Labels:

অর্থবহ ও বরকতময় নামাজ / নামাজের খুশু বা একাগ্রতা পর্ব ২

সফলতা যার পিছনে আমরা সবাই ছুটছি সেটা কোথায় পাব , কি ভাবে পাব ইসলাম কি বলে সফলতা সম্পর্কে ?

সাফল্যের পথে নিয়ে যায় খুশু বা একাগ্রতা: খুশু বা একাগ্রতা যখন আপনি এই শব্দটি শুনেন তখন প্রথম আপনার মনে কি আসে? সালাত বা নামাজ তাই না। তাহলে সাফল্য কোথায় উত্তর হবে নিশ্চই নামাজে বা সালাতে। আমরা দেখবো কিভাবে খুশু সফলতার সাথে সম্পর্কযুক্ত।

প্রথমে আমরা দেখবো সফলতা কি? সফলতা এমন কিছু যে যখন আমরা সফলতা শব্দটা শুনি আমরা আমাদের মনে কল্পনা করি, সবাই সফলতা নিজের মনে বিভিন্নভাবে কল্পনা করে থাকেন, যেমন কারো জন্য একটি বিশল বাংলা বা বাড়ি, কারো দামি গাড়ি, কারো হতে পারে কোম্পানির উচ্চতর কর্মকর্তা বা মালিক যার রবে প্রাইভেট জেট । অনেক তরুনের নিকট সাফল্য হলো তার নাম কোন জার্সির পেছনে লিখা যেমন জাতীয় দলের ক্রিকেটার বা ইংলিশ প্রমিয়ার লিগে খেলা কোন ফুটবলার হিসেবে নিজেকে কল্পনা করা। তার মানে সফলতাকে একেক জন একেক ভাবে অনুভব বা উপলব্ধি বা কল্পনা করেন

সাফল্যের বাস্তবিকতা বা সত্য বুঝতে হলে মুসলিম হিসেবে আমাদের দেখতে হয় কোরআনে এবং মহানবী (সঃ) সুন্নাহ বা তার জীবনীতে। আমাদের দ্বীন বলে সাফল্য কি? আমাদের প্রথমে উপলব্ধি করতে হবে যে আমরা সবাই সফলতা খুজছি। কেহ সকালে উঠে অফিসে বা কাজে , স্কুলে যায় না ব্যর্থ হওয়ার জন্য আমরা সর্বদা সফলতা কে খুজছি কোন কোন ভাবে সবাই এর পেছনে ছুটছি।

সাফল্যের বাস্তবিকতা বা সত্য বুঝতে প্রথমে বুঝতে হবে সফলতা শব্দটা কি বোঝায়, এটা একটা খুবই সুন্দর শব্দ আরবি ভাষায়, যে শব্দটা আল্লাহ সুবহানাহু তায়লা কোরআনে ব্যবহার করেছেন সফলতা বোঝাতে তা হলো "ফালাহ" এই ফালাহ শব্দটার মজার ব্যপার হলো ভাষাগত ভাবে এটা কৃষিকাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত। একজন কৃষকেও আরবিতে বলা হয় ফালাহ এখন আপনি চিন্তা করছেন যে এর সাথে সফলতার সম্পর্ক কি। আমরা জানি আমাদের জন্য সফলতা হলো জান্নাতে যাওয়া এর সাথে কৃষিকাজের সম্পর্ক কি হতে পারে। আমিতো কোন সম্পর্ক দেখি না? আসলে এখানেই আরবি ভাষার সৈন্দর্য এখানেই আল্লাহর ভাষার কোরআনের সৈন্দর্য।

দেখুন যখন একজন মানুষ কৃষিকাজ করে প্রথমত সে কি করে? সে মাটি কে রেডি করে তাই না যাকে বলে হাল চাষ বা মাটিকে ওলট পালট করা, আর মাটিকে ওলট পালট করার উদ্দেশ্য কি ? সেটা হলো যাতে মাটি নরম হয়, অস্কিজেন পায়, সুর্যের আলো ও পানি ভালভাবে মিশতে পারে তারপর সেখানে বিজ বুনলে তবে ফসল ফলে। ঠিক তেমনি ভাবে আল্লাহ সাফল্যকে বোঝাতে ফালাহ ব্যবহার করেছেন এইজন্য যে সাফল্য পেতে হলে ঠিক সেই মাটির মত মনটাকে উন্মুক্ত করতে হয় যাতে ঈমান, আমল ও তাকওয়া প্রবেশ করতে পারে মনের সাথে মিশতে পারে। কারন মনে ঈমান, আমল ও তাকওয়া মিশার পরই তা বাড়তে পাড়ে। ঠিক সেই ভাবেই একজন কৃষক তার মাটিতে যতটুকু পরিমান মিশাবে ততটুকু পরিমান ভাল ফসল উৎপন্ন হবে আর যে কম কাজ করবে ঠিক মত মাটি মিশাবেনা সময় মত পানি দিবেনা সে নিশ্চই ভাল ফসল পাবে না মানুষের মনও তাই যতটুকু ঈমান, আমল ও তাকওয়া মিশবে যতটুকু সে প্রেক্টিস করবে তার ফলাফলও সে রকমই হবে। তাই বলাযায় পরিণাম বা ফলাফল তাই হবে যতটুকু পরিমান চেষ্টা,প্রয়াস,উদ্যম,উদ্যোগ, খাটুনি আপনি করবেন। তাই আল্লাহ এত সুন্দর শব্দ আফালাহ ব্যবহার করেছেন

তাই আমরা যদি পুর্বের আলোচনায় ফিরে যাই আমরা সবাই সফলতা চাই
আর কোথায় সফলতা পাওয়া যায়, কি ভাবে পাওয়া যাবে আল্লাহ বলছেন "কাদা আফলাহাল মুওমিনুন" বিশ্বাসীরাই সফলকাম বা বিশ্বাসীরাই সফলতা পেয়েছে আর বিশ্বাসীদের কোয়ালিটি কি? তা হলো "আল্লাজিনা হুম ফি সালাতিহিম খাশিউন" আল্লাহ নামাজের সাথে যুক্ত করেছেন সফলতা।

কোরআনের আরেক সৈন্দর্য হলো এটি কিভাবে একটি সুরা হতে আরেকটি সুরাতে যুক্ত হয় দেখুন সুরা হাজ্জে সুরা নং ২২ আর এর পরের সুরা নং ২৩ হলো সুরাতুল মুমিনুন কিভাবে এই দুই সুরা যুক্ত হয়েছে তা দেখুন সুরা হাজ্জে শেষের দিকে আয়াতে আল্লাহ বলেন "ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু ইরকাউ ওয়াস সুজু ওয়াবুদু রাব্বাকুম আয়াফালুল খাইর লায়াল্লাকুম তুফলিহুন" يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ارْكَعُوا وَاسْجُدُوا وَاعْبُدُوا رَبَّكُمْ وَافْعَلُوا الْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু কর, সেজদা কর, তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর এবং সৎকাজ সম্পাদন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।[সিজদার আয়াত] সুরা হাজ্জ:২২ আয়াত নং:৭৭

এবং শেষের আয়াতে বলেন: সুতরাং তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব তিনি কত উত্তম মালিক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী। সুরা হাজ্জ:২২ আয়াত নং:৭৮

আরো দেখুন পরের সুরা সূরা আল মু’মিনূন আল্লাহ বলেন
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ-মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে,
الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ-যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র;
وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ-যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,
وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَ -যারা যাকাত দান করে থাকে
সূরা আল মু’মিনূন ২৩ আয়াত নং:১-৪

লক্ষ্য করে দুখুন আল্লাহ কিভাবে সুরা হজ্জে শেষ করেছেন নামাজ ও যাকাত সম্পকে বলে আর পরের সুরা সূরা আল মু’মিনূন ও শুরু করেছেন নামাজ ও যাকাত সম্পর্ক বলে। তো দেখুন আল্লাহ বলেন নামাজ কায়েম কর যাতে সফল কাম হতে পার, তাই আমারা যারা সফলাতার দিকে ছুটছি আসল সফলতা পেতে হলে আমাদের সবার আগে সালাত বা নামাজের দিকে মনোযোগি হতে হবে।

তবে চলুন দেখি আল্লাহ কিভাবে নামাজ কে কোরআনে বর্ননা করেছেন, আল্লাহ বলেন "ওায়াকিমিস সালাতা লি জিকরি" আল্লাহ মুসা আলাহিস সালাম কে বলেন সালাত প্রতিস্ঠা কর আমার জিকিরের মাধ্যমে। আপনারা চিন্তা করতে পারেন জিকির কি ভাবে সালাতে সাথে সম্পর্ক যুক্ত বা জিকির কিভাবে সালাত হতে পারে, আমরা নামাজে জিকির করি তবে কিভাবে নামাজ/সালাতটাই জিকির হয়? দেখুন কতটা আকর্ষনীয় আমরা যদি একটু মনযোগ দেই একটু গভির ভাবে ভাবি যেই আয়াত গুলো আমরা পড়ে যাই তবে দেখবো কত শিক্ষা এর মাঝে রয়েছে। আপনি দেখবেন কিভাবে সবকিছু মিলে যায়, কিভাবে আপনার ঈমান আরো বাড়ে আরো মজবুত হয় শুধু মনযোগ দিয়ে পড়ার মাধ্যমে বোঝার মাধ্যমে।

জিকিরের একটি গুন কি? আপনি সমসময় করতে পারেন তাই না, কোন সময় বাধা নে আপনি যে কোন সময় করতে পারেন। আপমি যদি রোজার কথা বলেন তবে দেখবেন এটি সময় নির্ধারিত (সুর্য উদয় হতে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত) বা শুধু রমজান মাসে,হজ্জ তাও বছরে একবার এর একটি নিদ্দিস্ট মাসে ওমরা তাও নিদ্দিস্ট নগরিতে, যাকাত ও নিদ্দিস্ট বলাযায় আপনি বছরে নিদ্দিস্ট পরিমান দেন কিন্তু জিকির সবসময়ের জন্য, আল্লাহ সালাতুন জিকির পছন্দ করেন কারন সালাত ও জিকির একই গুন সম্পন্ন
দেখুন সূরা আল ইমরান ৩ আয়াত নং ১৯১

الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
"যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।"

আপাতদৃস্টিতে দেখলে মনে হবে এই আয়াতে শুধু জিকির বুঝিয়েছে আমরা কখনো মিলিয়ে দেখিনি আপনি দেখুন আমরা কিভাবে নামাজ পড়ি দাঁড়িয়ে, বসে এবং ধরুন কেহ যদি অসুস্থ থাকে বা হাসপাতালে তিনি কি শায়িত অবস্থায় নামাজ পড়েন না। সালাত হলো সর্বদা আল্লাহর দিকে যাওয়া আল্লাহকে স্বরন করা সর্বাবস্থায় সালাত বা নামাজ মানুষকে তার প্রভুর সাথে যোগ করে, আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যায় তাই আল্লাহ বলেন তুমি সফলতা চাও তবে নামাজে মনোযোগো হও নামাজে নিয়মিত হও

দেখুন নামাজের মাধ্যমে কিভাবে সফল হওয়া যায় তার প্রমান সয়ং হজরত মুহাম্মদ (সঃ),
According to the Quran, Prophet Muhammad was the most excellent example for all of humanity। Even non-Muslim historians recognize him to be one of the most successful personalities in history. Read what the Reverend R. Bosworth-Smith wrote in "Mohammed & Mohammedanism" in 1946:

"Head of the state as well as the Church, he was Caesar and Pope in one; but, he was pope without the pope's claims, and Caesar without the legions of Caesar, without a standing army, without a bodyguard, without a palace, without a fixed revenue. If ever any man had the right to say that he ruled by a Right Divine, it was Mohammad, for he had all the power without instruments and without its supHead of the state as well as the Church, he was Caesar and Pope in one; but, he was pope without the pope's claims, and Caesar without the legions of Caesar, without a standing army, without a bodyguard, without a palace, without a fixed revenue. If ever any man had the right to say that he ruled by a Right Divine, it was Mohammad, for he had all the power without instruments and without its support. He cared not for dressing of power. The simplicity of his private life was in keeping with his public life."port. He cared not for dressing of power. The simplicity of his private life was in keeping with his public life."


While we are reviewing statements from famous non-Muslims about Prophet Muhammad, peace and blessings be upon him, consider this:

"Philosopher, orator, apostle, legislator, warrior, conqueror of ideas, restorer of rational dogmas, of a cult without images; the founder of twenty terrestrial empires and of one spiritual empire, that is Muhammad. As regards all standards by which human greatness may be measured, we may well ask, is there any man greater than he?"

[Lamartine, HISTOIRE DE LA TURQUIE, Paris, 1854, Vol. II, pp. 276-277.]


And then we read what George Bernard Shaw, a famous writer and non-Muslim says:

"He must be called the Savior of Humanity. I believe that if a man like him were to assume the dictatorship of the modern world, he would succeed in solving its problems in a way that would bring it much needed peace and happiness."

[The Genuine Islam, Singapore, Vol. 1, No. 8, 1936]


Then we found that K. S. Ramakrishna Rao, an Indian (Hindu) professor of Philosophy, in his booklet "Muhammad the Prophet of Islam" calls him the "perfect model for human life." Professor Ramakrishna Rao explains his point by saying:

"The personality of Muhammad, it is most difficult to get into the whole truth of it. Only a glimpse of it I can catch. What a dramatic succession of picturesque scenes. There is Muhammad the Prophet. There is Muhammad the Warrior; Muhammad the Businessman; Muhammad the Statesman; Muhammad the Orator; Muhammad the Reformer; Muhammad the Refuge of Orphans; Muhammad the Protector of Slaves; Muhammad the Emancipator of Women; Muhammad the Judge; Muhammad the Saint. All in all these magnificent roles, in all these departments of human activities, he is alike a hero."

No comments:

Post a Comment