Labels: , ,

কোরআনের কথা বাংলা ভাষায় আধুনিক, প্রাসঙ্গিক, যৌক্তিক, যুক্তিখন্ডন, যুগোপযোগী, গভীর ও বাস্তবিক আলোচনা

বিসমিল্লাহির রাহমানীররাহীম

বাংলা ভাষায়  কোরআন-এরএই অসাধারণ  আলোচনাসমূহ  আপনার জীবনকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করবে , কোরআনেরউপলব্ধির এক নতুন দ্বার উন্মোচিত  করবে আপনার সম্মুখে,  কোরআনের প্রতি মমত্ববোধ বাড়িয়ে দিবে অকল্পনীয়ভাবে ইন শাআল্লাহ।

কোরআনের উপর সর্ব প্রথমবাংলা ভাষায় এরকম চাতুর্মুখিক বুদ্ধিমত্ত্বা ও প্রাসঙ্গিক আলোচিত হয়েছে। ইংরেজী ওআরবীতে অনেক থাকা সত্বেও বাংলা ভাষায় এর আলোচনার প্রাসংগিকতা, বাংলা ভাষাভাষীদেরজন্য এক বিরাট রাহমা ও বারাকা হিসেবে আসবে!

আমরা আল্লাহকে আল-আলিম(সর্বজ্ঞানী),আল-হাকিম(সর্বজ্ঞ) ইত্যাদি গুনবাচক নামে বিশেষায়িত করি...এটা আমাদের বিশ্বাসেরমধ্যেই থাকে। এটার মাধ্যমে আমরা কতটুকু যে নিজেদেরকে ধোঁকায় ফেলতেছি  তার প্রমান আমরা বাস্তবে কোরআনকে কোরআনেরগভীরতা খুব অল্পই চিন্তা করি এবং এর মাঝে যে অকল্পনীয় জ্ঞানের ঝর্ণা প্রবাহিতহয়েছে আল্লাহর বিশাল ও অসীম জ্ঞান থেকে তাঁর- তা খুবই কম জানি। এর আয়াত নিয়েগভীরভাবে ভাবি না, আল্লাহর জ্ঞানের বিশালতা ও অসীমতা নিয়ে পড়ার প্রতি মনোযোগ দেইনা-কারণ কোরআনকে একেবারেই নিরস মনে হয় !!!

এটুকুই উপলব্ধি যথেষ্ট যেআমরা কোরআন পড়ি না...কারণ আল্লাহ কোরআনকে যেভাবে দেখতে বলেছে, পড়তে বলেছে, চিন্তাকরতে বলেছে, রাসূল সা. যেভাবে পড়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন, সাহাবা রা. ও আমাদের সৎপূর্ববর্তীগন পড়েছেন, শিখেছেন ও শিক্ষা দিয়েছেন এবং কোরআনের উপর, আরবী ভাষার উপরআধুনিক ইসলামী স্কলারদের লেখার প্রতি সম্পর্ক নেই যার মাধ্যমে আমরা কোরআনকে আরোগভীরভাবে ও চিন্তাশিলতার সাথে উপলব্ধি করব

বিশেষত কোরআনকে আমাদেরপড়তে অনীহা লাগার অনেকগুলো কারণ রয়েছে- এর   মাঝে রয়েছে কোরআনের প্রাসঙ্গিকতা, এটিকে সুশৃঙ্খল মনে না হওয়া এবং পাশাপাশিকোরআনকে বুঝতে হলে শুধু কোরআনই নয় বরং অন্যান্ন জ্ঞানের শাখাও যে সমানভাবে লাগেসেগুলোর জ্ঞান না থাকায় আমরা একে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারে না এবং এটা পড়তেওইচ্ছা করে না। এসব কিছুই মধ্য দিয়েই কোরআনের এই অসাধারণ আলোচনাসমূহ-যার কারণেআপনার কাছে কোরআনকে আর নিরস মনে হবে না, কোরআনের আবেদন নতুনভাবে উন্মোচিত হবে,নতুনভাবে পরিচিত পাবে কোরআনের সাথে।

বাংলা ভাষায় কোরআনের উপর অসাধারণ চমকারিত্ত্বেরচৌম্বকীয় শক্তির ধারা প্রবাহিত হয়েছে এইসব আলোচনায়। কোরআনকে যেখানে নিরস মনে হতএতদিনে, মনে হতে আরবের ইতিহাসের একটা অংশ পাঠ করছি, যেখানে আমাদের প্রাসংগিকতাখুবই কম পাওয়া যেতো...সেখানে এই আলোচনা আসলেই বাংলা ভাষাভাষীদের এক বিরাট নিয়ামতহিসেবে আবির্ভুত হবে ইন শাআ আল্লাহ।


আধুনিক মানুষের জন্য সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব এবং ঘটনাগুলোকে কুরআনের আলোকে দেখা এবংকুরআনের আয়াতে লুকিয়ে থাকা বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং যুক্তির উপর আলোচনা হয়েছে এইসব প্রাসঙ্গিক লেখায়

কু’রআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের বাণীর খুব কমই বোঝা যায়,  কারণআরবি থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবি শব্দের প্রকৃত  অর্থ,  অর্থের ব্যাপকতা এবংপ্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। অন্যদিকে তাফসীরগুলো হচ্ছেচরম পর্যায়ের ভাব সম্প্রসারণ, যা পড়ার ধৈর্য অনেকেরই হয় না। একারণে আমাদের দরকার মাঝামাঝি এমন একটা কিছু, যেটা কুরআনের অনুবাদের মতো সংক্ষিপ্ত, অপর্যাপ্ত নয় এবং একই সাথে তাফসীরের মতো এত দীর্ঘএবং  খুঁটিনাটিতে ভরা নয়; যেটা কুরআনের প্রতিটি আয়াতেরবাণীকে অল্প কথায়, যুগোপযোগী উদাহরণ দিয়ে, বৈজ্ঞানিক যুক্তি এবং প্রমাণ দিয়ে প্রাঞ্জল বাংলায় তুলে ধরে , যা পড়ে আধুনিক যুগের মানুষ তাদের জীবনের ঘটনারসাথে  মিলাতে পারবেন। এটিকোনো তাফসীর নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে  উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনারসংকলন।

মাত্র ৬ মেগাবাইটেরকোরানের উপর বাংলা ভাষায় অসাধারণ অনেকগুলো আলোচনা স্থান পেয়েছে ।
সত্যি  এটি আপনার জীবনে কোরানেরপ্রতি দৃষ্টিভংগি বদলে দিবে। এতদিনে যেই কোরানকে নিরস মনে হত আজথেকে  সেটাপ্রাণোজ্জল মনে হবে, মনে হবে এতো আমাদের কথাই বলা হচ্ছে, এটা চৌদ্দশত বছরের সেইপ্রাচীন কোরআন আজকের কোর’আননই  মনে হবে। যেই কোরআনকে পড়তে আমাদের এত অনীহা ছিল, সেই কোরআন ইআজকে আত্মার বাধনে আধ্যাত্বিকতায় মিলিয়ে যাবে, হবে আপনার সাথে এক অমূল্য বন্ধনেআবদ্ধ।

এখানে বিশেষত সেইসবরেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে তারা সবাই কোরানের উপর অনেক বিস্তৃত, গভীর ও আধুনিক কাজকরেছে। উস্তাদ নোমান আলি খান থেকে মূল  প্রেরণা নেওয়াহয়েছে এবং সেই সাথে উস্তাদের উল্লেখ করা অন্যান্ন অনেক স্কলারদের তাফসীর থেকেওসাহায্য নেওয়া হয়েছে।
আরো যেসব লেখক থেকে সাহায্য নেওয়া হয়ছে তাদের মধ্যে মুহাম্মাদ আসাদ(তাঁরব্যাখ্যা আধুনিক ধারার মনে করা হয়), মুহাম্মাদ মোহার আলি(কোরআনের শাব্দিক অনুবাদেরজন্য বিখ্যাতগ্রন্থ), আমিন আহসান ইসলাহি(ফারাহির উত্তরসূরী যিনি কোরআনের নাজম-Coherence(সংগতি, ঐক্যতান, মিল)এর উপর তাঁর তাদাব্বুরে কোরআন-যারা উস্তাদ নোমান আলী খানে ড্রিম তাফসীর শুনেছেন তারা বুঝতে পেরেছেন উস্তাদ কতবেশি সাহায্য নিয়েছেন এটার), ড: ইসরার আহমেদ(পাকিস্তানের বিখ্যাত ও গভীর তাফসীরকারক যিনি ২০টি কোরআনের তাফসীর থেকে তাফসীর করেছিলেন-নোমান আলী খান সেখান থেকেতাঁর তাফসীরে প্রচুর সহায়তা নিয়ে থাকেন, বিশষত যেখানে উস্তাদ নিজেও সমস্যার মধ্যেথাকেন বা বুঝতে অসুবিধায় পতিত হন), আব্দুল হালিম(কোরআনের সর্বাধুনিক অনুবাদক)সহঅনেকগুলো তাফসীরের বাংলা ভাষায় প্রাসংগিকতা, গভীরতা, ও কোরআনের অসাধারণ মুজিজাসমূহতুলে ধরেছেন। সুবহানাল্লাহ!
সম্ভব হলে প্রিন্ট করে বইআকারে বাধাই করে পড়তে পারেন...এটা পড়ার ক্ষেত্রে আরো বেশী মনোযোগ আনবে...সাথেঅসাধারণ কোরআনের উপর অনেকগুলো চমৎকার লেখা পাচ্ছেন।

ডাউনলোড করুন এখান থেকে -


http://quranerkotha.com/Quraner%20Kotha%20upto%20June%2030.pdf

-----------

মূল সাইট - http://quranerkotha.com/
উস্তাদ নোমান আলী খানের ড্রিম তাফসীর - http://www.nakcollection.com/download-tafsir.html
Coherence এর জন্য একটি উদাহরণ দেখুন শাইখ আব্দুন নাসির জাংদার - http://www.youtube.com/watch?v=dWFdF44opPg (Salah and Marriage)
দেখুন - আমার কু’রআন পড়তে ভালো লাগে না - http://tinyurl.com/p558voo

No comments:

Post a Comment