনযালনাহু]দুটি অর্থ কিভাবে ব্যখ্যা করবেন? একটি হলো নাযিল করেছি আর একটি নাযিলের ফয়সালা করেছি, তবে নাযিলের ফয়সালা অর্থটা সুরা কদরে কেন হবেনা? এটা কি সুস্পস্ট ভুল ব্যখ্যা নয়?

আর সুরা দুখানের অর্থগুলো যদি একটু খেয়াল করেন আল্লাহ বলেছেন

শপথ প্রকাশ্য কিতাবের!= আল কোরআনের শপথ

নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন নাযিল করেছি। = যেই রাতে কোরআন নাযিল হয়েছে সেটা নিশ্চই বরকতময় রাত্রি

নিশ্চয়ই আমিই সতর্ককারী।= কারন আল্লাহ কোরআনের মাধ্যমে মানুষকে সকর্ত করেন

আমারই নির্দেশক্রমে উক্ত রাত্রিতে প্রতিটি প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো ফায়সালা হয়।= আল্লাহর নির্দেশেই প্রতিটি প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো মানুষের জন্য যা কল্যন কর বা অকল্যান কর তা তিনি কোরআনে ফয়সালা করে দিয়েছেন,

আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী= আল্লাহ কোরআন প্রেরন করেছেন। প্রেরনের চিন্তা করেন নি বা নাযিলের ফায়সালা করেন নি, তিনি নাযিল করেছেন শবে কদরে।


তো সুরা দুখান নিশ্চই কোরআন নাযিলের রাতকেই নির্দেশ করছে নাযিলের ফয়সালা কে নয়। কারন সুরা দুখানের ঐ আয়াত সমুহে কোরআনের মহাত্ব নিয়ে বর্ননা রয়েছে আর তাই কোরআন নাযিলের রাত্রির কথা প্রাসংগিক ভাবে এসেছে। আর অনেকে যে আয়াত কে শবে বরাতের দিকে নির্দেশ করেছে বলছেন তাদের বলব সুরা দুখানের ৩নং আয়াতের আশে পাশে আয়াত দেখুন কোরআন সম্পকে বলা আছে ।


আর অনেকে বলেছেন লাইলাতুম মুবারাকাহ দ্বারা শবে বরাত বা ভাগ্য রজনীকে বুঝানো হয়েছে।

তো আল্লাহ কি ভুলে গেছেন শবে বরাত কে কোরআনে উল্লেখ করতে? শবে বরাত যদি আল্লাহ আমাদের জন্য এত গুরুত্বপুর্ন মনে করতেন তবে তিনি নিশ্চই বলতেন একটি আয়াত হলেও শবে বরাত শব্দ উল্লেখ করতেন তিনি বলতেন এই সেই মহিমান্মিত রাত শবে বরাত যাতে তোমাদের ভাগ্য লিখা হয়, বা তোমরা শবে বরাতের রাতে বরকতের তালাশ কর, বা কোন একটি সুরা শবে বরাতের নামে কারন অনেকেই বলেন লাইলাতুম মুবারাকাহ শবে বরাত বা ভাগ্য রজনীকে বুঝানো হয়েছে।

তবে কি আল্লাহ আমাদেরকে তার ভাগ্য রজনী সম্পকে জানাতে ভুলে গেছেন, তিনি যদি সুরা কদর নাযিল করতে পারেন এর মর্যাদার জন্য তবে শবে বরাতের জন্য কেন নয়?

শবে বরাত যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ হত তাহলে এই রাতের নাম "লাইলাতুল বারাত" শব্দটি কুরআন তো দূরের কথা, কোন দূর্বল হাদীসেও পাওয়া যায় না কেন? যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ রাত হত তাহলে রাসূলুল্লাহ(সা) কি সাহাবীদের জানাতেন না এবং রাতভর ইবাদত করতে উদ্বুদ্ধ করতেন না? যদি করতেন তাহলে এর স্বপক্ষে শক্তিশালী হাদীস নেই কেন? সাহাবীরা এ রাত পালন করতেন এরকম দলীল নেই কেন? আর আমার জানামতে মানুষের ভাগ্য তার জন্মের পূর্বেই নির্ধারিত হয়ে থাকে, প্রতি বছর বছর হালনাগাদ হয় না। ইবাদত করতে দোষ নেই এ রাতে তবে এ রাতকে উদ্দেশ্য করে ইবাদত করে একে একটা আচারে পরিণত করাটা বিদআত হওয়াটাই স্বাভাবিক।

যেটাতে আমি গুরুত্বপুর্ন ভাবছি আমাদের মিডিয়ার উচিত এই বিষয়টা স্পস্ট করে প্রচার করা। যেন আমরা আমাদের মধ্যে শবে কদরের রাতটি হয়ে ওঠে সর্বাপেক্ষা মহিমান্নিত ও গুরুত্বপূর্ণ। আর শবে বরাতের কথা যেহেতু নেই তাই যে ইচ্ছা পালন করুক তবে যেন ভুল ধারনায় নয় যেন এই রাত্রিতে সব কিছু নির্ধারিত তাই যদি কিছু পাওয়ার ইচ্ছা থাকে শবে কদরে বেশি নামাজ রোজা মোনাজাত করুন।

ইসলামী শরীয়তে হাজার হাজার বিসয় আছে যেগুলো সরাসরি কুরআন শরীফে নেই। তাহলে আপনি সে সব বিষয়েও কি বলবেন আল্লাহ ভুলে গেছে?   
    
হ্য নাই হাজার হাজার বিষয় , এখন দুটি দিক দেখতে হবে এক শবে বরাত কি কোরআনে আছে অথবা হজরত মুহাম্মদ (সঃ) বা সাহাবিরা পালন করেছিলেন,

কারন বিদায় হজ্জের শেষ কথা কি ছিল নিশ্চই জানেন , আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন কে পরিপুর্ন করলাম।আল কোরআনের শেষ নাযিল কৃত আয়াত

আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।সুরা আল মায়েদাহ আয়াত ৩।
“This day I have perfected your religion for you, completed My Favour upon you, and have chosen for you Islam as your religion.” [5:3]

আমি কাউকে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকতে বলিনি, বলেছি যাতে আপনারা এটা মনে না করেন যে শবে বরাত কোরআন দ্বারা প্রতিস্ঠিত। অনেকে আবার এর আমাকে জন্য মুরতাদ বলতেও থেমে থাকবেন না সেটা তাদের ব্যপার।


অনেকে আমাকে শাবে বরাত সম্পকে জিগ্গেস করছেন তাদের জন্য শবে বরাত সম্পকে বই: যাতে এর উৎপত্তির কারন , বিকাশ ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর রেফারেন্স সহ আশাকরি কাজে লাগবে

শিরোনাম: শবে বরাত ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
ভাষা: বাংলা
লেখক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
http://www.islamhouse.com/p/43454


লিখেছেন-  ফয়সাল হাসান

মিলাদ , শবে বরাত ও মিলাদউন নবী
হাফেজ মুহাম্মদ আইয়ুব
Milad Shobe Borat O Miladun Nabee Keno Bid'at Hafiz Muhammad Ayyub
Click This Link  

0 comments