Labels: , , , ,

যৌন আকাঙ্ক্ষা

●|● যৌন আকাঙ্ক্ষা ●|●

আসসালামু আলাইকুম। কুরআন উয়িকলি। আমি আপনাদের সাথে একটা আয়াত শেয়ার করবো এবং এটির সূক্ষ্মদর্শিতা নিয়ে আলোচনা করবো। এটি কুরআনের ১৭ তম সূরা, সূরা বনী ইসরাইলের ৩২ নম্বর আয়াত। ওয়ালা তাকরাবুজ্জিনা ইন্নাহু কানা ফাহিশাতান ওসাআ সাবিলা। এই আয়াতটি কুরআনের সেই অংশ যেটি মহানবী (সঃ) এর দশটি বিখ্যাত আদেশের শামিল। কিছু সাহাবী বলেছেন, এটি হচ্ছে মুসা (আঃ) কে দেয়া শিক্ষার যে মূলনীতিগুলো ছিল সেগুলোর শামিল। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে এই আয়াতটি যে সূরাতে তাঁর নাম হচ্ছে সূরা বনী ইসরাইল। ইসরাইলের সন্তানগণ। যাই হোক, এই বিশেষ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, তোমরা জিনা (অশ্লীলতা, ব্যভিচার) এর নিকটবর্তী হয়োনা। এটির ধারেকাছেও যেও না। তিনি এটা বলেননি, লা তাজিনু, তোমরা ব্যভিচার করোনা, ব্যভিচার করতে যেওনা। তিনি বলেছেন, তোমরা এর ধারেকাছেও যাবেনা। অন্যভাবে বলা যায়, একটা কাজ এবং অনেক গুলো ছোট ছোট আচরণ যেগুলো কাজটির দিকে নিয়ে যায়, কাজটির একটি পরিধি আছে যা চারপাশে ঘুরতে থাকে এবং আপনি কাজটির ধারেকাছেও যেতে পারবেন না। যেই সংবেদনশীলতা নিয়ে কুরআনের ভাষা কোন একটি বিষয়কে উপস্থাপন করে সেই কুরআনের ভাষা আমাদেরকে বুঝতে হবে, যাতে আমরা আল্লাহ আজ-ওয়াজাল এর বিজ্ঞতার তারিফ করতে পারি, কিভাবে তিনি আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন যাতে আমরা সমস্যাগুলো উতরে উঠতে পারি।

আল্লাহ আজ ওয়াজাল আমাদেরকে বলছেন, কিছু কাজ আছে যা করা হারাম নয়। আপনি এই কাজগুলোর দিকে আঙ্গুল উঠিয়ে বলতে পারবেন না যে এই কাজগুলো ভুল। কিন্তু যখন আপনি এইসব কাজে যুক্ত হয়ে পড়বেন, তখন মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের একটা টান অনুভব করবেন যেটা আস্তে আস্তে, একটু একটু করে আপনাকে অবশেষে হারাম কাজের দিকে টেনে নিয়ে যাবে। এবং অবশেষে কাজটা আপনাকে দিয়ে করাবে। আপনারা জানেন, শয়তানের বিষয়ে আমরা একটা জিনিস জানি। আমি লক্ষ্য করেছি যে, শয়তান অত্যন্ত দূরদর্শিতা সম্পন্ন। সে একবারে আপনাকে ধরে না, সে আপনার কাছে আসবে এবং আস্তে করে, আস্তে আস্তে করে, একটু একটু, একটু একটু করে আপনাকে পথভ্রষ্ট করবে যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার চরিত্র নষ্ট করতে পারে। শয়তান আপনার কাছে একবার এসেই আপনাকে দিয়ে খারাপ কিছু করাতে পারেনা। আপনারা জানেন। আদম (আঃ) এবং হাওয়া (আঃ) এর গল্পেও, ইনশা আল্লাহ যখন আমরা ওই গল্পে যাব অথবা ওই গল্প থেকে কুরআনের জ্ঞানসম্পন্নতা সম্পর্কে জানব , যেভাবে শয়তান অগ্রসর হয়েছিল, সুরাতুল আরাফ এ এটি বলা হয়েছে যা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। শয়তান অবিরামভাবে, সে এটা একবারে করেনি। ধরুন, শয়তান আসল এবং বলল, হেয়! দেখ এই গাছটা! এটাকি অনেক সুন্দর না! এবং তারপর সে চলে গেল। না, শয়তান এরকম না। সে চরমভাবে নিরন্তর ছিল। সে একটু একটু করে পথভ্রষ্ট করছিল এবং তাদের মনের মধ্যে এমন এক ধারণা গেঁথে দিয়েছিল যতক্ষণ না তারা মনে করেছিল এটা তাদেরই অভিপ্রায়! আপনারা জানেন।

এবং যখন মানুষ শয়তানের কথা শুনতে শুরু করে, এটি একই সূরাতে আল্লাহ বলেছেন, ইন্না ইবাদি লাসালাইকা আলাহিম সুলতান। আমার বান্দাদের উপর তাদের (শয়তানের) কোন কর্তৃত্ব থাকবে না। অন্যভাবে বলা যায়, যেসব লোক সত্যিকার ভাবে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে তাদের উপরে শয়তানের কোন কর্তৃত্ব থাকবে না। কিন্তু যারা, আস শায়তান ইয়া আদুকুম ফাঁকরুআ ইয়া'আ মুরুকুম বিন ফা'আশার। সুরাতুল বাকারা। সে (শয়তান) আপনাকে আদেশ করবে বেলেল্লাপনা করার জন্যে। অন্যভাবে বলা যায়, যখন আপনি শয়তানের কথা একটু শুনবেন, আপনি তাকে একটু শক্তি দিচ্ছেন। আপনি তাঁর কথা আরেকটু শুনবেন, তো আপনি তাকে আরেকটু বেশি শক্তি দিবেন। আর আপনি যখন তার কথা অবিরামভাবে শুনতেই থাকবেন, একসময় সে আপনাকে আদেশ করবে। আপনি নিজেকে এমনভাবে বলবেন যে, আমি আর নিজেকে সাহায্য করতে পারছি না। আমি এটা জানিও না! আমি জানি না কি করে আমি কম্পিউটার বন্ধ করব। আমি জানি না কিভাবে প্রতি রাতে এটা হয়ে যায়! আমি জানি না কিভাবে আমি ওইখানে, ওই চ্যাটগুলো করি, আতঙ্ককর ওয়েবসাইটে লগ ইন করি। আপনারা জানেন, অশ্লীলতা দেখি! আমি এইসব কেন করছি? লিফটে অথবা যখন আমি রাস্তায় হেটে যাই, কেন আমি আমার চোখ নামিয়ে রাখতে পারিনা? আমি নিজেকে সাহায্য করতে পারছি না। আমি জানি না কি করা উচিত। আর আপনি জানেন, শয়তান আঁকড়ে ধরে, বেশ শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে। কদভ্যাসযুক্ত চক্রের মধ্যে আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে আমরা বলতে পারি। এটা আস্তে আস্তে খারাপ, আরও খারাপ, আরও খারাপ এবং অধিকতর খারাপের দিকে টেনে নিয়ে যায়। এবং আপনি যদি এটা স্বীকার না করেন, তাহলে এটা অধিকতর খারাপের দিকে যায়। আর এটা আপনার আত্মা একদম ধ্বংস করে দেয়।

আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্ক নির্ভর করে আপনার অন্তর কতটা পরিষ্কার তাঁর উপর। যতবার আপনি অশ্লীলতায় উদ্ভাসিত হন, আপনার অন্তরের উপর আরও ময়লা, আরও অন্ধকার, আরও আবরণ ঢালতে থাকে। এবং ঢালতেই থাকে, ঢালতেই থাকে, ঢালতেই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি আল্লাহর কথা শুনবেন কিন্তু আপনার চোখে এক ফোটা পানিও আসবে না। এটা আসবে না। কারণ, আপনার হৃদয় এতই কঠিনে পরিণত হয়েছে যে, আপনি যত অনাবৃত অবস্থা দেখছেন, যত পাপ করছেন চোখ দিয়ে সবসময়, আর আপনি এটার গুরুত্বও দিচ্ছেন না। আপনারা জানেন, একটা সুন্দর হৃদয় যন্ত্রণাগ্রস্ত হয় যখন অসমীচীন কিছু একটা দেখে যা আল্লাহর নির্দেশ এর সাথে মিলে না। এটা আকর্ষিত হয় না, বরং যন্ত্রণাগ্রস্ত হয়। এটি বলে, না! এটি ভুল। অবিলম্বে তাঁর বিবেক চাঙ্গা হয়ে ওঠে, অস্থিরতা বন্ধ হয়ে যায়। যখন আপনার এরকম হৃদয় থাকবে, এরকম অবস্থায় যাবেন, আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, এগুলোর মধ্যে ভালো কিছুই খুঁজে পাবেন না। আপনার এরকম কোন অনুভূতিই হবে না। আপনার এই অনুভূতিও হবেনা যে, এটা ভুল। যেটা হবে, আপনি কোন বোনের দিকে তাকানোর আগে তাঁর আশেপাশে দেখবেন যে অন্য কেউ তাকে দেখছে কিনা। এবং তারপর আপনি ভালো দৃষ্টি নিয়ে তাকাবেন। দেখবেন যে আল্লাহর ভয় একদমই নেই। একমাত্র যে ভয়টা আছে সেটি হল পাপের ভয়। পাপ ছাড়া আর কোন ভয়ই নেই। কি ভীষণ অতিমানবিক অবস্থা এটি! আল্লাহ বলেছেন, ইয়া'লামু খ ইনাতাল আহনু ওমা তুখসুদু। তিনি জানেন, চুরি করে তাকানো, একটু এদিক সেদিক তাকানো। তিনি এটা জানেন, আপনার একটু চাহনি, তাকানোর মানে কি? এবং তিনি জানেন আমাদের বক্ষ:স্থল কি লুকিয়ে রেখেছে।

আপনারা কি জানেন আমি এই বিশেষ আয়াতটি কেন আলোচনা করছি? "তোমরা জিনা এর নিকটবর্তী হয়োনা।" ইন্নাহু কানা ফাহিশাতান - এটা সবসময়ই একটা অস্থিরতা, বেলেল্লা, অশ্লীল কাজ। ওসাআ সাবিলা - একটা ভয়ঙ্কর পথ। আল্লাহ এটাকে একটা পথ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, ভয়ঙ্কর পথ। অন্যভাবে বলা যায়, পথে পদক্ষেপ থাকে, ঠিক? পথ মানেই পদক্ষেপ। আপনাকে সনাক্ত করতে হবে আপনি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এই পদক্ষেপ নিতে আপনাকে কি করতে হচ্ছে? আপনারা জানেন, প্রত্যেকটা কাজের কিছু প্রক্রিয়া থাকে, কিছু চক্র থাকে। আপনি নিজে নিজে ঘুরতে চাচ্ছেন, সকুলের পরে আপনি কয়েক ঘণ্টা সময় পাচ্ছেন আপনার পিতামাতা বাসায় ফেরার আগ পর্যন্ত। আপনারা জানেন, আপনি কিছু বন্ধুদের সাথে ঘুরছেন যাদের কোন মান নেই। প্রত্যেকটা সময় সনাক্ত করতে হবে কোন কাজগুলো আপনাকে পাপের দিকে টেনে নিয়ে যায়। আমাদেরকে গোঁড়া থেকে এগুলো কেটে ফেলতে হবে। আমাদেরকে ওই পথে গা ভাসিয়ে দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ওসাআ সাবিলা। আমাদের কাছে এই আয়াতের অসাধারণ দিকটি কি জানেন? যেভাবে এটি সংপৃক্ত করা হয়েছে।

এই আয়াতের পরের আয়াতেই আল্লাহ বলেছেন- তোমরা মানুষ হত্যা করোনা। ওয়ালা তাকতুলুন্নাফ সাল্লাতি হাররামাল্লাহু ইল্লাবিল হাক্ক[সূরা বনী ইসরাইলঃ৩৩]। তোমরা নির্দোষ মানুষকে হত্যা করোনা। আল্লাহ এটা (জিনা ) কে প্রথম অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং হত্যাকে দ্বিতীয় অপরাধ হিসেবে। আপনি কি এটা চিন্তা করতে পারছেন? আপনি মনে করেন, হত্যা অনেক বড় অপরাধ, ঠিক? কিন্তু আল্লাহ বলেছেন, যখন আপনি অন্য মানুষের মর্যাদা লঙ্ঘন করবেন, এটি হচ্ছে ফাহশা। আপনি যখন মানুষকে নিয়ে এভাবে চিন্তা করবেন তখন আপনি নিজের এবং তাদের মর্যাদা লঙ্ঘন করবেন। এবং আমরা যদি কাউকে হত্যা করি, আমরা তাঁর শারীরিক, আপনারা জানেন তাঁর বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘন করি। আর ওটা হচ্ছে আত্মার হত্যা। ফাহশা। আর এটি হচ্ছে শারীরিক হত্যা। ফাঁতর। দুই রকম হত্যা রয়েছে। তাই আল্লাহ আত্মার হত্যার কথা প্রথমে বলেছেন। আমাদের সবার মান এত নিচে নেমে গিয়েছে যে, একটা নতুন সিনেমা মুক্তি পেলে আপনি হয়তো অনেকগুলো ট্রেলার দেখে ফেলেছেন আর নিজেকে বলছেন, আহহ! এখানে মাত্র একটা খারাপ দৃশ্য আছে! ব্যাপার না! এটি একটি পিজি-থারটিন (সিনেমার গুণমান নির্ধারক যা নির্দেশ করে যে এটি ১৩ বছরের নিচের শিশুদের দেখার অনুপযোগী), শুধু এটাই। ১০ বছর আগে যেটা হওয়া উচিত ছিল এখন সেটা পিজি-থারটিন! যেটা আগে পিজি-থারটিন হওয়ার কথা ছিল এখন সেটা পিজি(সিনেমার গুণমান নির্ধারক যা নির্দেশ করে যে এটি শিশুদের জন্যে অনুপযোগী)। কাজেই সব জায়গায় অশ্লীল দৃশ্য!

এবং যে আত্মার মূল্য আমরা হারিয়ে ফেলছি তাঁর প্রতি আমরা যত্নবানও হচ্ছিনা! এটা আমাদের নামাজের উপর প্রভাব ফেলছে, দোয়ার উপর প্রভাব ফেলছে, আমাদের চরিত্রের উপর প্রভাব ফেলছে, এটা আমাদের পরিবারের উপর প্রভাব ফেলছে, এটা প্রভাব ফেলছে। এবং আমরা গুরুত্বও দিচ্ছিনা! আমরা মনে করি এটাই জীবন, আমরা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি! ঠিকই আছে, সবাই এই কাজই করছে, আমরা কি করতে পারি? তাই আপনি যেসব ছবি ফেসবুকে পোস্ট করছেন তাঁর গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আমি ফেসবুক ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছি। আমি বলছিনা যে, ফেসবুক ব্যবহার করা হারাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা চালাতে পারছি না। আপনারা জানেন, আমি এটা ব্যবহার করিনা। আমি সামাজিকীকরণের জন্যে কিছু একটা পোস্ট করলাম, কোন ঘোষণা বা কিছু একটা শেয়ার করলাম, কিন্তু কিছু জিনিস দেখে আমি খুব মর্মাহত হয়েছি যে আপনি কিভাবে এটা করতে পারেন? আপনি একজন মুসলিম এবং কিভাবে আপনি এই ধরনের ছবি পোস্ট করতে পারেন? আপনারা জানেন। নিজের মর্যাদা নিজেই বজায় রাখুন, নিজের পরিবারের মর্যাদা বজায় রাখুন। নফস কে নিয়ন্ত্রণ করুন। চোখ দিয়ে তাকানো, চোখের জিনা থেকেই বাকি সব শুরু হয়। অন্য সব কিছুই এখান থেকে শুরু হয়। অন্য সব কিছুই চোখের জিনা থেকে শুরু হয়।

ইনশা আল্লাহু তাআলা আমি আপনাদের সাথে এই বিষয়ে ছোট ছোট টুকিটাকি, কুরআন থেকে এই বিষয়ের উপর কিছু সংযুক্ত আয়াতের অংশ নিয়ে আরেকদিন আলোচনা করব। কিন্তু আজকে ইনশা আল্লাহু তাআলা শেষ জিনিসটি হচ্ছে, ফাহিশাহ-শব্দটি নিয়ে যার অনুবাদ হচ্ছে লজ্জাহীনতা, উত্তেজনা, অশ্লীলতা। আরবি ভাষার কিছু নিয়ম আছে যেগুলো একই রকমের। ওহাশ এবং ফাহাশ। ওহাশ মানে হচ্ছে বন্য প্রাণী,ফাহাশ মানে হচ্ছে যে বন্য প্রাণীর মত আচরণ করে। লজ্জাহীনতা এমন একটি আচরণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে যেটি বন্য প্রাণীর আচরণের মত। আল্লাহ মানবকুলকে মর্যাদাপূর্ণ করেছেন। আদম (আঃ) এর উপরে যে শাস্তি দেয়া হয়েছিল, সেটা হল তাঁর জামা কাপড় খোলে ফেলা হয়েছিল। আমাদের আদি পিতামাতার জামাকাপড় খুলে ফেলা হয়েছিল। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা শাস্তি ছিল। এবং অবিলম্বে তারা বুঝতে পেরেছিল যে তাদের উচিত নিজেদের ঢেকে রাখা। তারা সমাজ থেকে নিজেদেরকে ঢাকার শিক্ষা পাননি। সমাজ তাদের লজ্জাহীনতার শিক্ষা দেয়নি। আপনারা জানেন, আজকাল আপনাদের নৃবিদ্যার অধ্যাপক আপনাদেরকে শিখাবে যে, "আপনারা জানেন সমাজ আমাদেরকে জামা কাপড় দিয়েছে। এটা একটা সামাজিক যৌক্তিকতা যে, আমরা ইতিহাস থেকে জামা কাপড় এবং নিজেদের ঢেকে রাখার শিক্ষা পেয়েছি। কিন্তু প্রকৃতিগতভাবে আমাদের বন্য প্রাণীর মত থাকার কথা ছিল।"

আদম (আঃ) সমাজ থেকে কিছু শিখেন নি। তাঁকে আল্লাহ বিবেক দিয়েছিলেন এবং যখন তাঁর কাপড় খুলে ফেলা হয়েছিল, তিনি প্রকৃতিগত ভাবেই তাড়াতাড়ি নিজেকে ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন।

আমাদের আদি মাতা নিজেকে ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন। আমাদের এমন মানুষ হওয়া উচিত যেন আমরা আমাদের নিজেকে ঢেকে রাখতে পারি এবং অন্যের দিকে না তাকিয়ে অন্যদেরকে মর্যাদা দিতে পারি। যদিও তারা নিজেদের মর্যাদা নিজেরা রাখতে না পারে তবুও আমাদেরকেই তাদের মর্যাদা দেয়া উচিত এবং তাদের দিকে তাকানো উচিত না। কারণ, ওরাও আল্লাহর সৃষ্টি। যদিও তারা আল্লাহর হতাশাদায়ক সৃষ্টি! তারাও আল্লাহর সৃষ্টি। এবং আমাদের নিজেদের প্রতি এবং সম্মিলিতভাবে মানবকুলের প্রতি বেশি সম্মানবোধ থাকতে হবে তাদের দিকে না তাকিয়ে যেভাবে এক বন্য প্রাণী অন্য প্রাণীর দিকে তাকায়।

আল্লাহ আজ ওয়াজাল আমাদেরকে আধ্যাত্মিক ভাবে এবং ক্রমবর্ধমান, চলতি আত্মিক সমস্যা যা আমাদেরকে চোখ নিচে নামিয়ে রাখতে দেয় না তা থেকে সুস্থ রাখুন। এবং আল্লাহ আমাদেরকে অসৎ সঙ্গ, ওই অবস্থা, ওইসব কাজে সম্পৃক্ততা যেগুলো আমাদেরকে ভয়ঙ্কর, ভয়ঙ্কর পথের দিকে টেনে নিয়ে যায় তা থেকে বিরত রাখুন। আল্লাহ আজ ওয়াজাল যেন আমাদের শুদ্ধ এবং সুস্থ আধ্যাত্মিক জীবনের পথ পরিষ্কার করে দেন অথবা সহজ করে দেন। বারাক আল্লাহি ওয়ালাকুম।
আসসালামু আলাইকুম। কুরআন ওয়িকলি।

আসসালামু আলাইকুম। কুরআন ওয়িকলি। নবীজি (সঃ) আমাদেরকে বলেছেন, যে লোক অন্যকে ভালো কাজের দিকে নির্দেশ দেয়, সেও ওই ভালো কাজের সওয়াব পাবে। আমাকে অনুগ্রহ করুন এবং আপনাদের সবাইকে অনুগ্রহ করুন এবং এই ভিডিও থেকে যদি ভালো কিছু পেয়ে থাকেন তাহলে ভালোটা শেয়ার করুন। বন্ধু এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন। সওয়াব পান। এটি অত্যন্ত সুন্দর একটি প্রকল্প। আমি সত্যিকার অর্থেই কুরআন ওয়িকলি সফলভাবে চালানোর জন্যে সবাইকে তারিফ করছি। আমি দোয়া করছি যাতে আল্লাহ তাদেরকে আরও বেশি বেশি করে রহমত দান করেন। তারা আরও ভালো ভালো কাজ করুক। তাদের এই সমস্ত উদ্যোগ, আল্লাহ বলেছেন, যারা মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়, তারা আল্লাহর প্রতিই কৃতজ্ঞতা জানায়। মহানবী (সঃ) এর হাদিস থেকেও আমরা এই শিক্ষা পাই, আমাদেরকে অবশ্যই ভালো কাজের তারিফ করতে হবে। অন্যের ভালো কাজের তারিফ করা একই সাথে আল্লাহর কথা ছড়ানো মানে তাদেরকে আরও বেশি সওয়াব পেতে সাহায্য করা, নিজেদেরকে আরও বেশি সওয়াব পেতে সাহায্য করা ইনশা আল্লাহু তাআলা।

No comments:

Post a Comment