Labels: , , , ,

ইসলামের দাওয়াহ অন্যের কাছে পৌছানো- কী দিয়ে ?

অনেকেই আমরা দাওয়াহকে হালকা করে দেখি। আমরা কি জানি...

রাসূল (সা) এর দাওয়াহর বা মানুষকে ইসলামের প্রতি আহবানের জন্য একটা অন্যতম বড় মূলনীতি ছিল, যা তাঁকে শক্তি যোগান দিতো - সেটা ছিল তাঁর চরিত্র। তিনি সৎ ছিলেন, সবার নিকট বিশ্বস্ত ছিলেন, সবাই তাঁকে সত্যবাদী হিসেবে জানতো। তাঁর বুদ্ধিমত্তা ছিল, সমাজ তাঁর উপর আস্থা রাখতো, সবাই তাঁর উপর বিশ্বাস রাখতো। আমাদের ব্যক্তিগতভাবে যদি এসব যোগ্যতা না থাকে বা সমাজে যদি আমাদের এসব গুণাবলী না থাকে, তাহলে আমরা সমাজে উচ্চ আদর্শের কথা বলতে পারবো না।

একজন ব্যক্তি প্রতিদিন অফিসে দেরি করে আসে, তাহলে সে যতই নিয়মানুবর্তিতার বিষয়ে কথা বলুক না কেন, সেটার কোন মূল্য নেই, সেটা অর্থহীন। এটা এক প্রকার কৌতুকে পরিণত হয়।

অথচ দিনশেষে আমাদেরকে কোন উচ্চ আদর্শের কথা প্রচার করতে হবে। ইসলামের প্রতি আহবান করা বা দাওয়াহ যদি আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য হয় তবে এর মধ্যে ন্যায়বিচার, নৈতিকতা, নৈতিক আদর্শ, মানবতার প্রতি আন্তরিকতা - এগুলো যদি আমরা প্রদর্শন না করি আমাদের নিজেদের মধ্য দিয়ে এবং আমরাই যদি এমন হই যে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করি সর্বশেষে, ধৈর্য ধারণ করি সবার পরে - অর্থাৎ এসব প্রাথমিক ও মৌলিক গুণাবলী প্রকাশে আমরা অন্যদের চাইতে দেরিতে করি তাহলে কীভাবে আমাদের উচ্চ আদর্শের কথা ফলপ্রসূ হবে? অথচ রাসূল (সা) এর এসব গুণাবলীকে যে কেউ মূল্যায়ন করতো, এমনকি তাঁর এসব গুনাবলীকে ইসলামের পূর্বে ও পরেও কুফফাররা ব্যাপকভাবে মূল্যায়ন করতো। ইসলাম আসার পূর্বেই রাসূল (সা) এর এসব বৈশ্বিক গুণাবলী ছিল। এসব গুণাবলীর অধিকারী হতে মুসলিম হতে হয় না।

আপনার যদি এসব গুণাবলী না থাকে, তবে দাওয়াহর কথা ভুলে যান — আপনি কী দিয়ে দাওয়াহ দিবেন? এগুলো হল দাওয়াহ দেওয়ার মূল উপাদান।

আমাদের উদ্দেশ্য হল ইসলামের দাওয়াহ অন্যের কাছে পৌছানো, কাউকে ইসলামে ভিড়ানো নয়। আর এজন্য আমাদেরকে এসব গুণাবলী দিয়েই দাওয়াহ দিতে হবে।

------------------------------------------------------------------------------

উস্তাদের "How To Give Dawah" লেকচার হতে অনুপ্রাণিত

No comments:

Post a Comment