শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

মুহাম্মদ (সাঃ)-আল্লাহর রাসূল

মুহাম্মদ (সাঃ)-সকল মানুষের জন্য উদাহরন, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, ও আল্লাহর রাসুল

আল কোরআন - মহান আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব

এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,

আমাদেরকে সরল পথ দেখাও

আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

আল্লাহ নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু

সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

Labels: ,

অর্থপূর্ন ও বরকতময় নামাজ পর্ব ১১/ নামাজে মনোসংযোগ বৃদ্ধির কিছু উপায়:

নামাজে মনোসংযোগ বৃদ্ধির কিছু উপায়:

আপনি কি জানেন, আপনি যখন নামাজে দাঁড়ান, শয়তান তখন প্রচণ্ড রকম হিংসা বোধ করতে থাকে। একারনেই সে নামাজে দাঁড়ানো ব্যক্তির মনকে ভিন্নমুখী করে তাকে নামাজের এই সুউচ্চ সম্মানিত অবস্থান থেকে সরিয়ে ফেলার সমস্ত রকম চেষ্টা চালায়। এবং দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, বেশির ভাগ সময়ই আমরা শয়তানের এই প্ররোচনায় পড়ে যাই। শয়তানের সাদৃশ্য কিছুটা মাছির মত, যতবার দূরে তাড়ান, ঘুরে ফিরে আবার চলে আসে।

নামাজে মনসংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা অনেকে নামাজ পড়ি ঠিকই কিন্তু নামাজে কী পড়ছি, কেন পড়ছি সেসব সম্পর্কে অবগত থাকিনা। কেবল উঠাবসা করলেই নামাজ হয়না, নামাজে আত্মার সংযোগ থাকতে হয়। তাই নামাজে মনসংযোগের কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করলাম (নেট ঘেটে পাওয়া):

মানসিক প্রস্তুতি:  
১.সারাদিনের কর্মপরিকল্পনা নামাজকে কেন্দ্র করে তৈরি করুন। অর্থাৎ দিনের কাজ-কর্মের ফাঁকে ফাঁকে নামাজকে না ঢুকিয়ে আগে থেকেই প্ল্যান করে নিন যেন নামাজের সময়সূচিকে ঘিরে কাজ-কর্ম সেরে ফেলতে পারেন। কারণ মহান আল্লাহতায়ালার স্মরণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

২. নামাজে সময়ানুবর্তিতা মেনে চলুন। ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়ে ফেলুন। অহেতুক নামাজ পড়তে দেরি করবেন না।
৩.পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে পড়ার চেষ্টা করুন। কারণ আল্লাহ কোরানে সূরা বাকারা’র ৪৩ নং আয়াতে বলেছেন, “তোমরা রূকুকারীদের সাথে রুকু দাও”। এর দ্বারা জামাতে নামাজ পড়ার গুরুত্ব বুঝা যায়।
৪. শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিতে থাকাকালে নামাজ পড়বেন না।
৫. নামাজে দাঁড়ানোর পূর্বে সকল অবসাদ, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন।
৬. নামাজে কোন কোন সূরা পড়বেন তা নামাজে দাঁড়ানোর আগেই ঠিক করে নিন।
৭.চেষ্টা করুন নামাজে কী আয়াত পড়ছেন তা অনুধাবন করার। কারণ আয়াতের অর্থ বুঝে পড়লে তা মনসংযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সেজন্য কিছু বহুল পঠিত সূরা এবং দোয়ার বাংলা অনুবাদ মুখস্থ করে নিন। কারণ আমি আল্লাহর কাছে নামাজে কী চাইছি তা যদি জানতেই না পারলাম তবে লাভ কী হল? নামাজে মনসংযোগের জন্য এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

শারীরিক প্রস্তুতি:  
১. নামাজে দাঁড়ানোর পূর্বে ক্ষুধা, তৃষ্ণা, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়া প্রভৃতি জৈবিক কাজ সেরে নিন।
২.পরিচ্ছন্ন অবস্থায় নামাজ আদায় করুন। সেজন্য সঠিকভাবে ওযু বা গোসল সম্পন্ন করুন।
৩.পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় শান্ত, কোলাহলমুক্ত পরিবেশে নামাজ আদায় করুন।মনসংযোগে বিঘ্ন ঘটায় এমন কোন কিছু সামনে রাখবেন না।

নামাজ পড়ার সময়:
১.নামাজে তাড়াহুড়া করবেন না। মনে রাখবেন আপনি বিশ্বজগতের প্রভু সর্বশক্তিমান আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান। অতএব ধীর-স্থিরভাবে নামাজ সম্পন্ন করুন।
২.নামাজের প্রতিটি ধাপ যেমন রূকু, সিজদা সঠিকভাবে আদায় করুন।
৩.নামাজে আপনার মস্তক অবনত রাখুন এবং দৃষ্টিকে সিজদার স্থানের দিকে নিবদ্ধ রাখুন।
৪.নামাজ পড়ার সময় মাথায় রাখুন যে এই নামাজই হয়তোবা আপনার শেষ নামাজ। অতএব জীবনের শেষ নামাজ কি মনোযোগের সাথে পড়তে চাইবেন না?
৫.নামাজে দন্ডায়মান অবস্থায় মনোযোগ ছুটে যেতে চাইলে কল্পনা করুন যে আপনি পুল সিরাতের উপর দাঁড়িয়ে আছেন। আপনার নীচে জাহান্নামের গনগনে আগুন, সামনে জান্নাত আর উপরে মহান আল্লাহ আপনাকে দেখছেন। কল্পনা করুন আপনার পিছনে মৃত্যুদূত হযরত আযরাইল (আ) দাঁড়িয়ে আছেন আপনার জান কবয্ করার জন্য। এ অবস্থায় কি মনোযোগ ছুটে যাওয়া সম্ভব?

নামাজে এই পন্থা প্রয়োগ করে দেখুন:
নিজের মন থেকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করুন যে আল্লাহতায়ালা আপনাকে ক্ষমা করে দিতে চান, মার্জনা করে দিতে চান এবং আপনার প্রতি করুনা বর্ষণ করতে চান|বিশ্বাস করুন এবং মনপ্রাণ দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা করুন যেনো তিনি
আপনাকে জান্নাতুল ফিরদাউস করেন, এবং শুধু তাইই না, আপনি যেনো জান্নাতে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর প্রতিবেশী হোন| এগুলো আকাশচুম্বী কল্পনাপ্রসূত কোন গল্প নয়| বরং আল্লাহ
তায়ালা বলেন:

وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ
তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। [সুরা গাফির ৪০:৬০]

নবী(সা:) বলেন: “আল্লাহর কাছ থেকে নিশ্চয়তার সাথে প্রার্থনা করো|”

একাগ্র চিত্তে ওপরিশ্রমের মাধ্যমে; একবারে না হলে পুনরায় চেষ্টা করতে হবে, চাইতে হবে আল্লাহর কাছে তিনি যেনো আপনার জন্য ‘রযা’ পাওয়াকে সহজ করে দেন, যদি তা না করি তাহলে সেটা হল ‘আমানি’..সঠিক একাগ্রতা আর অধ্যাবসায় ছাড়া এমনি এমনি আল্লাহর করুনা প্রার্থনা করা- তিনি(আল্লাহ) তা করা পছন্দ করেন না|

আল্লাহতায়ালা বলেন:

وَإِنِّي لَغَفَّارٌ لِّمَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَىٰ

আর যে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎপথে অটল থাকে, আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল। [সুরা তাহা ২০:৮২]

আর এমন করলেই তিনি আপনাকে আপনার প্রতাশার চাইতেও বেশী কিছু দান করবেন|

আল্লাহর করুনা:আল্লাহ তাঁর করুণাকে ৯৯ ভাগে ভাগ করেছেন, এবং তার মাত্র একটি ভাগ তিনি সমগ্র পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন| এই এক ভাগই এত শক্তিশালী যে তা সৃষ্টির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মায়েদের, বাবাদের, সন্তানদের, স্বামীদের, স্ত্রীদের এমনকি সকল পশু প্রানীদের মাঝে এমন ভাবে বিদ্যমান- যে সন্তান যতই যা করুক মা তাঁর
সন্তানের একটু কষ্ট দেখলে কী যন্ত্রনাই না পায়; কোন বাবা তার সন্তানের জন্য কত কী না করেন; জন্ম দেয়ার পর মা কিভাবে আগলে রাখে তার সন্তান দের....আরো কত...|

আরেকটি উদাহরন দেই-নিজের জন্মের আগের অবস্থা কল্পনা করুন – কিছুই ছিলেন না আপনি, নয় মাস মায়ের পেটে থেকে মাকে ব্যথা দিয়েছেন, এত কষ্ট দিয়েও ক্ষান্ত হননি, পৃথিবীতে আসার মুহূর্তেও মাকে দিয়েছেন কী অসম্ভব কষ্ট, কী পরিমান কষ্ট সয্য আপনার মা আপনাকে জন্ম দিলেন অথচ জন্মের পরপরই আপনিই হয়ে গেলেন তার নয়নমনি, আদরের ধন ...একবার কী চিন্তা করেছেন আপনি কী এমন করেছিলেন যে আপনি আপনার মার এত ভালোবাসা, দয়া, করুনার পাত্র হয়ে গেলেন? এসবি যদি সেই একটি ভাগেরই অংশ হয়ে থাকে তবে বাকি ৯৯ ভাগের কথা কী কল্পনা করা সম্ভব? কখনই না ..

তার করুনা অসীম; শেষ বিচারের দিন তিনি যখন এই সমগ্র করুনা নিয়ে আমাদের বিচার করবেন তখন কী অবস্থা হতে পারে? এটা কী আমাদের আবৃত না করে পারবে? আমাদের চেয়ে অনেক পাপী মানুষ যাদের আল্লাহ তাঁর স্বীয় করুনায় ক্ষমা করে দিয়েছেন, যেমন সেই মানুষটি যে ৯৯জনকে হত্যা করেছিলো তারপর আরও একজন কে হত্যা করে ১০০ পুরো করছিলো আর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন | তাহলে কিভাবে তিনি আমাদের ক্ষমা ও করুনা না করে থাকতে পারেন?





তাহলে আপনি আমি কী তাঁর অসীম করুনার ভাগিদার হতে পারিনা? অবশ্যই পারি| চলুন তাহলে আজ থেকেই এভাবে নামাজ পড়ি ও প্রার্থনা করি|

প্রিয় মুসলিম ভাই-বোনেরা, আসুন আমরা সহীহ ভাবে পূর্ণ মনোযোগের সাথে মহান আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান হয়ে নামাজ আদায় করি। মহান আল্লাহ আমাদের সেই তওফিক দান করুন। আমিন।


অর্থপূর্ন ও বরকতময় নামাজ বই আকারে পিডিএফ ফাইল পড়তে ও ডাউনলোড করতে
Click here

Meaningful Prayer in English PDF Document Read or Download

0 comments
Labels: ,

অর্থপূর্ন ও বরকতময় নামাজ পর্ব ১০/ নামাজের সুফল কোরআনের আলোকে:

  নামাজের সুফল

নামাজের সুফল কোরআনের আলোকে:
وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ    তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে। সূরা আল-মু’মিন আয়াত ( ৪০: ৬০).

নামাজ/সালাত সকল মুসলিম নর নারীর জন্য আবশ্যিক/ফরজ যখন তারা উপযুক্ত হয়, অন্যান্য অনেক উপকারিতার মত  এখানে কিছু উপকারিতার তুলে ধরা হল কোরআনের আলোকে কেন নামাজ এত গুরুত্ব পুর্ন

 ১। আল্লাহ তাদের সাথে যারা প্রর্থনা করে  “يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اسْتَعِينُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ إِنَّ اللّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ    
হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।  সুরা আল-বাকারা (২:১৫৩)     

 ২। নামাজ পথ প্রর্দশন করে: সুরা আল-বাকারা (২:২-৩)  ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ    এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,      الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ     যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে      
 
৩।নামাজ বিশ্বসীদের দলিল/ কাজ: وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاء بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاَةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللّهَ وَرَسُولَهُ أُوْلَـئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ    
আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।  সূরা আত তাওবাহ আয়াত ( ৯.৭১),

৪। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত আসে: সূরা আশ-শুরা ,আয়াত(৪২:৩৬-৩৮) فَمَا أُوتِيتُم مِّن شَيْءٍ فَمَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَا عِندَ اللَّهِ خَيْرٌ وَأَبْقَى لِلَّذِينَ آمَنُوا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ    
36:অতএব, তোমাদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগ মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী তাদের জন্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করে।    

 وَالَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الْإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ وَإِذَا مَا غَضِبُوا هُمْ يَغْفِرُونَ    
37:যারা বড় গোনাহ ও অশ্লীল কার্য থেকে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধাম্বিত হয়েও ক্ষমা করে,    

وَالَّذِينَ اسْتَجَابُوا لِرَبِّهِمْ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَمْرُهُمْ شُورَى بَيْنَهُمْ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ    
38:যারা তাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য করে, নামায কায়েম করে; পারস্পরিক পরামর্শক্রমে কাজ করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে,

৫। নামাজ আখিরাতে সুফল বয়ে আনবে  إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُواْ الصَّلاَةَ وَآتَوُاْ الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ    
নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। সুরা বাকারা আয়াত(২:২৭৭)   
৬। নামাজ আল্লাহর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে:
 فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلاَةَ فَاذْكُرُواْ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِكُمْ فَإِذَا اطْمَأْنَنتُمْ فَأَقِيمُواْ الصَّلاَةَ إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا    অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। সূরা আন নিসা আয়াত (৪:১০৩)

 ৭।নামাজ যত্নবান হতে সাহাজ্য করে:  حَافِظُواْ عَلَى الصَّلَوَاتِ والصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُواْ لِلّهِ قَانِتِينَ    
সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। সুরা বাকারা আয়াত(২:২৩৮)

 ৮।নামাজের মাধ্যমে ধৈর্য্যশীলতার শিক্ষা:  يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اسْتَعِينُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ إِنَّ اللّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ     হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন। সুরা বাকারা আয়াত(২:১৫৩)

৯। জুম্মার নামাজের গুরুত্ব: يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ     
মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।  
  
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ    
অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। সূরা আল জুমুআহ,আয়াত(৬২:৯-১০)

১০। নামাজ শয়তার হতে দুরে রাখে:
إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاء فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَن ذِكْرِ اللّهِ وَعَنِ الصَّلاَةِ فَهَلْ أَنتُم مُّنتَهُونَ    শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে? সূরা আল মায়েদাহ আয়াত (৫:৯১),

১১। নামাজ যন্ত্রণা/ঝামেলা/অসুবিধা থেকে বাচিয়ে রাখে:
اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ    আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। সূরা আল আনকাবুত আয়াত (২৯:৪৫),    ১২। শুধু তারাই আপনার প্রকত বন্ধু যারা নামাজ কায়েম করে:
 •إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُواْ الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلاَةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ    
তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ তাঁর রসূল এবং মুমিনবৃন্দ-যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র। সূরা আল মায়েদাহ, আয়াত(৫:৫৫)

 ১৩। নামাজ ও নারী সম্মান:
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا    
তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।  সূরা আল আহযাব আয়াত(৩৩:৩৩)

 ১৪। নামাজই মুনাফেকদের চিহ্নিত করে:
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ وَإِذَا قَامُواْ إِلَى الصَّلاَةِ قَامُواْ كُسَالَى يُرَآؤُونَ النَّاسَ وَلاَ يَذْكُرُونَ اللّهَ إِلاَّ قَلِيلاً    
অবশ্যই মুনাফেকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে, অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে। বস্তুতঃ তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শিথিল ভাবে লোক দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।  সূরা আন নিসা আয়াত(৪:১৪২)  
   
 ১৫। নামাজ ছারা কুফুরির অর্ন্তভুক্ত:
 مُنِيبِينَ إِلَيْهِ وَاتَّقُوهُ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَلَا تَكُونُوا مِنَ الْمُشْرِكِينَ    
সবাই তাঁর অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। সূরা আর-রূম আয়াত(৩০:৩১)     

১৬। নামাজ ছারলে/ পরিত্যগ পুরো জাতি ধ্বংস প্রপ্ত হয়
:فَخَلَفَ مِن بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا    
অতঃপর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে।     إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ شَيْئًا    
কিন্তু তারা ব্যতীত, যারা তওবা করেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সুতরাং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের উপর কোন জুলুম করা হবে না। সূরা মারইয়াম আয়াত(১৯:৫৯)

আল্লাহ নামাজ সকল নবী রাসুলদের জন্য ফরজ/ অবশ্য পালনীয় করেছেন। আল্লাহ নামাজের কথা মহিমাম্বিত /গৌরবান্বিত/ঐশ্বর্যশালী/মহৎ হিসেবে বিভিন্ন সময় উল্লেখ করেছেন। যেমন যখন আল্লাহ মুসা (আঃ) সাথে সরাসরি কথা বলেন তখন তিনি ইরশাদ করেন “এবং আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, অতএব যা প্রত্যাদেশ করা হচ্ছে, তা শুনতে থাক।আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর”। সূরা ত্বোয়া-হা:আয়াত (২০:১৩-১৪)    

0 comments
Labels: ,

অর্থপূর্ন ও বরকতময় নামাজ পর্ব ৯/ দরুদ ও বরকতের দু‘আ আয়াতুল কুরসীঃ ও সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা

***************** দরুদ ও বরকতের দু‘আ *************


২২দরুদ পড়া:       
আল্লাহুম্মা ছাল্লি লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া লা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা লা ইব্রাহীমা ওয়া লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ

[
হে আল্লাহ্! হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এবং মোহাম্মদ (দঃ)-এর আওলাদগনের উপর তোমার খাস রহমত নাযিল কর, যেমন ইবরাহীম (আঃ) এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর আওলাদগনের তোমার উপর খাস্ রহমত নাযিল করেছ, নিশ্চয়ই তুমি প্রসংশার যোগ্য এবং সর্বোচ্চ্ সন্মানের অধিকারী]

আল্লাহুম্মা বারিক লা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া লা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাক্তা লা ইব্রাহীমা ওয়া লা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ

[
হে আল্লাহ্! হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এবং মোহাম্মদ (দঃ)-এর আওলাদগনের উপর তোমার খাস বরকত নাযিল কর, যেমন ইবরাহীম (আঃ) এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর আওলাদগনের তোমার উপর খাস্ বরকত নাযিল করেছ, নিশ্চয়ই তুমি প্রসংশার যোগ্য এবং সর্বোচ্চ্ সন্মানের অধিকারী]

২৩। বরকতের দু পড়া:  অত:পর নামাজ শেষ তাশাহ্হুদ দুরুদ পড়ার  পর আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে জাহান্নামের আজাব কবরের আজাব থেকে, জীবন-মৃত্যূর ফেতনা থেকে এবং মসীহ দাজ্জালের ফেতনা থেকে। তারপর আপন পছন্দমত আল্লাহর কাছে দু করবে, বিশেষ করে নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত দু গুলো ব্যবহার করা সবোর্রত্তম। তন্মধ্যে একটি হল নিম্নরূপ:

«اَللهُمَّ أعِنِيْ عَلَى ذِكْركَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِِ عِبَادَتِكَ»
«اللهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّلا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلا أنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ»

উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা -ইনী আলা-জিক্রিকা ওয়া শুক্রিকা ওয়া হুস্নি ইবাদাতিক। আল্লাহুম্মা ইন্নী জালাম্তু নাফসী জুলমান কাসীরাউওয়ালা ইয়াগফিরুজ্জুনু-বা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম্ মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম

অর্থ: হে আল্লাহ ! আমাকে তোমার জিকির, শুকরিয়া আদায় ভালভাবে তোমারই ইবাদত করার তাওফীক দাও। আর, হে আল্লাহ ! আমি আমার নিজের উপর অনেক বেশী যুলুম করেছি, আর তুমি ছাড়া গুনাহসমূহ মাফ করতে পারেনা, সুতরাং তুমি তোমার নিজ গুনে আমাকে মার্জনা করে দাও এবং আমার প্রতি রহম করো, তুমিতো মার্জনাকারী অতি দয়ালু

দরুদের পর সালাম ফিরানোর পূর্বের দোয়া     :


রব্বানা- -তিনা- ফিদ্দুনিয়া- হাসানাতান, ওয়া ফিল আখেরাতি হাসানাতান, ওয়াক্বিনা- আযা-বান্নার।  
 
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন এবং আখেরাতে কল্যাণ দান করুন এবং আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।    


আল্লা-হুম্মা ইন্নী- ঊযুবিকা মিন আযা-বি জাহান্নাম, ওয়া মিন আযা-বিল ক্বাবরি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া- ওয়ালমামা-তি ওয়া মিন ফিতনাতিল মাসী-হি দ্দাজ্জাল।

অর্থঃ আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করি জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের শাস্তি থেকে, জীবন মৃত্যুর যন্ত্রণা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফেৎনা থেকে।   

পিতামাতার জন্য দোয়া এবং আরও যত দোয়া আছে তা এখানে করা ভাল:

রাব্বি জাআলনি মুকিম-আস-সালাতি ওয়া মিন জুররিয়াতি রাব্বানা ওতাওব্বাল দোয়া, রাব্বানা গিফিরলি ওয়ালি ওয়ালেদাইয়া ওয়া লিল মুওমিনিনা ইওমা ইয়াকুমুল হিসাব

হে আল্লাহ/মালিক/প্রভু আমাকে আমার প্রর্থনায় এবং আমার দানের উপর কায়েম থাকার তৌফিক দিন, হে আল্লাহ/মালিক/প্রভু আমার গুনাহ সুমুহ মাফ করে দিন এবং আমার পিতামাতার সকল বিশ্বাসীর গুনাহ মাফ করে দিন যখন শেষ বিচারের দিন আসবে

২৪। সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা:
প্রথমে মাথা ডান দিকে ফিরিয়ে বলা আসসালামু আলাইকুল ওয়া রাহমাতুল্লাহ এবং পরে বাম দিকে ফিরিবে বলা আসসালামু আলাইকুল ওয়া রাহমাতুল্লাহ যার অর্থ: আপনার উপর সালাম আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক

এভাবে দুরাকাত নামাজ পড়া হয়. নামাজ যদি তিন রাকাত( যেমন মাগরিব) হয় তবে দ্বিতীয় রাকাতে সিজদার পড় বসে তাশাহ্হুদ (আত্তাহিয়্যাতু) পড়ার পর দাড়িয়ে যাবে এবং প্রথম রাকাতের মত পরবে সুরা ফাতিহা এবং বাকি সকল কিছু করার পড় সিজদা তে গিয়ে যদি তিন রাকাত হয় তবে দ্বিতীয় রাকাতের শেষের মত  তাশাহ্হুদ (আত্তাহিয়্যাতু) , দরুদ বরকতের দু পড়ে সালাম ফিরাবে আর

যদি চার কাত হয় তবে তবে দ্বিতীয় রাকাতে সিজদার পড় বসে তাশাহ্হুদ (আত্তাহিয়্যাতু) পড়ার পর দাড়িয়ে যাবে এবং প্রথম রাকাতের মত পরবে সুরা ফাতিহা এবং বাকি সকল কিছু করার পড় সিজদা তে গিয়ে দাড়িয়ে যাবে ফলে তিন রাকাত পরা হল এখন চতুর্থ রাকাত শুরু করবে (সুরা ফাতিহা, রুকু  সিজদা করে)এবং দ্বিতীয় রাকাতের মত  তাশাহ্হুদ (আত্তাহিয়্যাতু) পড়ার পর দরুদ বরকতের দু পড়ে সালাম ফিরাবে

সালাম ফিরানোর পরের তাসবীহ সমুহ : আস্তাগফিরুল্লাহ্ (আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি)   

**আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু, ওয়ামিনকাস্ সালা-মু, তাবা-রাকতা ইয়া-যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।   
অর্থঃ হে আল্লাহ্, তুমি প্রশান্তি দাতা, আর তোমার কাছেই শান্তি, তুমি বরকতময়, হে মর্যাদাবান এবং কল্যাণময়।   

سبحان الله (সোবহানাল্লাহ্) (আল্লাহ্ মহাপবিত্র) ৩৩ বার, الحمد لله (আল-হামদুলিল্লাহ্) (সকল প্রশংসা আল্লাহর) ৩৩ বার এবং الله أكبر ( আল্লাহু আকবার) (আল্লাহ্ সবচেয়ে বড়) ৩৩ বার পড়বে আর একশত পূর্ণ করতে নিম্নের দোআটি পড়বে

(لاَإِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَشَرِيْكَ لَهُ ؛ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَعَلىكُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ )

উচ্চারণঃ (লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কালাহু,লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু,ওয়া হুয়াআলা- কুল্লি শাইইন ক্বাদী-র।)

অর্থঃ আল্লাহ্ ছাড়া (সত্য) কোন মাবূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল বাদশাহী সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই সব কিছুর উপর ক্ষমতাশালী।   

**লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারী-কালাহু,লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু,ওয়া হুয়াআলা- কুল্লি শাইইন ক্বাদী-র। আল্লা-হুম্মা লা- মা-নি লিমা- তাইতা, ওয়ালা- মুতিয়া লিমা- মানাতা, ওয়ালা ইয়ানফা যালজাদ্দি মিনকালজাদ্দু। লা- হাওলা ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হি, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়ালা- নাবুদু ইল্লা- ইয়্যা-হু, লাহুন্নিমাতু ওয়ালাহুল ফাদ্বলু, ওয়ালাহুস্ ছানা-উল হাসানু, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিসী-না লাহুদ্দী-না ওয়ালাউ কারিহাল কা-ফিরূন

**অর্থঃ আল্লাহ্ ছাড়া (সত্য) কোন মাবূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, সকল বাদশাহী সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সব কিছুর উপরেই ক্ষমতাশালী। হে আল্লাহ! তুমি যা দান করেছো, তার প্রতিরোধকারী কেউ নেই। আর তুমি যা নিষিদ্ধ করেছো তা প্রদানকারীও কেউ নেই। এবং কোন সম্মানী ব্যক্তি তার উচ্চ মর্যাদা দ্বারা তোমার দরবারে উপকৃত হতে পারবে না। তোমার শক্তি ছাড়া অন্য কোন শক্তি নেই। আল্লাহ্ ছাড়া (সত্য) কোন মাবূদ নেই। আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, নেয়ামতসমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ্ ছাড়া কোন (সত্য) মাবূদ নেই। আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তাঁর জন্যই একনিষ্ঠ ভাবে পালন করি। যদিও কাফেরদের নিকট তা অপছন্দনীয়।   

আয়াতুল কুরসীঃ আল্লাহু লা- ইলাহা ইল্লা- হুওয়া, আল হাইয়্যুল কাইয়্যু-, লা-তাখুযুহু ছিনাতুউঁ-ওয়ালা-নাউ-, লাহু- মা- ফিচ্ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা- ফিলআরদি; মান্ যাল্লাযী- ইয়াশফাইন্দাহু- ইল্লা- বিইয্ নিহি, য়ালামু মা-বাইনা আইদী-হিম ওয়ামা- খালফাহুম, ওয়ালা- ইউহী-তূ-না বিশাইয়িম্ মিনইলমিহী-, ইল্লা- বিমা-শা-, ওয়াছি কুরছিয়্যুহুচ্ছামা-ওয়া-তি, ওয়ালআরদা, ওয়ালা- ইয়াউ-দুহু হিফজুহুমা- ওয়াহুয়ালআলিয়্যুল আযী-ম।   

অর্থঃ আল্লাহ্;তিনি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) মাবূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব,সবকিছুর ধারক, তাঁকে তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আকাশ পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে এমন যে,তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সম্মুখে পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত আছেন। যতটুকু তিনি ইচ্ছে করেন, ততটুকু ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী সমস্ত আকাশ পৃথিবী পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করা তাঁকে ক্লান্ত করে না। তিনি মহান শ্রেষ্ঠ। [সূরা আল-বাকারাহঃ ২৫৫]



অর্থপূর্ন ও বরকতময় নামাজ বই আকারে পিডিএফ ফাইল পড়তে ও ডাউনলোড করতে
https://docs.google.com/open?id=0B6aWh_t0c7b6SXRsUXpqQ09FaUE

Meaningful Prayer in English PDF Document Read or Download
https://docs.google.com/open?id=0B6aWh_t0c7b6Y2hzVHRZUExIbEE

0 comments