শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

মুহাম্মদ (সাঃ)-আল্লাহর রাসূল

মুহাম্মদ (সাঃ)-সকল মানুষের জন্য উদাহরন, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, ও আল্লাহর রাসুল

আল কোরআন - মহান আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব

এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,

আমাদেরকে সরল পথ দেখাও

আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

আল্লাহ নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু

সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

Labels: ,

ভালো মা হওয়া যেমন সওয়াবের, ভালো শাশুড়ি হওয়াও তেমন সওয়াবের।

ভালো মা হওয়া যেমন সওয়াবের, ভালো শাশুড়ি হওয়াও তেমন সওয়াবের।

আমার দাদী সম্পর্কে আম্মু একটা কথা বলে, “তোমার দাদীর মতো সোনার মানুষ লাখে-কোটিতে পাওয়া যাবে না।”

আমার দাদীর নয় ছেলে। নয় ছেলের ঘরে নয়টা বউ। এই নয় বউ নিয়ে আমার দাদী চলেছেন। কারো সাথে উনার কোনদিন কিছু নিয়ে লাগেনি। উনি সবাইকে ভালোবাসতেন, সবাই উনাকে ভালোবাসত। আমার আম্মু দাদীর সাথে বসে দীর্ঘ সময় ধরে গল্প করত। ছেলেদের হক, বউদের হক সম্পর্কে আমার দাদী ছিলেন সচেতন।

আমার দাদী লম্বা, ফর্সা ছিলেন। অর্থ্যাত প্রচলিত অর্থে সুন্দরী। আমার বাবাও লম্বা, ফর্সা। এদিকে আমার আম্মু ছোটখাট শ্যামলা মানুষ। অর্থ্যাত প্রচলিত অর্থে সুন্দরী না। আম্মুর বিয়ের পর একবার গ্রামের কোন এক আত্মীয়া আমার দাদীকে বলছিলেন, “বুবু, আপনার এত সুন্দর ছেলের জন্য এটা কী মেয়ে আনলেন?” দাদী একটু চুপ থেকে বললেন, “সে সাদা সুন্দর না, তবে সে লাল সুন্দর।” নিজের ছেলের বউকে নিজে তো কখনো কালো বলেনইনি, মানুষ বলতে আসলে সেটাও শুদ্ধ করে দিয়েছেন।

আমার আম্মু বড় হয়েছে শহরে। আর আমার দাদার বাড়ি গ্রামে। আম্মুর বিয়ের পর প্রথম শ্বশুরবাড়ি গেলে ফেরার সময় দাদী বলেছিলেন, “আমি হয়ত তোমার জন্য অনেক কিছু করতে পারি নাই, বাড়ি ফিরে মা-কে কিছু বলো না।” অথচ আম্মু বলে, উনার বউ শহরের মেয়ে এটা বুঝে উনি বউয়ের জন্য ভালো ব্যবস্থা করতে অনেক চেষ্টা করেছিলেন।

আমরা নাতি-নাতনিরাও দাদীকে অনেক ভালোবাসতাম। আমার চাচাত বোনরা শ্বশুরবাড়ি থেকে নাইয়র গেলে আগে দাদীর ঘরে গিয়ে উনার সাথে দেখা করত তারপর যে যার বাবার ঘরে যেত। আমরা উনাকে ভালোবাসি কারণ উনি আমাদের কারো মা-কে কখনো কষ্ট দেননি।

এখন বিয়ে হয়েছে, বিবাহিত সার্কেলে মিশি। একসাথে বসলে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে কথা ওঠে। আমি এই বিদেশে এসেও বলি আমার দাদী অনেক ভালো ছিলেন। আমার আম্মু যেমন আমাকে বলে তেমন নিশ্চয়ই আমার চাচীরাও আমার চাচাত বোনদের গল্প করে বলে। তারাও হয়ত অন্যদের বলে। আমার দাদী মারা গেছেন সেই কবে! ফেরেশতারা উনার ভালো কাজের তালিকায় এসব কথা লিখে নিচ্ছে। দাদী ল্যাপটপ কী জানতেন না। আমি সেই ল্যাপটপে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছি, মানুষ পড়বে, উনার সম্পর্কে ভালো ধারণা করবে। ফেরেশতারা আবারও উনার ভালো কাজের তালিকায় লিখে নিবে।

আমার দাদী গ্রামের মানুষ ছিলেন, কতখানি পড়াশোনা জানতেন আমি তাও জানি না। জানার প্রয়োজনও নাই। আমার আম্মু বলে, “তোমার দাদী অনেক ভদ্র ছিলেন।” এটাই একজন মানুষের হাইয়েস্ট কোয়ালিফিকেশন!

মা বা শাশুড়ি একটা পরিবারের এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ যার কাজ পরবর্তী অন্তত দুই প্রজন্ম মনে রাখে। তাই ভালো শাশুড়ি হওয়াও সওয়াবের। আর বুদ্ধিমতীরা সওয়াব অর্জনের সুযোগ হাতছাড়া করে না!

Written by : Rabeya Umme Mariam

0 comments
Labels: , ,

বউ পেটাবি? ইসলামি শরিয়ত মতেই পেটা।

ডমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে লেখালেখি করার অনুরোধ অনেকে করেন। আগেও লিখেছি বহুবার, আজকে আবারও লিখলাম। দেখা যাক কারও কোন পরিবর্তন ঘটে কিনা।

প্রথমেই একটা হাদিস বর্ণনা করি। সহিহ হাদিস। অনেকেই হাদিসটি শুনেছেন - এবং অবশ্যই হাদিসটি নিয়ে ইস্যু বানিয়েছেন। 

"যদি আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে সিজদাহ দেয়ার অনুমতি থাকতো তবে আমি নারীদের নির্দেশ দিতাম তাঁরা যেন তাঁদের স্বামীদের সিজদাহ দেয়।"

ও মাই গড! আল্লাহর নবী কী বলে ফেললেন! এ যে সুস্পষ্ট পুরুষবাদী মন্তব্য! আগেই বলেছিলাম, ইসলাম নারিপুরুষে বৈষম্য সৃষ্টি করে। মেয়েদের দমিয়ে রাখে। ব্লা ব্লা ব্লা।

হ্যাং অন মাই মাদার্স এন্ড সিস্টার্স ইন ইসলাম। চিন্তা ভাবনা না করে মন্তব্য করা তাসলিমা নাসরিনের কাজ। আপনাকে বুঝতে হবে কথাটার গভীরতা কী।

ইসলামে কেন আল্লাহকে সিজদাহ করতে বলে জানেন? কারন তিনি আমাদের “রব।” 
"রব" শব্দের অর্থ হচ্ছে যিনি একই সাথে আমার সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, লালনকর্তা, রক্ষাকর্তা ইত্যাদি, মোটকথা আমার পুরো অস্তিত্বের মালিক। মানে হচ্ছে তিনি হচ্ছেন আমার "আলটিমেট অথরিটি।" 
যাঁর প্রতি জেনুইন শ্রদ্ধায়, কৃতজ্ঞতায়, ভালবাসায় আমি আমার মাথা মাটিতে নত করি। 
তাহলে বুঝতে পারছেন প্রতিটা স্বামীকে তাঁর স্ত্রীর প্রতি কোন লেভেলের দায়িত্ব পালন করতে হবে যাতে তাঁর স্ত্রী (নবীর অনুমতি থাকলে) "জেনুইন" শ্রদ্ধায়-ভালবাসায়-কৃতজ্ঞতায় মাথা নত করে দিত? 
কাজটা ভয়ংকর কঠিনরে ময়না। বৌয়ের "জেনুইন শ্রদ্ধা" পাওয়ার তুলনায় এভারেস্ট জয় করা নিতান্তই ডাল ভাত।

কাজেই যেসমস্ত মহিলারা হাদিসটা শুনে কপালটা কুঁচকে গালাগালি শুরু করে দিয়েছিলেন, তাঁরা এখন দয়া করে কপালটা ইস্ত্রী করে ফেলুন।

এবং যে সমস্ত পুরুষেগণ হাদিসটার ভুল ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে এতদিন ফায়দা লুটে এসেছেন - তাঁরা তওবা করে আবারও কলিমা পরে মুসলমান হন। হাদিস বিকৃতি করাটাও ভয়াবহ শির্ক। 
কথা যখন উঠলোই, তখন আরেকটা হাদিস বলে নেই।

আমাদের দেশে একদল পারভার্ট বউ পিটিয়ে বিমলানন্দ লাভ করে। তাদের যখন বলা হয়, "ওহে জানোয়ার, তুই বউ পেটাস কেন?"
উত্তরে নপুংশকটা জবাব দেয় - "আল্লাহ কুরআনে অনুমতি দিয়েছে - তোমার কী?"

বদমাইশটাকে যখন আরেকটা হাদিস (সহিহ)"হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর দাসীদের গায়ে হাত তুলো না" শুনিয়ে বলা হয় "নবীজি (সঃ) জীবনেও তাঁর স্ত্রীদের গায়ে হাত তোলেননি, তাহলে কী তিনি আল্লাহর নির্দেশ মানেন না?" 

তারপরেও ফকিরনিরা একই কথাই আওড়ায়, কুরআন শরীফের সুরাহ নিসায় আল্লাহ পাক বলেছেন, "বৌদের গায়ে হাত তোলা জায়েজ।"
বৌকে যদি ভালবাসতে না পারেন, তাহলে বিয়ে করবেন না। আর যদি কাউকে মারধর করতেই হয়, তবে বক্সিং ক্লাবে ভর্তি হন। মেয়ে মানুষ কোন বালির বস্তা না যে সেখানে আপনি বক্সিং প্র্যাকটিস করবেন।
কথা বাড়াবার আগে নবীজির (সঃ) হাদিসটা ব্যাখ্যা করি। বুঝবেন কেন এই ভদ্রলোক বিশ্বের সর্বকালের সর্বসেরা মানব। যাঁর প্রতিটা কথার গভীরতা অতল।

তিনি কিন্তু বলতে পারতেন, "তোমরা মেয়েদের/নারীদের গায়ে হাত তুলো না।" তিনি কেন বললেন "আল্লাহর দাসী?"
ব্যাখ্যাটা সহজ।
ধরুন আপনি একটি পার্কে গেলেন। পার্কের একটি বেঞ্চ খুঁজে বের করে হুদাই লাথি দিয়ে বেঞ্চটাকে ভেঙ্গে ফেললেন।
বেঞ্চটা যেহেতু সরকারী সম্পত্তি, শেখ হাসিনা নিশ্চই আপনার সাথে বেঞ্চ ভাঙ্গা নিয়ে ঝগড়া করতে আসবেন না।
কিন্তু আপনি যদি আমার ড্রয়িংরুমে এসে হুদাই আমার সোফা ভাঙ্গেন, তাহলে আমিও নিশ্চিত করবো যে আপনি আমার সদর দরজা দিয়ে হুইল চেয়ারে বসে বের হবেন।

"আল্লাহর দাসী" সম্বোধনের মধ্য দিয়ে নবীজি (সঃ) মানুষদের সাবধান করে দিয়েছেন যে এদের ঘাটাঘাটি করলে আল্লাহ নিজে ইনভল্ভড হবেন। এখন আল্লাহর বিরুদ্ধে যাবার সাহস তোমার আছে?
নিজের চোখে দেখা একটা কেস বলি। আপনিও আশেপাশে তাকান, এমন হাজারো কেস দেখতে পাবেন। 
এক মহিলাকে তার বর শুধুশুধু পেটাতো। কারন he is the man! Cowboy! 

একটা সময়ে ব্যাটা স্ট্রোক হয়ে বিছানায় পরে গেল। পনেরো বছর হয়ে গেছে - এখনও সে বিছানায় পরে পরে প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করছে। তার দেখাশোনা করছে কে? সেই মার খাওয়া বউটা। আল্লাহর দাসী!

বউ পিটিয়ে কেউ জীবনে উন্নতি করতে পারেনা, সুখী হবারতো প্রশ্নই উঠেনা। চ্যালেঞ্জ দিলাম, পারলে ভুল প্রমান করে দেখান।

এখন আসি, কোরআনের সেই সর্বদা বিকৃতি ঘটানো আয়াতটিতে। যে আয়াতটি ভাঙিয়ে তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দিনরা এখনও তাদের পেট পালে। তাদের কথা বিশ্বাস করে একদল লোক বেহুদা ফাল পাড়ে। আবার তাদের ফালাফালির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আরেকদল দল জলকে আরও বেশি ঘোলা করে।

কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে জন্মে, বাংলাদেশে বড় হয়ে, বাংলায় কথা বলে কোন সাধারন ছেলেকে যদি আমি মেঘনাদ বধ মহাকাব্য ধরিয়ে বলি "পড়ে শোনা," ছেলেটা মহাকাব্যের শক্তিশালী শব্দ ঝংকারে মুগ্ধ হতে হতে একেবারে কুপোকাত হয়ে বলতে বাধ্য হবে, "কী ভাষায় লিখছে ভাই? এইটা কী বাংলা?"
সেখানে ক্লাসিক্যাল আরবির (বর্তমান আরবদেরও পক্ষে সেই ভাষা কঠিন) অতি দূর্বল তর্জমা পড়ে কেউ যদি কুরআন শরীফের সমালোচনা করতে বসে - তাহাকে আহাম্মক না বলিয়া আর কী নামে ডাকা যায় তাহা আমার বোধগম্য নয়।

কথা না বাড়িয়ে পুরো আয়াতটা পড়া যাক।
"পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল (Protectors and maintainers of women) এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য (শারীরিক শক্তি) দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় (support them from their means) করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং "প্রহার" কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।"
পুরো আয়াতটি পড়লেই কিন্তু কোন কিছু ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়না। এত সুন্দরভাবে ব্যাখা করা হয়েছে যে না বুঝার কোন উপায়ই নেই।

তারপরেও পোলাপান যেহেতু বুঝতে পারেনা, কাজেই আরও সহজভাবে ব্যাখ্যা করছি।
প্রথম অংশে বুঝাই যাচ্ছে, আল্লাহ পুরুষদের দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁর স্ত্রীদের জন্য খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে।

এখন মেয়েরা যারা ঘরে থাকে, তাঁদেরকে আল্লাহ বলেছেন, "তাঁরাই ভাল, যারা লোকচক্ষুর আড়ালেও নিজেদের হেফাজত করেন।"
ঐশ্বরিয়ার স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে তাঁর বাড়িতে কী ঘটে সেই খবর মানুষের জানার কথা না। এখন ঐশ্বরিয়া তখনই একজন আদর্শ নারী হবে যখন সে তাঁর স্বামীর অবর্তমানে আমাকে চুপি চুপি তাঁর ঘরে ডাকবে না।
এই পর্যন্ত ঠিক আছে? আশা করি সবাই একমত। 

যদি কেউ বলতে চান যে "প্রাপ্তবয়স্ক নারীপুরুষ পরষ্পরের সম্মতিতে ইয়ে করতেই পারে।" - তাঁদের বলছি, নিজেদের ঐশ্বরিয়ার স্বামীর অবস্থানে ফেলে কল্পনা করুন। ব্যপারটা যে অনৈতিক সেটা বুঝতে পারছেন?
না বুঝলে এইটা ভাবুন, ঠিক যে কারনে আপনি নিজের মাকে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বাড়িতে একলা ছেড়ে আসবেন না। হু.ম.এরশাদ প্রাপ্তবয়ষ্ক, আপনার মাও প্রাপ্তবয়ষ্কা - কিন্তু তারপরেও কিছু সম্পর্কের বর্ডারে কাঁটা তারের বেড়া থাকতে হয়।

যাই হোক, ঐশ্বরিয়ার স্বামী দেখলো আমার সাথে রাতের পর রাত জেগে তাঁর স্ত্রী গল্প করে - টেক্সট ম্যাসেজ পাঠায় - শপিংয়ে ঘুরতে বেরোয়, এবং সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বিরক্তিকর যা তা হলো সে প্রায়ই বাড়িতে এসে দেখে আমি বেরিয়ে যাচ্ছি।
আপনি হলে কী করতেন?
আমি বলি, এভারেজ অ্যামেরিকান দম্পতিদের ডমেস্টিক ভায়োলেশনের প্রধান কারনই গার্ল ফ্রেন্ড/ওয়াইফদের "চিটিং।" 
একজন সুস্থ মাথার পুরুষ জীবনেও, কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারবে না তাঁর জীবন সঙ্গিনী তাঁকে ফেলে আরেকজনের সাথে কেলিয়ে বেড়াচ্ছে।
এইসব কোন্দল অনায়াসে খুন খারাবি পর্যন্ত গড়ায়। 

জ্বী, আমি অ্যামেরিকান পুরুষদের কথা বলছি। পৃথিবীর সবচেয়ে মডার্ন, শিক্ষিত, সেকুলার, মুক্তমনা পুরুষদের জাত।
সেখানে কুরআন কী নির্দেশ দিয়েছে? প্রথমে "সদুপদেশ দাও।"
মানে যখন আপনি দেখবেন আপনার স্ত্রী আমার সাথে একটু বেশি বেশিই করছে, তখন প্রথমেই ঝগড়া টগরা না করে আপনি অতি মধুর কন্ঠে, ভদ্রতার সাথে বলবেন, "ডার্লিং, তুমি প্লিজ ঐ মঞ্জুর ছেলেটার সাথে এইভাবে মেলামেশা করো না। এই কাজটা ভাল না।"

কথা হচ্ছে, আপনি যখন আপনার স্ত্রীকে আমার সাথে এইভাবে ঘনিষ্ট মেলামেশা করতে দেখবেন, তখন কী বাস্তবে এমন ঠান্ডা মাথায় কথা বলতে পারবেন? কিন্তু কুরআন ঠিক এই নির্দেশটাই দিয়েছে। কাকে অধিকার বেশি দিল তাহলে?
তারপরেও যখন দেখবেন বউ আমার সাথে মেলামেশা বন্ধ করছেন না, তখন বলা হয়েছে - "শয্যা ত্যাগ কর।"

মানে বালিশ নিয়ে আলাদা শোয়া শুরু করুন। দেখুন মাঝরাতে অ্যাশ আপনাকে মানাতে আসেন কিনা।
যদি দেখেন আপনার সাথে শোয়া না শোয়ায় তাঁর কিছুই যায় আসে না, অন্য অর্থে অন্যের সাথে সে শোয়ায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে - ঠিক তখনই আপনাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাঁকে "প্রহার" করতে। তবে এখানেও একটু ইন্টারেস্টিং ব্যপার লক্ষ্যনীয়। বাক্যটিতে যে verb (দারাবা) ব্যবহার করা হয়েছে - সেই একই verb তায়াম্মুমের (পানির সংকট থাকলে মাটি ঘসে পবিত্র হওয়ার যে সিস্টেম আমাদের ধর্মে চালু আছে) নির্দেশনামায় ব্যবহার করা হয়েছে। 

"ওয়াদরিবুহুন্না।" যার আক্ষরিক অনুবাদ করলে হবে 'তাদের প্রহার কর' বা 'strike them.' এর কোনটাই কিন্তু বাক্যটিতে ঠিকমতন ফিট করেনা। কারণ এটা যদি ফিট করে তাহলে বলতে হবে তায়াম্মুমের সময়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাটিকে পেটাতে। তার মানে ওদের প্রহার করলেও এমনভাবে করতে হবে যেভাবে আপনি তায়াম্মুম করেন। মানে হাল্কা হাত ঘষাঘষি। স্কলাররা বলেন মেসওয়াক (নিম ডালের টুথব্রাশ) দিয়ে আঘাত। তাও এমনভাবে যে শরীরে দাগ বসতে পারবেনা - মুখেতো মারতেই পারবেন না।আরও অনেক নিয়ম কানুন আছে। 

এবং সবার আগে মাথায় রাখতে হবে হাদিসটির কথা - "আল্লাহর দাসীদের গায়ে হাত তুলো না।"
চিন্তা করে দেখেন, কোন লেভেলের এক্সট্রিম অপরাধ করলে মেয়েদের গায়ে মেসওয়াক দিয়ে আঘাতের কথা বলা হয়েছে, আর আমাদের দেশ বিদেশের মূর্খ্য পুরুষ মানুষ ডালে সামান্য লবণ কম বেশি হলে মেয়েদের গায়ে হাত তোলে!

এখন মেয়েরা, আপনারা বুঝতে পারছেন যে কুরআন আসলে আপনাদের প্রাণ রক্ষা করেছে? কারন যেকোন পুরুষ যদি দেখে তাঁর প্রেয়সী অন্যের সাথে ইটিশপিটিশ করছে - প্রথম চিন্তাটা যা তাঁর মাথায় আসবে তা হচ্ছে আপনাকে খুন করে ফেলতে হবে। সেখানে আল্লাহ বলেছেন খুব বেশি হলে মেসওয়াক দিয়ে আঘাত করতে!

তাও আবার আয়াতের শেষে আল্লাহ বলেছেন যদি কেউ ভুল বুঝতে পারে, এবং অনুতপ্ত হয় তাহলে তাঁকে ক্ষমা করে দিতে।
বাবারে! এত বড় কলিজা কোন পুরুষের আছে? কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ বলে কথা!

এবং পুরুষেরা, যারা পুরো আয়াত না পড়ে শুধুমাত্র একটা শব্দ ধরে নিয়ে বউদের গায়ে হাত তুলে এসেছেন, তাঁরা এখন কানে ধরে সেই বউদের সামনে উঠবস করে ক্ষমা চান। কারন তাঁরা ক্ষমা না করলে তাঁদের মালিক ব্যপারটাকে পার্সোনালি নিবেন - এবং তাহলেই আপনার খবর আছে। You have news. কারন আল্লাহ আয়াতটা শেষ করেছেন কিভাবে দেখেছেন? "নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।" তুমি যতই বৌয়ের উপর কর্তৃত্ব ফলাও না কেন, তোমার উপরে একজন আছেন যিনি কারও পরোয়া করেন না।

0 comments
Labels: , , ,

কাব বিন আশরাফসহ যাদের অশ্লিল কবিতা লেখার অপরাধে মৃত্যুদন্ড হয়েছিল


কোপাকুপি নিয়ে কিছু প্রমানসহ একটা লেখা লিখলাম। প্রতিটা প্রমান দিলাম কার জীবনী থেকে? হযরত মুহাম্মদ (সঃ), দি আল্টিমেট মুসলিম/ইসলামিক স্কলার অন আর্থ। দিনের আলোর মতই বুঝিয়ে দিলাম ইসলামের নামে আর যাই হোক কোপাকুপি নিষিদ্ধ। কিন্তু অনেকেই আমার কথা মানতে নারাজ।
কেউ কেউ বলছেন, ওদের অশ্লীলতা এত প্রকট যে মেজাজ ঠিক রাখাটাই দায়।


সহিহ বাত। অবশ্যই মেজাজ খারাপ হবে। আমার মা বাপকে নিয়ে কেউ ফালতু কথা বললে ঘুষায়ে দাঁত ফেলে দিতে ইচ্ছে করে। আমার দেশকে নিয়ে কেউ উল্টাপাল্টা কথা বললে আমি মুখ দিয়ে মেশিন গান ছোটাই। ক্রিকেটারদের অপমান করাটাই যা আমরা মেনে নিতে পারিনা সেখানে আল্লাহ এবং নবীর (সঃ) স্থানতো আরও অনেক অনেক উপরে। অবশ্যই রাগ করা উচিৎ। আমরাতো রোবট না - আমাদের ইমোশন আছে। তবে সেই আল্লাহ এবং নবীই (সঃ) শিক্ষা দিয়েছেন রাগকে কন্ট্রোল করতে। ঠিক যেমনটা সুন্দরী মেয়ে দেখে আমার মনে প্রেম জাগে, কিন্তু তার মানে এই না যে আমি গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে ফেলবো। নিজের মনকে কন্ট্রোল করাটাই ইসলাম। নাহলেতো আমার আর জংলি জানোয়ারের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকেনা। 


অনেকেই আমাকে কিছু নাম দিয়ে বলছেন "এর সাথে তাহলে এমনটা হয়েছে কেন?"
তাঁদের আলাদা আলাদা করে বারবার একই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আজকের দিনটাই শেষ হয়ে গেল। এরচেয়ে ভাল একটা আস্ত পোস্ট দিয়ে দেই। কারও উত্তরের প্রয়োজন হলে সরাসরি আস্ত পোস্ট কপি পেস্ট করে দিবেন। যদি তাঁদের সামর্থ্য থাকে, তাহলে আমার উল্লেখ করা ঘটনাগুলো মিথ্যা প্রমান করে দেখাক। ঘটনাগুলো ডক্টর ইয়াসির ক্বাদী এবং ওস্তাদ নোমান আলী খানের মুখ থেকে শোনা। এই মুহূর্তে বিশ্বখ্যাত দুই ইসলামিক স্কলার।
তাহলে শুরু করি? 


বিসমিল্লাহ। 

এক নম্বর নাম: কাব বিন আশরাফ। লোকটাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল। বিজ্ঞ জনের অভিমত এই কবি (তখনকার যুগের ব্লগার) ইসলাম, নবীজি (সঃ) ও মুসলিমদের বিশেষ করে মুসলিম নারীদের জড়িয়ে অশ্লীল থেকে অশ্লীলতম কবিতা (ব্লগ) রচনা করতো। একারনেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এই কাব বিন আশরাফ নিয়ে কথা তোলার আগে আমাকে বলুন সে কে ছিল? মানে তার গোত্র কী? বনু নাদির। জ্বী, এই সেই খন্দকের যুদ্ধের বিশ্বাস ঘাতক (আধুনিক টার্ম হবে "রাজাকার," মদিনাবাসী হয়েও মদিনা সনদ ভঙ্গ করে হানাদার কুরাইশদের সাহায্য করেছে যুদ্ধে - যদি সফল হতো মুসলিমরা এক ঝটকাতেই সব নিঃশেষ হয়ে যেত) বনু নাদির গোত্র। কাবকে শুধু একাই নয়, ওদের আস্ত গোত্রের যুদ্ধ করতে সমর্থ্য সব পুরুষদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল। আমাদের রাজাকার, আল বদর, আল শামসকেও সময় মতন এইভাবেই ঝুলিয়ে দিলে আজকে দেশটা অনেক সুন্দর হতো। নবীজির (সঃ) জীবনী থেকে আমরা কোন শিক্ষাই নিতে পারিনা, আফসোস।


যাই হোক, তা এই কাব বিন আশরাফ অশ্লীল, উস্কানিমূলক কবিতা লিখতো ঠিকই, কিন্তু স্রেফ কবিতা ছাড়াও এই একই লোক নবীজির (সঃ) খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। বদর যুদ্ধের পর আবু সুফিয়ানের (রাঃ) বাড়িতে গিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল তাঁকে হত্যার ব্যপারে। এখন আপনিই বলেন, যেকোন রাষ্ট্রে, যদি কেউ তার প্রধাণমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে, attempt নিতে গিয়ে ধরা পড়ে - তবে তার শাস্তি কী হওয়া উচিৎ?


ঐতিহাসিক উদাহরণ আমাদের দেশেই আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা চলছে জেনেও চুপ করে ছিলেন, হত্যাকারীরা এর আগেও অভ্যুন্থান ঘটাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল এবং তিনি তাদের মাফও করে দিয়েছিলেন, বলেছিলেন "বাংলার মানুষ আমাকে মারবে না।"
- ফলাফল "অগাস্ট ট্রাজেডি।" 


রাষ্ট্র পরিচালনার কিছু রুলস আছে। কখনও কখনও শাসককে কঠোর হতেই হয়, নাহলে কিছুই লাইনে থাকেনা।
এখন আসি আরেকটা নামে। 


এই লোকটার নাম অনেকেই জানেনা, কিন্তু ঘটনা ঠিকই জানেন। চলুন আগে ঘটনা জেনে নেই।
মক্কা বিজয়ের দিন ছয় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামির (দুইজন বাদে যাদের সবাইকেই ক্ষমা করে দেয়া হয়) একজন কাবার গিলাফ জড়িয়ে ধরে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইছিল। সাহাবীরা এই নাটকীয় ঘটনায় দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েন। তাঁরা নবীজির (সঃ) কাছে যান, ঘটনা খুলে বলেন, এবং নবীজি (সঃ) তারপরেও মৃত্যুদন্ড ক্ষমা করেন না। 


লোকটা কী করেছিল? সে অশ্লীল কবিতা লিখতো (ব্লগিং) এবং সে দুইজন দাসী নিয়োগ করেছিল যারা ইসলাম, নবীজি (সঃ) ও তাঁদের সাহাবীদের নিয়ে অশ্লীল কবিতা লিখতো।
ব্যস, এই পর্যন্তই সবাই পড়েন। আর বেশি পড়তে চান না। আরেকটু পেছনে যাবার ধৈর্য্য কই?


যাই হোক, যাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তার নাম আবদাল্লাহ ইবন খাতাল (কোথাও কোথাও বলা হয়েছে আবদাল্লাহ ইবনে আখতাল, যেই নামেই ডাকা হোক সে একই ব্যক্তি)। কবিতা রচনার আগে এই লোকটা প্রথমে মক্কা থেকে মদিনায় গিয়ে হিজরত করে মুসলিম হয়েছিল। নবীজি (সঃ) তাকে এবং আরেকজন সাহাবীকে একটি সফরে পাঠান। এই বিশ্বাসঘাতক সেই সাহাবীকে হত্যা করে তাঁর মালপত্র লুট করে মক্কা পালিয়ে এসে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালায়। তারপর দুইটা দাসী কিনে ওদের দিয়ে মুসলিমদের ব্যঙ্গ করে কবিতা লেখায়। মাথায় রাখুন, সেই লোকটা কবিতা লিখার চেয়েও বড় অপরাধ করেছিল, সাহাবী হত্যা। একটা মানুষ হত্যা সহজ অপরাধ না।


 কুরআন বলে, "যে একজন নিরপরাধ মানুষ হত্যা করলো, সে যেন সমস্ত মানব জাতিকে হত্যা করলো।"
এবং লিস্টের তৃতীয় নাম তার দুই দাসীর (ফারতানা এবং সারা), যাদেরকেও মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। তবে কেবল একজনের বিরুদ্ধে সেটা কার্যকর করা হয় (ফারতানা)। দ্বিতীয়জনকে (সারা) ছেড়ে দেয়া হলো কেন? কেন? সে শুধু বলল "Sorry."
তারমানে প্রথমজনও যদি দুঃখিত হতো তাকেও মাফ করা হতো।


তারমানে আবদাল্লাহকেও মাফ করা হতো যদি না সে মানব হত্যার মতন জঘন্য পাপে পাপী হতো।
লজিক মিলছে? বাকি সত্য আল্লাহ জানেন। ভুল হলে তিনি মাফ করুন। আর সত্য হলে তিনি সবাইকে জ্ঞানী করুন। জোরে বলেন আমীন!


শেষ করি, কা'ব বিন আশরাফ থেকে শুরু করে দাসী ফারতানা পর্যন্ত উদাহরণগুলো যারা বারবার ব্যবহার করছেন, তাঁদের জ্ঞাতার্থে হযরত আয়েশার (রাঃ) একটি সহিহ হাদিস বয়ান করে, নবীজির (সঃ) জীবন সঙ্গিনী এবং সবচেয়ে বেশি হাদিস বয়ানকারী মা আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, "নবীজি (সঃ) জীবনেও নিজের ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নিতে কাউকে শাস্তি দেননি।"
শুনেছেন? আবার শোনেন, তিনি, কখনও, নিজের ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নিতে, কাউকে, শাস্তি দেননি। জীবনেও না।
এমনি এমনি কাউকে রাহমাতাল্লিল আলামিন ডাকা হয়না। 


এখন কথাটা মাথায় ভাল মতন ঢুকিয়ে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘুমান। কোন অশ্লীল ব্লগারের মাথা কাঁটার আগে ভাল করে নবীজির(সঃ) জীবনী, সাহাবীদের জীবনী, এবং অবশ্যই অবশ্যই আল কুরআনের বাণীগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ুন। 


তারপরে আপনার যদি কাউকে (যেকোন আল্লাহর বান্দা, হিন্দু হোক, মুসলিম হোক কিংবা নাস্তিক) গালি দিয়ে মনে মনে অনুতাপ না হয়, ভয় না হয় যে "আমি গালিটা না দিয়ে আরেকটু ভালভাবে বুঝালেও পারতাম, গালির জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে" তাহলেও বুঝবেন আপনার ঈমান পোক্ত হয়নি।
খাঁটি মুসলিম গলা চড়িয়েও কথা বলেনা। এটাই ইসলামের শিক্ষা।


(সবচেয়ে বড় কন্ডিশনটাই মূল পোস্টে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, যে কারনে অনেক কনফিউশন তৈরী হচ্ছে। "ফারতানাকে কী তাহলে 'অশ্লীল কবিতা' লেখার অপরাধে মৃত্যুদন্ড দেয়া হলো? তাহলেতো ঠিকই আছে।"


ব্যপারটা মাথায় রাখতে হবে, তখনকার "কবিতা" মানে আজকের যুগের ফুল লতা পাতা ভালবাসা নিয়ে লেখা কবিতা না। তখনকার প্রোপাগান্ডাই হতো কবিতার মাধ্যমে। এবং ইসলামের বিরুদ্ধে কবিতা মানে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কবিতা। তার মানে "ইসলামের বিরুদ্ধে অশ্লীল কবিতা" লেখার শাস্তি দেয়ার আগে প্রধান কন্ডিশন হচ্ছে রাষ্ট্রকে ইসলামী রাষ্ট্র হতে হবে। কেবল রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হলেই হবেনা, আইনও শরিয়া আইন হবে। 


কাবকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হবার পর। মক্কা বিজয়ের পরেই বাকিদেরও শাস্তি দেয়া হয়েছিল। আগে কিন্তু নয়। যেকোন আধুনিক রাষ্ট্রেও স্পাইদের ডেথ পেনাল্টি দেয়া হয়। মাসুদ রানা যারা জীবনে একবারও পড়েছেন, তাঁরা নিশ্চই বুঝেন। 


এখানেই কথা থেকে যায় - বাংলাদেশতো ইসলামী রাষ্ট্র না। শেখ হাসিনাতো খলিফা না। আমরা শরিয়া আইনে সংবিধান গঠন করিনাই।
কাজেই এই কোপাকুপিগুলো "খুন।" এদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নিতে হবে। )




Written by: মঞ্জুর চৌধুরী 

1 comments
Labels: ,

পহেলা বৈশাখ মঙ্গল শোভাযাত্রা কতটা মঙ্গল বয়ে আনে?


(ক) লাল সাদার সাথে বাঙালীর কী সম্পর্ক? এটা তো শাখা সিঁদুরের কালার!
তাহলে কি কৌশলে আমাকে শাখাসিঁদুরে অভ্যস্ত করা হচ্ছে?

(খ) রমনা বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীরা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে প্রস্তুত, প্রস্তুত শ্রোতারা, অপেক্ষা কেবল সূর্য উঠার, সূর্য উঠার অপেক্ষায় মুসলমান থাকতে পারে? ,
 এটা তো সূর্য পুজারীদের কাজ! মুসলমান সূর্য উঠলে ইবাদত বন্ধ করে দেয়। কারণ নবীজী সা. সূর্য উঠা আর ডুবার সময় নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন, যেনো আমাদের ইবাদত সূর্যপূজারীদের সাথে মিলে না যায়, আর সেই মুসলমান প্রত্যুষে ফজরের সালাহ বাদ দিয়ে সূর্য উঠার অপেক্ষায় থাকবে?!!

(গ) সূর্য উঠার সাথে সাথেই লম্পট রবি ঠাকুরের প্রার্থণামূলক সঙ্গীত "এসো হে বৈশাখ এসো......" দিয়ে শুরু হবে বর্ষবরণ। ঠাকুরের প্রার্থনা কি এক আল্লাহর কাছে?!!

ওহে মুসলমান তুমিও সে মুশরিকের ভাষায় প্রার্থনা করবে?
এই গানটির মধ্যে শিরক স্পষ্ট। কারণ তার একটি কলি হলো "অগ্নিস্মানে সুচি হোক ধরা"
অর্থাৎ আগুনে গোসল দিয়ে গোটা জগত পবিত্র হোক। আগুন পবিত্র করার ক্ষমতা রাখে এ বিশ্বাস হিন্দুদের, আর তাই মৃত্যুর পর আগুনে পুড়িয়ে পবিত্র করে;
ওহে মুসলমান তুমিও কি সে বিশ্বাসে বিশ্বাসী?!!
আসতাগফিরুল্লাহ।

(ঘ) সবচেয়ে ভয়ঙ্কর শিরক হয় মঙল শোভাযাত্রায়।
এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে সকল অমঙ্গল দূর করবে। মঙ্গল অমঙ্গলের মালিক কে? এখানে প্রার্থনাটা কার কাছে?
সেটা বুঝতে হিন্দুদের একটা বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে হবে।
হিন্দুদের এক দেবতার নাম বিষ্ণু দেবতা, যার পত্নী হচ্ছে লক্ষ্মীদেবী। যার পাঁচ কন্যা; পদ্মা, পদ্মালয়া, ইন্দিরা, শোভা, কমলা। তাদের বিশ্বাস সমস্ত মঙ্গলের মালিক হচ্ছে লক্ষ্মী দেবী, যার বাহন হলো পেচা।
চারুকলার সোনার ছেলেরা বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তির সাথে পেচার মূর্তিটিও ঢুকিয়ে দেয় মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
এবার ভাবুন, পেচা কি বাংলায় কথা বলে? না পান্তা ইলিশ খায়? পেচার সাথে বাঙালীর কী সম্পর্ক?
আসলে সম্পর্ক বাঙ্গালীর সাথে নয়, লক্ষ্মীদেবীর বাহন রেডি করে আহবান করা হচ্ছে তাকে। কারণ সে না আসলে মঙল বিতরণ করবে কে?
লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ ...............!!

আসলে শয়তান যদি আমাদের পূজামণ্ডপে ডাকতো আমরা তো যেতাম না, তাই সে কৌশল পরিবর্তন করে আমাকে দিয়ে শিরক ঠিকই করাচ্ছে, কিন্তু নাম দিচ্ছে বাঙালী চেতনা!!
লিখেছেনঃ শায়খ হাসান জামিল

0 comments
Labels: ,

মেয়েদের আত্বরক্ষার কৈশল ও আইনি অধিকার

লিখেছেন : মাসরুফ হোসেন সিনিয়র এ এস পি বাংলাদেশ পুলিশ

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা,
বাংলার বাঘিনীদের প্রতি লড়াই করার পদ্ধতি জানিয়ে লেখা পোস্টগুলোর লিংক সবগুলো একসাথে নিচে দিচ্ছি। সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট-করা বদমায়েশগুলোকে কিভাবে ঘরে বসে এক দুদিন মাত্র দশ মিনিট অনুশীলন করেই পিটিয়ে লাশ বানাবেন এ নিয়ে ছয়টা পোস্ট। আপনার আত্মরক্ষার আইনি অধিকার নিয়ে একটি পোস্ট, সবশেষে অনুপ্রেরণা হিসেবে "খারাপ মেয়ে"কবিতাটি।সাথে বোনাস: মেয়েদের সেল্ফ ডিফেন্স কেন দরকার এ নিয়ে ছোট একটা লেখা।

লেখাগুলো বিনা দ্বিধায় শেয়ার করুন। কপিপেস্ট করুন, নিজের নাম চালিয়ে দিন, লিফলেট বানিয়ে বিতরণ করুন, যেভাবে ইচ্ছে কাজে লাগান। অনেকেই আছেন আমাকে অপছন্দ করেন, এরকম হলে আমার নামও দেবার দরকার নেই-লেখক কে সেটা জরুরি নয় মোটেই
বাংলার বুকে হাজার হাজার বাঘিনী গর্জ্বে উঠুক!
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
চতুর্থ পর্ব
পঞ্চম পর্ব
ষষ্ঠ পর্ব
আত্মরক্ষার আইন:
অনুপ্রেরণা:
কেন সেল্ফ ডিফেন্স

মেয়েদের আত্মরক্ষা সংক্রান্ত সবগুলো লেখা পিডিএফ আকারে এখানে পাবেন। আগ্রহীরা ডাউনলোড করে সরাসরি প্রিন্ট আউট দিতে পারবেন।

এখানে ঘরে বসে দশ পনের মিনিট অনুশীলন করে কিভাবে একটা মেয়ে ফাইট ব্যাক করবে এর সচিত্র বর্ণনা রয়েছে। সাথে আছে আত্মরক্ষা সংক্রান্ত আইন এবং অনুপ্রেরণামূলক কিছু লেখা।

কোন কপিরাইট রাখছিনা, যার যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করুন। তবে বানিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা নিষেধ- It has to be absolutely free smile emoticon
জাগো গো বাঘিনী!
Click Here


লিখেছেন : মাসরুফ হোসেন সিনিয়র এ এস পি বাংলাদেশ পুলিশ Mashroof Hossain, is a Senior Assistant Superintendent of Police (Sr. ASP) of Bangladesh Police Force.  Fondly known as “Supercop”, he has been credited for implementing revolutionary IT-based law & order services such as the “Dhaka Metropolitan Police App” and the “Digital Safe Zone Concept”


0 comments