Labels: , ,

# কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য:পর্ব ১১ পৃথিবীর স্তর সমুহ ও কোরআন



আমাদের এই পৃথিবী নিয়ে গবেষনার শেষ নেই , উপরে কি আছে আকাশ , বায়ুমন্ডল পানি সে বিষয়ের সাথে সাথে পৃথিবীর ভু অভ্যন্তরে কি আছে সে বিষয়েও চলছে বিস্তর গবেষনা তেল গ্যাস কয়লা, স্বর্ন, হিরা তো আছেই এবার আরো গভিরে যাওয়ার ইচ্ছা বা দুর থেকে দুরের সৈরজগতকে জানার ইচ্ছা মানুষের সবসময় ছিল। তো দেখাযাক কি আছে আমাদের পৃথিবীর মাঝে :

পৃথিবীর ভু-অভ্যন্তরকে সাতটি ভাগে ভাগ করা হয় ১)Lithosphere —লিথোস্পেয়ার ২) Crust----ক্রস্ট ৩)Upper mantle--- আপার ম্যন্টেল
৪) Mantle-- ম্যন্টেল ৫) Asthenosphere--এসথেনোস্পেয়ার
৬) Outer core- আউটার কোর ৭)Inner core--ইনার কোর



পৃথীবির সবচেয়ে নিচের লেয়ার হচ্ছে ইনার কোর যা একটা সলিড বলের মত যার ব্যস ১২২০ কিলোমিটার (৭৬০ মাইল) যা চাদের ৭০% এর সমান ,আর এটার টেম্পারেচার ৫৪৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ইনার কোর কি দিয়ে পরিপুন জানেন তা হলো লৈহ\লোহা। সুত্র: Paul Preuss May 12, 2003- Click This Link
https://en.wikipedia.org/wiki/Inner_core

এবার একটু চমকানো তথ্য দেই যেহেতু আমরা দেখলাম পৃথিবীর একেবারে ভিতরের মুল উপাদান হচ্ছে লোহা এবার দেখি কোরআনে লোহা সর্ম্পকে কিছু বলা আছে কি?

আমরা জানি কোরআনের মোট সুরা ১১৪ টি তাই না। আচ্ছা তবে কোরআনের মধ্যবর্তী সুরা কোনটা হবে ১১৪/২ = ৫৭ নং সুরা তাই না চলুন দেখি ৫৭ নং সুরা কি বিষয়ে কোরআনে ৫৭ নং সুরা হলো সূরা আল হাদীদ আর হাদীদ অর্থ কি জানেন হ্যা লোহা SURAH 57: AL HADID (Iron) সুবহানাল্লাহ। আর এটাই কোরআনের একমাত্র সুরা যা কোন পদার্থর নামে ।

আরো মজার বিষয় দেখুন সুরা আল হাদীদ সুরা নং ৫৭ আয়াত নং ২৫ শে বলা আছে "আমি আমার রসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ প্রেরণ করেছি এবং তাঁদের সাথে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাতে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি নাযিল/প্ররন করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড রণশক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার। এটা এজন্যে যে, আল্লাহ জেনে নিবেন কে না দেখে তাঁকে ও তাঁর রসূলগণকে সাহায্য করে। আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী। "

পৃথীবির আকাশে আমরা জানি মোট সাতটি লেয়ার প্রধান পাচটি ও দুটি বর্ডার লেয়ার রয়েছে : 1. Troposphere--ট্রপোস্পেয়ার, 2. Stratosphere--স্টাটোস্পেয়ার, 3. Mesosphere- মেসোস্পেয়ার, 4. Thermosphere--র্থামোস্পেয়ার, 5. Exosphere-- এক্সোসস্পেয়ার, 6. Ionosphere--আয়োনোস্পেয়ার, 7. Magnetosphere- মেগনেটোস্পেয়ার


সুত্র: https://en.wikipedia.org/wiki/Atmosphere_of_Earth ,
 Click This Link , 
http://www.theozonehole.com/atmosphere.htm


এবার দেখি কোরআনের সাথে কিছু মিলে কিনা : ) সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব সুরা নং ৬৫ আয়াত নং ১২ : "আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত। "

এবং সুারা হা-মীম সেজদাহ সুরা নং৪১ আয়াত নং ১২ "অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা। "

সুরা সাবা সুরা নং ৩৪ আয়াত নং ৩: "কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে"

সুরা ত্বোয়া-হা সুরা নং ২০ আয়াত নং: ৪থেকে ৬ "এটা তাঁর কাছ থেকে অবতীর্ণ, যিনি ভূমন্ডল ও সমুচ্চ নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। তিনি পরম দয়াময়, আরশে সমাসীন হয়েছেন। নভোমন্ডলে, ভুমন্ডলে, এতদুভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং সিক্ত ভূগর্ভে যা আছে, তা তাঁরই।"

সুরা আল-ফুরকান সুরা নং ২৫ আয়াত নং ৬: "বলুন, একে তিনিই অবতীর্ণ করেছেন, যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপন রহস্য অবগত আছেন। তিনি ক্ষমাশীল, মেহেরবান।

দেখলেনতো কোরআনের বর্ননা কত নিখুত এখন স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন আসতে পারে কোরআন কি বিজ্ঞানে ভরপুর ?

বিজ্ঞানে ভরপুর না তবে বিজ্ঞানের অনেক বিষয়ে সুক্ষ আলোচনা রয়েছে যেমন ভ্রুন হতে মানুষ পাহাড় আকাশ সুর্য ইত্যাদি নিয়ে, তবে বিজ্ঞানের সাথে কন্টাডিক্টরি কিছু পাবেন না সেটা বলতে পারি।

কোরআন যে সবার জন্য এটার প্রমান হচ্ছে আপনি চাইলে কোরআনে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করতে পারেন চাইলে না করতে পারেন তবে কোরআন নাযীল হয়েছিল মানুষের মোরাল বা মনের দিকে পরিবর্তনের জন্য ,আর কোরআন উপদেশ দেয় সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জণ্য সুষম সমাজ ব্যবস্থার জন্য। কোরআন সাইন্টেফিক গবেষনার চেয়ে মানুষের মনের গবেষনায় বেশি মনোযোগি। তবে সাইন্সের মুল বিষয় কোরআনে আলোচনা করা হয়েছে যাতে মানুষ চিন্তা করে এবং নিত্য নতুন আবিস্কারের মাধ্যমে এগিয়ে যায়।

আমাদের সমাজে সর্বকালে শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই থাকবে তো অশিক্ষিতদের জন্য সাধারন আলোচনা আর শিক্ষিত বা বিজ্ঞদের জন্য বিজ্ঞ আলোচনা, তা না হলে তো আপনারাই বলা শুরু করবেন কোরআন নাকি সর্বকালের সবার জন্য তাইলে এইটাতে একটা সাইন্সের কিছু দেখাও এজন্যই কোরআনে আল্লাহ সকল কিছুই আলোচনা করেছেন যতটুকু দরকার, বাকী মানুষের উপর সে কত গবেষনা আর শিক্ষার মাধ্যেমে এগিয়ে নিতে পারে। মানুষ যতই সাইন্টিফিকলি আগে বাড়ুক তার মন, আর চিন্তা\ আকাক্ষা তো মানুষের প্রবত্তি, হিংসা, ক্ষোভ, ঘৃনা, ভালোবাসা, আশা, নিরাশা হতাশা সেই একই আছে তাই মোরাল বা মেইন থিমটাতে জোর বেশি দেয়া হয়েছে কোরআনে,

কোন বিষয়ে বিস্তারিত গবেষনা, সমসাময়িক বিষয়ে বিস্তারিত সমাধান সেটা যুগের সথে সে সময়কার বিজ্ঞরা নির্ধারন করবেন। কিন্তু মোরাল বা মেইন থিমটা কিন্তু কোরআনেরই থাকবে যেমন পিতা মাতার সাথে ভাল ব্যবহার, স্ত্রী, কন্য নারীর অধিকার, প্রতিবেশির দায়িত্ব, সমাজের প্রতি দায়িত্ব, রাস্ট্রের প্রতি দায়িত্ব , মানুষে মানুষে আচার আচরন এর মানদন্ড, ভুমন্ডল আকাশ পৃথিবী এ সকল বিষয়ই কোরআনে রয়েছে তবে কোরআনরের মুল শিক্ষাই হলো মানুষকে ভালো পথে পরিচালিত করা সরল পথে যে পথে রয়েছে শান্তি যদি সঠিক ভাবে কোরআনের বিধান মানা হয়।

No comments:

Post a Comment