Labels: ,

কোরআনের রত্ন ইউসুফ (আঃ) ও মুসা (আঃ) ঘটনার মিল

#কোরআনের রত্ন : ইউসুফ (আঃ) ও মুসা (আঃ) এর কাহিনী\গল্প\বিবরণ\ ইতিহাসের সাথে মিল\সদৃশতা সমুহ।

আপনারা নিশ্চই কোরআনে ইউসুফ (আঃ) Joseph ও মুসা (আঃ) সর্ম্পকে জেনে থাকবেন:

দুজনের ঘটনা সময়কালের মধ্যে পার্থক্য হাজার বছরের উপরে। কোরআন অনুযায়ি প্রথম ঘটনা ইউসুফ (আঃ)এবং তার পর মুসা (আঃ) সর্ম্পকে

মিল\সদৃশতা সমুহ:১. নবী ইয়াকুব (আঃ) যিনি ইউসুফ (আঃ) বাবা এবং মুসা (আঃ) এর মা দুজনেই তাদের সন্তান কে হারান মিশরে এবং অবশেষে ফিরেও পান।

২. ইউসুফ (আঃ) Joseph ও মুসা (আঃ) দুজনেই পানিতে পতিত হন যেমন ইউসুফ (আঃ) Joseph কে কুয়াতে ফেলে দেয় ওনার ভাইয়েরা  এবং মুসা (আঃ) কে নদীতে ভাসিয়ে দেন ওনার মা ফেরআউন থেকে বাচাতে।

৩. যখন ধর্মযাজক ইউসুফ (আঃ) Joseph কে ঘরে আনেন এবং যখন আসিয়া (আঃ) মুসাকে ফেরআউনের কাছে নিয়ে আসে তখন দুজনেই একই কথা বলেছিলেন : {عَسَىٰ أَن يَنفَعَنَا أَوْ نَأْتَخِذَهُ وَلَدًا}
{ আসা আন ইয়ান ফাআনা আউ নাত তাকিতাহাহু ওয়ালাদান} যার অর্থ মনে হয় এই বাচ্চা আমাদের উপকারে\কাজে আসবে অথবা আমরা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহন করবো

৪. ইউসুফ (আঃ) Joseph ও মুসা (আঃ) দুজনেই পালিত হয়েছিলেন অন্যের কাছে এবং দুজনেই রাজ প্রসাদে বা দুর্গে বেড়ে ওঠেন।

৫. ইউসুফ (আঃ) Joseph ও মুসা (আঃ) দুজনেরই চেহারা বা সৈন্দর্য তাদের জীবনে বড় রকমের প্রভাব ফেলেছিল। যেমন ইউসুফ (আঃ) Joseph এর যুবক বয়সের সময়ে রাজ প্রসাদের বা দুর্গের নারীরা তার সৈন্দর্যের জন্য পাগল হয়ে ছিলেন এমনকি কথিত আছে যে ইউসুফ (আঃ) দিকে তাকিয়ে দেখার সময় ফল কাটতে গিয়ে নিজের হাতের অংগুল কেটে ফেলেছে। আর অন্য দিকে মুসা (আঃ) যখন নদীতে ভাসতে ভাসতে ফেরআউনের স্ত্রীর কাছে যায় তখন মুসা (আঃ) কে দেখে ওনার মায়া হয় এবং নিজের কাছে নিয়ে নেন আর ফেরআউন সেই সময়ে যখন সকল ছেলে সন্তান হত্যার নির্দেশ দেয় তখন মুসা (আঃ) কে ওনার স্ত্রীর কাছে দেখে না মেরে বরং নিজের সন্তান হিসেবে পালতে সম্মত হন।

৬. ইউসুফ (আঃ) এর ঘটনায় নারীরা তাদের হাতের অংগুল কেটে ফেলেছে কারন তারা এতটাই মুগ্ধ হয়েছিল ইউসুফ (আঃ) এর সৈন্দর্যে আর মুসা (আঃ) কে নিজের প্রসাদে নিয়ে ফেরআউন বুঝতেও পারেনি যে নিজের গলা সে নিজেই কাটছিল কারন একদিন মুসা (আঃ) ই হন ফেরআউনের সম্রাজ্যের পতনের কারন।

সুবহানাল্লাহ দেখনু ঘটনার মিল সমুহ। ইউসুফ (আঃ) ও মুসা (আঃ) এর কাহিনী ইতিহাস যেখানে ফিরে আসে, একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যদিও তাদের মাঝে হাজার বছরের পার্থক্য।

মুল কথা শাসক যতই জালিম হোক না কেন যতই পাওয়ারফুল হোক না কেন তার পতনের জন্য একজন সৎ লোকই যথেস্ট এটাই বারবার প্রামানিত হয়েছে চিরন্তন সত্য হিসেবে তাই যারাই ক্ষমতায় আছেন বা যাবেন তাদের সর্বদা মনে রাখা উচিৎ তাদর চেয়েও বড় মহান এক ক্ষমতাধর আছেন যার কাছে ফিরে যেতে হবে।

তথ্য সুত্র নেয়া হয়েছে: সূরা নং ২৮ সুরা আল কাসাস তফসির নোটস থেকে আয়াত নং ৭,
লিখেছেন: নোমান আলী খান সিইও ব্যাইয়েনাহ ইন্সটিটিউট

লিংক: Click This Link

No comments:

Post a Comment