Labels:

অর্থপূর্ন ও বরকতময় নামাজ / নামাজের খুশু বা একাগ্রতা পর্ব ১

আপনি কি নিজেকে কখনো খুব খারাপ সময়ের/ ডিফিকাল্ট সিচুয়েশনের মধ্যে পেয়েছেন?

আপনি কি নিজেকে কখনো যে কোন কিছুর খুবই প্রয়োজনিয়তায় অনুভব করেছেন / এমন কিছু খুব করে চাইছেন?

আপনি কি নিজেকে কখনো এমন মনে করেছেন যে কেহ আপনাকে কিছু বলেছে বা করেছে তার জন্য আপনি খুবই র্মমাহত, খুবই কস্ট পেয়েছেন, খুবই মন খারাপ হয়েছে?

আপনার যদি উপরোক্ত কোন প্রশ্নের উত্তর হ্য হয় এবং সম্ভবত আমাদের সকলেরই কোন প্রশ্নের সাথে মিলে এবং উত্তর হ্য হবে তবে তার সমাধান কি? কি করলে এই সকল সমস্যা গুলোকে মোকেবেলা করা যায়?

এর উত্তর খুবই সোজা একটি মাত্র শব্দে নিহিত রয়েছে? আর তা হলো সালাত বা নামাজ।

সালাত বা নামাজ হল এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে আমাদের কস্ট সমুহ দূর হয়, জীবন হয় সহজ সরল ও সুন্দর। সালাত বা নামাজ আমাদের মনের, আত্বার ও জীবনের প্রশ্ন , চিন্তা , ভাবনা ও কনফিউশনকে দূর করে জীবন কে পরিপূর্ন করে।

কিন্তু আরেকটি প্রশ্ন তখন আপনার মনে আসে, আমি নামাজ পড়ছি বা সালাত আদায় করছি গত ২০,৩০ বা ৪০ বছর যাবত, নামাজ/সালাত আমার জীবনে সেই উদ্দেশ্য পরিপুর্ন করতে পারেনি, সালাত বা নামাজ আমার জীবনে সেই প্রভাব ফেলতে পারেনি, আমি নামাজের সেই সুফল পাচ্ছিনা বা পাইনি।

তবে আমি কি ভাবে নামাজের সেই সুফল/অভিজ্ঞতা পেতে পারি , কিভাবে নামাজের সেই স্বাদ পেতে পারি? আমি কিভাবে নামাজের ক্ষমতা, শক্তি বা বিশালতা অনুভব করতে পারি? কিভাবে সালাত আমাদের জীবন সমৃদ্ধ করতে পারে?

আশ্চর্যজনকভাবে এসকল প্রশ্নের উত্তর ও একটি শব্দের মাঝে নিহিত রয়েছে আর তা হচ্ছে খুশু বা একাগ্রতা, এটা এমন এক শব্দ যা কোরআনে আছে হাদীসে আছে, এ সম্পকে আমরা অনেক খুদবা শুনি, এ সম্পর্কে অনেক লেকচার ও আটিকেল পাবেন বিভিন্ন ওয়েব সাইটে।

কিন্তু কোটি টাকার প্রশ্ন আমি কিভাবে খুশু পাব বা একাগ্রতা অর্জন করবো? আমি বুঝলাম খুশুর গুরুত্ব এবং আমার খুশু দরকার ? আমি কিভাবে খুশু কার্যে পরিণত করতে পারি, আমার নামাজে খুশুর উন্নয়ন করতে পারি?

এর সবচেয়ে ভাল সহজ ও দ্রুত উপায় হলো আমরা নামাজে কি পড়ি বা বলি তা জানা ও বোঝা, নামাজের ভাষা বোঝা ও হৃদয়ঙ্গম করা এটাই হচ্ছে খুবই দ্রুত ভাবে নামাজে খুশুর অভিজ্ঞতা পাওয়ার মাধ্যম আর এর ফলে নামাজ কে অনুভব করা ও নামাজের আসল অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়

খুশুর একটি সুন্দর উদাহরন হচ্ছে সুরা ফাতিহা। একটি হাদীস-হাদীসে কুদসি তে আছে যখন আমরা নামাজে সুরা ফাতিহা পড়ি বা তিলাওয়াত করি , প্রত্যেক আয়াত যখন বুঝে ভক্তি নিস্ঠা সহকারে এবং একনিষ্ঠতা ভালবাসা ও গড়জ সহকারে পড়ি তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়লা আমাদের সাড়া দেন/জবাব দেন / উত্তর দেন প্রতিটা আয়াতের। এটা একটা সংলাপ/কথোপকথন/মতবিনিময় মহান আল্লাহর সাথে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমরা নামাজে অমনোযোগী/ অন্যমনস্ক/ ভুলো মনে থাকি , এর ফলে আমরা কত সুন্দর চমকপ্রদ,অপরূপ,বিস্ময়কর সুযোগ হারাচ্ছি আমাদের সারা জীবন ধরে।

এটাই আমার অনুপ্রেরণা এই অর্থপুর্ন ও বরকতময় নামাজ সম্পর্কে লিখার ক্ষেত্রে, যাতে আমরা বুঝতে পারি আমরা সারা জীবন কি হারাচ্ছি এবং কেন নামাজের সুফল আমাদের জীবনে দেখতে পারছিনা এবং আমি একটি জিনিসই চাচ্ছি আপনাদের কাছ থেকে তা হলো একটি দিনের একটু সময় করে নামাজের নিগূঢ়তা, সোন্দের্য সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করার ইচ্ছা। আমরা দেখবো নামাজে ব্যবহ্যত প্রত্যেকটি শব্দের অর্থ, কেন তা ব্যবহার করা হয়েছে আর তার সুফল। আর এর মাধ্যমে আমরা পরিশেষে জানতে পারবো হজরত মুহাম্মদ (সঃ) আসলেই কি বুঝিয়েছিলেন যখন তিনি বলেন "জুইরাত কুররাতু আইনি ফিস সালাত"
অর্থ আমার চোখের শান্তি নামাজে স্থাপন করে হয়েছে। তখনই আমরা বুঝবো তিনি কি বুঝিয়েছিলান।

চিন্তা করে দেখুন আমরা কি রকম অন্ধকারে রয়েছি , আমরা নামাজ পরছি ১০ বছর ১৫ বছর বা ২০ বছর বা ৫০ বছর, কত সময় চলে গেছে অথচ আমরা নামাজের আসল সুফল বুঝতে পারিনি আমরা কি বলছি কি চাচ্ছি কি অনুরোধ করছি আমাদের মহান সৃস্টিকর্তার কাছে যখন আমরা নামাজে দ্বাড়াই।

আল্লাহ আমাদের কে নামাজের খুশুর মাধ্যমে সবাই কে সুফল দান করুন, আল্লাহ আমাদের সবাইকে নামাজের সেই ক্ষমতা ও তৈফিক দান করুন যেমনি ভাবে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) নামাজ আদায় করেছেন, যেভাবে তিনি ও তার সাহাবিরা নামাজের সুফল পেয়ে দুনিয়া ও আখিরাতে সাফল্য পেয়েছেন। আমিন

No comments:

Post a Comment