অনেকে জিগ্গেস করেন কেন আল্লাহ আমাদর কাছে চান যেন আমরা ভালো কাজ করি ? এগুলো কি আল্লাহর কোন কাজে আসে ?
এটা খুবই একটি ভালো প্রশ্ন। আল্লাহর একটি নাম হলো আল-গনি। গনি অর্থ হলো যার কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। একটি আয়াতে আল্লাহ আমাদের কিছু করতে আদেশ করেন , এবং তিনি বলেন তিনি হলেন গনি \ কারো মুখাপেক্ষি নন বরং আমরাই হলাম আল্লাহর মুখাপেক্ষি। আল্লাহর কোনকিছুর প্রয়োজন নাই বরং আমাদেরই আলল্হকে প্রয়োজন। অতপর আল্লাহ আমাদের কিছু ভাল কাজের উপদেশ দেন আর আপনি যদি সেই ভালো কাজ গুলো করেন তবে আল্লাহ আপনাকে অন্যের প্রত্যি নির্ভরশীলতা হতে মুখাপেক্ষী হতে রক্ষা করবেন। তিনি আপনাকে অনেক নেয়ামত দান করবেন।
ভালো কাজগুলো শুধু আমাদের জন্য উপকারী\ কল্যানকর নয় এগুলো আমাদের জন্য ঐষধের মত কাজ করে উপরন্তু এই ভালো কাজ গুলো আমাদের জন্য এই দুনিয়া ও আখিরাপ \ পরকালে বোনাস স্বরুপ।
উদাহরন স্বরুপ, যখন আপনি কোন চাকরি খুজছেন এবং আপনার আম্মার প্রতি আপনি ভালো ব্যবহার করছেন না, আপনি যখনই আপনার আম্মার প্রতি ভালো ব্যবহার শুরু করলেন রহস্যজনকভাবে একদিন আপনি ফোন পেলেন যে আপনাকে ইন্টার ভিউতে ডাকা হয়েছে - এটা হচ্ছে আম্মার প্রতি ভালো ব্যবহারের জন্য দোয়া স্বরুপ আপনার বোনাস।
একটা ভালো কাজ আপনার জন্য অন্য দরজা খুলে দিবে আপনার কস্ট \ মুশকিল\ সমস্যা দুর হবার জন্য। এটাই আল্লাহর নিয়ম তিনি এটাই করেন পৃথিবীতে। যে আল্লাহর ব্যপারে সচেতন হয় ওনার আদেশ মেনে চলে তখন আল্লাহ তার জন্য রহমতের দরজা খোলা শুরু করেন , তাকে খারাপ সময়ে উদ্ধার করেন। আল্লাহ আপনার জন্য এমন পথ তৈরি করবেন যা আপনি কল্পনাও করেন নি যে এর মাধ্যমে আপনার সমস্যার সমাধান হবে।
আর এই সবই হয় কারন সে আল্লাহর ব্যপারে সচেতন আল্লাহর আদেশ মানতে সচেতন সে ভালো কাজ করে নিজের ভালো করে এবং অন্য মানুষ পরিবার সমাজ ও দেশের কল্যান করে. এটাই আল্লাহ আমাদের কাছ থেকে চান আমাদের জিবক কে সুন্দর করতে আমাদের পাশের মানুষের জীবন কে সুন্দর করতে.
মানুষ বলে আল্লাহ কি চান? এটা একদমই মৌলিক প্রশ্ন যে আল্লাহ কি চান ? কোরআনে কিছু আয়াত আছে যা আমাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেয় সুরা নং ৪ সুরা আন নিসা আয়াত ২৭-২৮ "আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হতে চান, এবং যারা কামনা-বাসনার অনুসারী, তারা চায় যে, তোমরা পথ থেকে অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়। আল্লাহ তোমাদের বোঝা হালকা করতে চান। মানুষ দুর্বল সৃজিত হয়েছে।
আপনি মনে করেন পার্টি করে ঘুরে ফিরে আপনি আপনার লাইফ ইজি করছেন। আপনি এটা কে কঠিন ব্যতিত আর কিছুই করছেন না। আল্লাহ চান আপনার কঠিন কে সহজ করতে আপনাকে সঠিক পথে রাখতে কারন আমাদের দুর্বলতা রয়েছে আর সেজন্যই আল্লাহ আমাদের কোরআনের মাধ্যমে নির্দেশনা দেন। সুবহানাল্লাহ
আর ভালো কাজের পুরস্কার : দেখুন সুরা ২ সুরা বাকারা আয়াত ২৫: "আর হে নবী (সাঃ), যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। "
এভাবে আরো আনেক বার কোরআনে বলা আছে ভালো কাজের ব্যপারে দেখতে চাইলে কোরআন নিজেই খুলে পড়ে নিন :
সুরার নাম সুরা নং সুরা : আয়াত নং
Surah Al-Baqarah 2: Ayah 82
Surah An-Nisa’ 4: Ayah 57
Surah An-Nisa’ 4: Ayah 122
Surah An-Nisa’ 4: Ayah 124
Surah Al-Maidah 5: Ayah 9
Surah Yunus 10: Ayah 9
Surah Hud 11: Ayah 11
Surah Hud 11: Ayah 23
Surah Al-Kahf 18: Ayat 30 – 31
Surah Al-Kahf 18: Ayah 107
Surah Al-Hajj 22: Ayah 14
Surah Al-Hajj 22: Ayah 23
Surah Al-Hajj 22: Ayah 50
Surah Luqman 31: Ayah 8
Surah Saba 34: Ayah 4
Surah Fatir 35: Ayah 7
Surah Fussilat 41: Ayah 8
Surah Ash-Shura 42: Ayah 22
Surah Al-Jathiya 45: Ayah 30
Surah Muhammad 47: Ayah 2
Surah At-Taghabun 64: Ayah 9
Surah At-Tin 95: Ayah 6
Surah Al-Bayyinah 98: Ayah 7-8
বাংলা অনুবাদ পড়তে কোরআনের অনলাইন Click This Link
কিভাবে নিজেকে কে ভালো করা যায় ? কি ভাবে নিজের চরিত্র কে উন্নত করা যায় ? ওস্তাদ নোমান আলী খান এই প্রশ্নের খুব সুন্দর উত্তর দেন তার অনুবাদ আপনাদের জন্য:
প্রথমত সবার আগে হারাম কাজ বন্ধ করুন। খারাপ কাজ বন্ধ করুন। নিজের চরিত্রে ভালো কিছু যোগ করবার চিন্তা করা উচিৎ নয় যতক্ষন না আপনি খারাপ কাজ থেকে মুক্ত হচ্ছেন বা খারাপ\ হারাম কাজ ছারছেন। এটা কমনসেন্স যে আপনি রক্ত পড়া বন্ধ না করে ঐষধ দিতে বলবেন না তাই না?. আপনাকে খারাপ ছবি , কথা , কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যখন আপনি রাস্তা দিয়ে যান আপনাকে আপনার দৃস্টি নীচু রাখতে হবে, কারন আপনি নিজেকে মানুষের চেয়ে নীচু স্তরে নিয়ে যখন আপনি কোন মেয়ে বা নারীর দিকে খারাপ নজরে তাকান, যেমন আপনি কোন খারাবের দিকে লোলুপ দৃস্টিতে তাকিয়ে আছেন যেন সেই মেয়ে \ নারী কোন জীব \ জন্তু। এর অর্থ একটাই আপনি আপনার স্বজাতী \ সহকর্মী \ সাথী মানুষের প্রতি রেসপেক্ট হারিয়ে ফেলেছেন। আপনি তার দিকে এমন ভাবে তাকাচ্ছেন যেন এক বনমানুষ \ বানর তার স্বজাতীয় মেয়ে বানরের দিকে তাকায় , যেমন এক কুকুর অন্য যেকোন নারী কুকুরের দিকে তাকায়, হ্যা এটাই আপনি একজন জানোয়ারে পরিনত হয়েছেন.
তাই আগে আপনার মনুষ্যত্ব অর্জন করুন তারপর আপনার জীবনকে ভালো কাজের মাধ্যমে সাজান \সুন্দর করে গড়ে তুলুন \ অলঙ্কৃত করুন. খুবই সধারন ছোট বিষয় সমুহ দিয়ে শুরু করুন যেমন নামাজ সঠিক ভাবে পড়ার চেস্টা করুন, কিছু দোয়া মুখস্ত করুন , কোরআন বুঝে পড়ুন ২-৩ টা আয়াত প্রতিদিন বুঝে পড়ুন, সত্য কথা বলুন, কাজে অফিসে সৎ থাকুন, আপনার বাবা মার প্রতি সদয় হোন এবং ভালো ব্যাবহার করুন, ছোটদের আদর করুন এগুলো কোন কঠিন বিষয় নয়।
মহানবী (সঃ) ইসলাম প্রচারের পুর্বে চল্লিশ বছর পরিচিত ছিলেন আল-আমিন বা বিস্বাসী বলে, সবাই তাকে পছন্দ করতো তার কথা ও কাজে সবাই সন্তুস্ট ছিল। তাই সত্যবাদীতা ও ভালো কাজই হলো ইসলামের মুল বিষয় সমুহের একটি। আর এই ভালো কাজের সাথে যখন খোদাভীতি ও খোদা প্রীতি যোগ হয় তখন সেই ভালো কাজের উদ্দেশ্য হয় পরিস্কার আর ফালাফলও হয় সবচেয়ে ভালো।আমাদের মহানবী (সঃ) সেটাই করে গেছেন সারা জীবন আমাদেরও এখন সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
আপনি ভালো কাজ করতে পারেন ভালো কথার মাধ্যমে, শিক্ষা \ জ্ঞান লাভ করে মানুষের কল্যানে সেই শিক্ষা কাজে লাগানোর মাধ্যমে সেটা হতে পারে ধর্ম, ব্যবসা, চিকিৎসা, বা বিজ্ঞান যার মূল উদ্দেশ্য হবে জানা এবং সেটা মানুষের ও সৃস্টির সকল জীবের উন্নয়নে কাজে লাগানো।
আমাদের কাছ থেকে এই ছোট বিষয় গুলোই আমাদের সৃস্টিকর্তা চান।
ফয়সাল হাসান
faysalhasan2001@yahoo.com
এটা খুবই একটি ভালো প্রশ্ন। আল্লাহর একটি নাম হলো আল-গনি। গনি অর্থ হলো যার কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। একটি আয়াতে আল্লাহ আমাদের কিছু করতে আদেশ করেন , এবং তিনি বলেন তিনি হলেন গনি \ কারো মুখাপেক্ষি নন বরং আমরাই হলাম আল্লাহর মুখাপেক্ষি। আল্লাহর কোনকিছুর প্রয়োজন নাই বরং আমাদেরই আলল্হকে প্রয়োজন। অতপর আল্লাহ আমাদের কিছু ভাল কাজের উপদেশ দেন আর আপনি যদি সেই ভালো কাজ গুলো করেন তবে আল্লাহ আপনাকে অন্যের প্রত্যি নির্ভরশীলতা হতে মুখাপেক্ষী হতে রক্ষা করবেন। তিনি আপনাকে অনেক নেয়ামত দান করবেন।
ভালো কাজগুলো শুধু আমাদের জন্য উপকারী\ কল্যানকর নয় এগুলো আমাদের জন্য ঐষধের মত কাজ করে উপরন্তু এই ভালো কাজ গুলো আমাদের জন্য এই দুনিয়া ও আখিরাপ \ পরকালে বোনাস স্বরুপ।
উদাহরন স্বরুপ, যখন আপনি কোন চাকরি খুজছেন এবং আপনার আম্মার প্রতি আপনি ভালো ব্যবহার করছেন না, আপনি যখনই আপনার আম্মার প্রতি ভালো ব্যবহার শুরু করলেন রহস্যজনকভাবে একদিন আপনি ফোন পেলেন যে আপনাকে ইন্টার ভিউতে ডাকা হয়েছে - এটা হচ্ছে আম্মার প্রতি ভালো ব্যবহারের জন্য দোয়া স্বরুপ আপনার বোনাস।
একটা ভালো কাজ আপনার জন্য অন্য দরজা খুলে দিবে আপনার কস্ট \ মুশকিল\ সমস্যা দুর হবার জন্য। এটাই আল্লাহর নিয়ম তিনি এটাই করেন পৃথিবীতে। যে আল্লাহর ব্যপারে সচেতন হয় ওনার আদেশ মেনে চলে তখন আল্লাহ তার জন্য রহমতের দরজা খোলা শুরু করেন , তাকে খারাপ সময়ে উদ্ধার করেন। আল্লাহ আপনার জন্য এমন পথ তৈরি করবেন যা আপনি কল্পনাও করেন নি যে এর মাধ্যমে আপনার সমস্যার সমাধান হবে।
আর এই সবই হয় কারন সে আল্লাহর ব্যপারে সচেতন আল্লাহর আদেশ মানতে সচেতন সে ভালো কাজ করে নিজের ভালো করে এবং অন্য মানুষ পরিবার সমাজ ও দেশের কল্যান করে. এটাই আল্লাহ আমাদের কাছ থেকে চান আমাদের জিবক কে সুন্দর করতে আমাদের পাশের মানুষের জীবন কে সুন্দর করতে.
মানুষ বলে আল্লাহ কি চান? এটা একদমই মৌলিক প্রশ্ন যে আল্লাহ কি চান ? কোরআনে কিছু আয়াত আছে যা আমাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেয় সুরা নং ৪ সুরা আন নিসা আয়াত ২৭-২৮ "আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হতে চান, এবং যারা কামনা-বাসনার অনুসারী, তারা চায় যে, তোমরা পথ থেকে অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়। আল্লাহ তোমাদের বোঝা হালকা করতে চান। মানুষ দুর্বল সৃজিত হয়েছে।
আপনি মনে করেন পার্টি করে ঘুরে ফিরে আপনি আপনার লাইফ ইজি করছেন। আপনি এটা কে কঠিন ব্যতিত আর কিছুই করছেন না। আল্লাহ চান আপনার কঠিন কে সহজ করতে আপনাকে সঠিক পথে রাখতে কারন আমাদের দুর্বলতা রয়েছে আর সেজন্যই আল্লাহ আমাদের কোরআনের মাধ্যমে নির্দেশনা দেন। সুবহানাল্লাহ
আর ভালো কাজের পুরস্কার : দেখুন সুরা ২ সুরা বাকারা আয়াত ২৫: "আর হে নবী (সাঃ), যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। "
এভাবে আরো আনেক বার কোরআনে বলা আছে ভালো কাজের ব্যপারে দেখতে চাইলে কোরআন নিজেই খুলে পড়ে নিন :
সুরার নাম সুরা নং সুরা : আয়াত নং
Surah Al-Baqarah 2: Ayah 82
Surah An-Nisa’ 4: Ayah 57
Surah An-Nisa’ 4: Ayah 122
Surah An-Nisa’ 4: Ayah 124
Surah Al-Maidah 5: Ayah 9
Surah Yunus 10: Ayah 9
Surah Hud 11: Ayah 11
Surah Hud 11: Ayah 23
Surah Al-Kahf 18: Ayat 30 – 31
Surah Al-Kahf 18: Ayah 107
Surah Al-Hajj 22: Ayah 14
Surah Al-Hajj 22: Ayah 23
Surah Al-Hajj 22: Ayah 50
Surah Luqman 31: Ayah 8
Surah Saba 34: Ayah 4
Surah Fatir 35: Ayah 7
Surah Fussilat 41: Ayah 8
Surah Ash-Shura 42: Ayah 22
Surah Al-Jathiya 45: Ayah 30
Surah Muhammad 47: Ayah 2
Surah At-Taghabun 64: Ayah 9
Surah At-Tin 95: Ayah 6
Surah Al-Bayyinah 98: Ayah 7-8
বাংলা অনুবাদ পড়তে কোরআনের অনলাইন Click This Link
কিভাবে নিজেকে কে ভালো করা যায় ? কি ভাবে নিজের চরিত্র কে উন্নত করা যায় ? ওস্তাদ নোমান আলী খান এই প্রশ্নের খুব সুন্দর উত্তর দেন তার অনুবাদ আপনাদের জন্য:
প্রথমত সবার আগে হারাম কাজ বন্ধ করুন। খারাপ কাজ বন্ধ করুন। নিজের চরিত্রে ভালো কিছু যোগ করবার চিন্তা করা উচিৎ নয় যতক্ষন না আপনি খারাপ কাজ থেকে মুক্ত হচ্ছেন বা খারাপ\ হারাম কাজ ছারছেন। এটা কমনসেন্স যে আপনি রক্ত পড়া বন্ধ না করে ঐষধ দিতে বলবেন না তাই না?. আপনাকে খারাপ ছবি , কথা , কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যখন আপনি রাস্তা দিয়ে যান আপনাকে আপনার দৃস্টি নীচু রাখতে হবে, কারন আপনি নিজেকে মানুষের চেয়ে নীচু স্তরে নিয়ে যখন আপনি কোন মেয়ে বা নারীর দিকে খারাপ নজরে তাকান, যেমন আপনি কোন খারাবের দিকে লোলুপ দৃস্টিতে তাকিয়ে আছেন যেন সেই মেয়ে \ নারী কোন জীব \ জন্তু। এর অর্থ একটাই আপনি আপনার স্বজাতী \ সহকর্মী \ সাথী মানুষের প্রতি রেসপেক্ট হারিয়ে ফেলেছেন। আপনি তার দিকে এমন ভাবে তাকাচ্ছেন যেন এক বনমানুষ \ বানর তার স্বজাতীয় মেয়ে বানরের দিকে তাকায় , যেমন এক কুকুর অন্য যেকোন নারী কুকুরের দিকে তাকায়, হ্যা এটাই আপনি একজন জানোয়ারে পরিনত হয়েছেন.
তাই আগে আপনার মনুষ্যত্ব অর্জন করুন তারপর আপনার জীবনকে ভালো কাজের মাধ্যমে সাজান \সুন্দর করে গড়ে তুলুন \ অলঙ্কৃত করুন. খুবই সধারন ছোট বিষয় সমুহ দিয়ে শুরু করুন যেমন নামাজ সঠিক ভাবে পড়ার চেস্টা করুন, কিছু দোয়া মুখস্ত করুন , কোরআন বুঝে পড়ুন ২-৩ টা আয়াত প্রতিদিন বুঝে পড়ুন, সত্য কথা বলুন, কাজে অফিসে সৎ থাকুন, আপনার বাবা মার প্রতি সদয় হোন এবং ভালো ব্যাবহার করুন, ছোটদের আদর করুন এগুলো কোন কঠিন বিষয় নয়।
মহানবী (সঃ) ইসলাম প্রচারের পুর্বে চল্লিশ বছর পরিচিত ছিলেন আল-আমিন বা বিস্বাসী বলে, সবাই তাকে পছন্দ করতো তার কথা ও কাজে সবাই সন্তুস্ট ছিল। তাই সত্যবাদীতা ও ভালো কাজই হলো ইসলামের মুল বিষয় সমুহের একটি। আর এই ভালো কাজের সাথে যখন খোদাভীতি ও খোদা প্রীতি যোগ হয় তখন সেই ভালো কাজের উদ্দেশ্য হয় পরিস্কার আর ফালাফলও হয় সবচেয়ে ভালো।আমাদের মহানবী (সঃ) সেটাই করে গেছেন সারা জীবন আমাদেরও এখন সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
আপনি ভালো কাজ করতে পারেন ভালো কথার মাধ্যমে, শিক্ষা \ জ্ঞান লাভ করে মানুষের কল্যানে সেই শিক্ষা কাজে লাগানোর মাধ্যমে সেটা হতে পারে ধর্ম, ব্যবসা, চিকিৎসা, বা বিজ্ঞান যার মূল উদ্দেশ্য হবে জানা এবং সেটা মানুষের ও সৃস্টির সকল জীবের উন্নয়নে কাজে লাগানো।
আমাদের কাছ থেকে এই ছোট বিষয় গুলোই আমাদের সৃস্টিকর্তা চান।
ফয়সাল হাসান
faysalhasan2001@yahoo.com
No comments:
Post a Comment