Labels: , , ,

ধারণা বা অনুমান করা -- সূরা হুজুরাত এর ১২ নম্বর আয়াত

কুর'আন শরীফের ৪৯ নং সূরা আল হুজুরাতে আল্লাহ মূল্যবান উপদেশ দিয়েছেন যা একটি সুন্দর, সুস্হ, মুসলিম সমাজ গঠনে সহায়ক। উপদেশগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং গোটা মানব জাতির প্রতি একজন মুসলমানের ব্যবহার কিরূপ হবে তার নির্দেশ এই সূরাতে দেয়া হয়েছে। এই সূরার প্রত্যেকটি উপদেশ নিয়ে অনেক খুতবা দেয়া যাবে। তাই আজ আমি এই আয়াতের প্রথম অংশ ও এর গভীরতা নিয়ে আলোচনা করব। যদিও আমি সব মুসলমান ভাইকে উৎসাহিত করব এই সূরা পুরাটা পড়তে এবং এর মাহাত্ব্য বুঝে তা পালনের চেষ্টা করতে।

প্রথমে বলতে চাই, এই আয়াতের পূর্বের অংশে আল্লাহ সবাইকে একে অন্যকে বিদ্রুপ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের সমাজে একে অন্যকে উপহাস করার প্রবণতা রয়েছে। যেমনঃ কমেডি শো, কার্টুন এমনকি কমিক বইগুলোতেও একটি নির্দিষ্ট দল বা গোত্রকে উপহাস করতে দেখা যায়। আরও বলা যায়, এরাবিয়ান, মেক্সিকান, কালোবর্ণ, সাদাবর্ণের প্রভৃতি মানুষদের নিয়ে কতগুলো উপহাসমূলক বুলি প্রচলিত আছে। এসব বুলি মূলতঃ তাঁদের পোশাক-আশাক, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি নিয়ে ব্যাঙ্গাত্বক।

এসব উপস্হাপন করে মানুষকে হাসানো হয় এবং মানুষ এতে মজা পায়। কিন্তু এটা মোটেও উচিত নয়। এই আয়াতে তাই এসব ভাড়ামো বারণ করা হয়েছে। কারণ এসব ঠাট্টা-বিদ্রুপ মানুষের মাঝে সম্পর্কের অবনতি ঘটায়, ভেদাভেদের সৃষ্টি করে।

কিন্তু আজ আমার বয়ান করার বিষয় এটা নয়, বলে রাখি এইসব ঠাট্টা-বিদ্রুপ আসে অনুমান বা ধারণা থেকে। আমি হয়তো বলছি, “মজা করার জন্য আমি ঠাট্টা-মশকরা করছি, মন থেকে বলছি না’। কিন্তু এসব মশকরা একদিন সত্যি বলে মনে হয় এবং তা মনের ভিতর গেঁথে যায়। মানে যাদের নিয়ে মশকরা করছি একসময় মনে হয় সত্যি, তারা এইরকম। দেখা যাচ্ছে এই সব ঠাট্টা-বিদ্রুপ শুধুমাত্র জাতিগত ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয় ধর্মগত বা বর্ণগত হয়ে থাকে।

যেমন হিন্দু, শিখদের নিয়ে বাজে ভাঁড়ামো করা হয়। আবার দেখা যায়,পাকিস্তানি ও বাঙালিরা একে অপরকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। এসব মজার জন্য করা হলেও ভাল না। কারণ একসময় তা সত্যি বলে সমাজে প্রচলিত হয়ে যায়। কারণ এসব ঠাট্টা-বিদ্রপ যাকে নিয়ে করা হয় তখন তার চরিত্র তেমন মনে হয় এবং তাকে সামনাসামনি দেখলে ঐ সব কথাই মনে আসে। ব্যাঙ্গাত্বক কথা মনে আনাই পাপ। আপনারা একটি বিস্ময়কর বিষয় খেয়াল করবেন কুর'আন এবং এই আয়াতের কোথাও আমাদের চিন্তা ভাবনার জন্য তিরস্কার করা হয়নি।

আপনারা জানেন আমরা আমাদের কর্মের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। যদি মনে কোন খারাপ ধারণা আসে কিন্তু বাস্তবে কাজটা করা হয়নি, তাহলে আল্লাহর কাছে তার জবাব দিতে হবে না। আবার ব্যতিক্রম হচ্ছে,আপনি খারাপ কিছু করার জন্যই কাজটি করলেন কিন্তু কাজটি মঙ্গলজনক হয়ে গেছে তাহলে কাজের ফল নির্ভর করবে চিন্তার উপর। আরেকটি বিস্ময়কর ব্যতিক্রম হচ্ছে এই আয়াতের কথা, ”তোমরা বেশি বেশি ধারণা থেকে বিরত থাক, কারণ তা পাপ”। যদিও আপনি কিছু না করেন কিংবা না বলেন অতিরিক্ত ধারণা ভাল না। এটি আয়াতের মাহাত্ব। পূর্বের আয়াতে মানুষের উপহাস করতে বারণ করা হয়েছে, এটি নিষিদ্ধ কর্ম, আবার এই আয়াতের পরবর্তী আয়াতে গীবত আর নজরদারিকে কঠোরভাবে মানা করা হয়েছে। এগুলো চরম নিষিদ্ধ কর্ম, এর শাস্তি অনেক কঠিন।

আমাদের চিন্তা করার পন্থা পরিবর্তন করতে এই আয়াতে বলা হয়েছে। খেয়াল করুন, এই আয়াত পর্যালোচনা করতে গিয়ে আমরা অনেক মূল্যবান বিষয় শিখছি। আমরা যদি আমাদের চিন্তা ভাবনার উন্নতি না করি তবে আমাদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কারণ এই চিন্তা ভাবনা থেকে চরম গুনাহের কাজ যেমন গীবত,অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো,অবিশ্বাস প্রভৃতি উদ্ভুত হয়। তাই আল্লাহ আমাদের এই চিন্তা ভাবনা করতে বারণ করছেন। এই কথাগুলো হচ্ছে   اجْتَنِبُوا كَثِيرً   (ইযতানিবু কাসিরান) এর পটভূমি। এখন   اجْتَنِبُوا   শব্দটি কোথা হতে এসেছে তা জানব। এইশব্দটির উৎপত্তি আরবি শব্দ   جنب   “জানব” থেকে যার অর্থ কোনকিছুর পাশে। “ওয়া আলা জুনুবিহিম” মানে যখন একজন তার পাসে শয়ন করে বা বসে। উদাহরণস্বরূপ যাত্রায় দুইজন যাত্রী পাশাপাশি বসে, অফিসে বা হসপিটালে পাসাপাসি বসে বা শয়ন করে। এখানে ইযতিনাব শব্দের অর্থ হচ্ছে পাশের কোন কিছু থেকে নিজেকে বিরত রাখা। এই আয়াতে শব্দটির অর্থ বলা হচ্ছে নিজেকে নিজের কাছ থেকে বিরত রাখা। তার মানে আমার আপনার ভিতরের কূ-ধারনা প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। কারণ ধারণা জিনিসটি নিজের কাছেই।

আপনি হয়তো বলতে পারেন আমি মানুষ সম্বন্ধে খারাপ ধারণা মনে আনি না, আনবো না। কিন্তু এইসব মনে আসতে পারে। আর আল্লাহ যেহেতু আমাদের বিরত থাকতে বলেছেন তাই আমাদের সবসময় সচেতনের জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে, এই খারাপ প্রবৃত্তি থেকে বেঁচে থাকতে হবে। কারণ আপনি সবসময় এই পাপে লিপ্ত হবার আশঙ্কায় আছেন। কেউ দোষের বাইরে নয়। এই আশঙ্কা যদি না থাকতো তাহলে আল্লাহ নির্দেশ দিতেন ধারণা করো না; বরং তিনি বলেছেন বেশি বেশি ধারণা থেকে বিরত থাকো, কারণ এটি তোমার হাতেই। আল্লাহ এই আয়াতে বেশি বেশি শব্দটি ব্যবহার করেছেন, বলেছেন তোমরা বেশি বেশি ধারণা থেকে বিরত থাকো কারণ তা তোমাদেরকে পাপের কাছে নিয়ে যাবে। অন্য আয়াতে বেশি বেশি শব্দটি ব্যবহার করেননি। তাই আমরা সব সময় প্রাণপন চেষ্টা করব আমাদের কথা বা কাজে খারাপ ধারণার অনুপ্রবেশ না ঘটে।

এই কু-প্রবৃত্তি থেকে বাঁচার উপায় বলার আগে আমরা জানব 'জান্ন' শব্দটি কোথা থেকে এসেছে। এর অর্থ হচ্ছে কোন কিছু নিয়ে অনুমান করা। এর মধ্যেও কথা আছে, অনুমান হল যে জিনিস আপনি নিশ্চিত জানেন না, তা নিয়ে চিন্তা করা। কিন্তু এই শব্দটির আরেকটি অর্থ হচ্ছে আপনি কোন জিনিস নিশ্চিত হয়েই ধারনা করছেন। কুর'আনের এক আয়াতে আছে, তারা নিশ্চিত তাঁদের মালিকের সাথে দেখা হবেই। এটি এক ধরনের ধারনা। ঈমান আনার আগে তারা অনিশ্চিত দোদুল্যমান ছিল আল্লাহর সাথে দেখা হবে কিনা। ঈমান আনার পর তারা নিশ্চিত আল্লাহর সাথে দেখা হবেই। অন্যদিকে আর এক আয়াতে বলা হয়েছে, তারা বলে তাদেরকে মৃত্যুর পর আর উত্থান করা হবে না। আল্লাহ প্রতি উত্তরে বলেছেন, তারা এই বিষয়ে শুধুমাত্র ধারণা করছে। তাই বলা যায়, একই শব্দ কুর'আনের ভিন্ন যায়গায় ভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়ছে। এই শব্দটির অর্থ এই আয়াতে বলা হয়েছে “মনে গেঁথে আছে”। যেমনঃ দাঁড়িবিহীন চেহারার একজনের পরিধানেরর কাপড় দেখে তার প্রতি খারাপ ধারণা এনে ফেললেন। আবার আরেকজনকে বললেন তুমি তুর্কিশ, বাংলাদেশি এদেরকে চিননা, এরা এমনি! অর্থাৎ তাঁদের উপর খারাপ ধারণা আপনার আগে থেকে গেঁথে আছে। এটি হল জান্।যার মানে আপনি আপনার ধারণার উপর নিশ্চিত। আল্লাহ এই ধরনের চর্চা আমাদের সংসার জীবনেও করতে নিষেধ করেছেন।

দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি খারাপ ধারনা পোষণ করেন। যেমন স্বামী প্রশংসা করলেও স্ত্রী তা বিশ্বাস করে না। এতি জান্ন, আপনি আপনি নন, আপনি অন্যের চিন্তা বলতে পারবেন না। জান এর প্রভাব এত খারাপ একজন আরেকজনের সালামের উত্তর দেওয়ার সময় চিন্তা করে সে কোন উদ্দেশ্যে আমাক সালাম দিচ্ছে। একটি ঘটনা বলি, আমি এক জায়গায় “ভালোভাবে কথা বলা” এই বিষয় নিয়ে খুৎবা দিয়েছিলাম। খুৎবা শেষে এক লোক আমাকে এসে বলল তোমাকে “ক” টাকা দিয়েছে আমার বিরুদ্ধে বলার জন্য। অবাক হলাম তার এই ধারণা দেখে। এইটি 'জান্ন'। ভালো কথা বললে আপনি এই ধারণা মনে আনতে পারবেন না যে , এটি আপনার বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে। কথাগুলো আপনার ভালোর জন্যই বলা হয়েছে। যদি খারাপ ধারণা মনে গেঁথে যায়,তাহলে আপনি কোন ভালো কথা মানতে পারবেন না, আপনি মনে করবেন কথাগুলো খারাপ উদ্দেশ্যেই বলা হচ্ছে। এই রূপ প্রবৃত্তির শিকার শুধু সাধারণ মুসল্লিরা না বরং বড় বড় আলেম ওলামারাও এর শিকার হন। মনে রাখবেন আলেম ওলামারা নবী নন, তারা রক্ত-মাংসের মানুষ। ভুল তাঁদের হতেই পারে। তাঁদের এক ভুল কথা বা কাজের জন্য তাঁদের সারাজীবনের কথা কিংবা কাজের উপর বিরূপ ধারণা এনে তাঁদেরকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা ঠিক না। আমার কথাই চিন্তা করেন, আমি যদি ৫ বছর আগে কোন ভুল কথা বলি তার জন্য এই ধারণা মনে আনা উচিত না যে আমি সবসময় ভুল কথা বলি। আবার অনেকে আছে, যার প্রতি তাঁদের খারাপ ধারণা আছে তার লেকচারে গিয়ে তার বক্তৃতার মধ্যে, দোষ-ত্রুটি বের করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে তাঁকে ভুল প্রমানিত করার জন্য। আমরা এই কাজে এত ব্যস্ত থাকি যে ভালো কিছু জানি না কিংবা জানতেও চাই না। আবার এমন মানুষ আছে যারা কুর'আনের ব্যাখাকে ভুল বলছে, কে ঠিক বলছে সেই কাজে ব্যস্ত থাকে। কেন এত সময় নষ্ট, এত কষ্ট? কুর'আন শরীফের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে না দিয়ে অন্যের ব্যাখার ভুল ধরা ঠিক নয়।

আয়াতের পরবর্তী অংশে বলা হয়েছে, কোন সন্দেহ নাই খারাপ ধারণা পাপ। আয়াতের প্রথম অংশে বলা হয়েছে বেশি ধারণা থেকে বিরত থাক আর পরবর্তীতে বলা হয়েছে সন্দেহাতিতভাবে খারাপ ধারণাসমূহ পাপ বয়ে আনে।   إِثْمٌ   “ইস্ম” আরবি শব্দ,অর্থ পাপ। আল্লাহ কুর'আনে পাপের অনেক সমার্থক শব্দ ব্যবহার করেছেন। এই আয়াতে إِثْمٌ  “ইস্ম” শব্দটি কঠিন পাপ, যেমনঃ মদ খাওয়া, জুয়া খেলা ইত্যাদির মতো ব্যবহার করেছেন। অন্যভাবে বলা যায়, “ইস্ম” হল চরম পাপ এবং এর পরিণতি মারাত্মক। ইস্ম হল এমন এক পাপ যার পরিণাম দুনিয়াতেই ভোগ করতে হয়, শুধুমাত্র হাশরের ময়দানে নয়।

খারাপ ধারণা একটা পরিবার, জাতি এমনকি একটা পুরো দেশ ধ্বংস করে দেয়। শুধুমাত্র অনুমান এর উপর ভিত্তি করে একটা দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হয়, মানুষ মারা যায়, এমন অনেক উদাহরণ আছে। আপনারা কি বিশ্বাস করবেন পূর্বে যুদ্ধগুলো সংঘটিত হয়েছে শুধুমাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি করে? লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভুল অনুমানের জন্য জীবন দিয়েছে। আল্লাহ তাই বেশি বেশি ধারণা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, এই উপদেশ শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য না বরং গোটা মানাবজাতির জন্য। আল্লাহ বলেছেন আমি মানবজাতিকে ভিন্ন গোত্র,ভিন্ন জাতি হিসাবে সৃষ্টি করেছি কিন্তু একে অপরকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করার জন্য নয়। আল্লাহ পুরো মানবজাতিকে বলার আগে মুসালমানদেরকে উদ্দেশ্য করেছেন।

কারণ মুসালমানরা আদর্শ হবে অন্যদের, তারা কোন ঠাট্টা-বিদ্রুপে অংশ নিবে না, উপহাস করবে না, স্বচ্ছ ধারণা না থাকলে সেটি সম্পর্কে মন্তব্য করবেনা। সবার সাথে মিলেমিশে থাকবে। যেমন কারো সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করলে আপনি জানি না বলবেন, যদি তার সম্পর্কে ধারনা না থাকে। আপনি বলতে পারবেন না এই, আমার মনে হয় তিনি খারাপ। এই মনে হয় শব্দটি আমাদের রাসূল (সাঃ) এর শিক্ষা নয়। আপনার এই এক মন্তব্য অনেক ভুল ও ভ্রান্ত ধারনার উৎপত্তি করবে। কোন কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে কোন মন্তব্য করবেন না, এই কথাটি ব্যক্তিগত, সামাজিক, কর্মস্থল, জাতিগত সব জায়গায় প্রযোজ্য। কোন জাতি সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ হলে তা যাচাই বাছাই করে সেই জাতি সম্পর্কে ধারনা পরিষ্কার করতে হবে। কারণ সংবাদ অনুমানের উপর ভিত্তি করে দেয়া হয়। আল্লাহ বলেছেন, কোন খবর যাচাই করে প্রকাশ করতে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই সব নীতি আমাদের ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনে পালনের তাওফিক দেন। এতে আমাদের জীবন আরো সুন্দর ও সফল হবে। আল্লাহ আমাদের মনমানসিকতা এমন করে দেন যেন আমরা একজন আরেকজনের দোষ-ত্রুটি খুঁজে না বেড়িয়ে সহমর্মিতার, সহযোগিতার, মনোভাব গড়ে তুলি; ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হই। আল্লাহ আমাদের মাঝে ভিন্নতা মনোভাব দূর করে এই সুন্দর পৃথিবীতে আরও সুন্দরভাবে মিলেমিশে থাকার তওফিক দিন। আমীন।


বাংলা রূপান্তর – সুমাইয়া বিনতে খুরশিদ

No comments:

Post a Comment